পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কিভাবে ট্রাভেল পাস নিতে পারবেন
- আপডেট সময় : ১০:২০:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৫ বার পড়া হয়েছে
দেশের বাইরে গমন করার জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস হচ্ছে ভিসা এবং পাসপোর্ট। কিন্তু অনেক সময় অসাবধানতাবশত কিংবা চুরি হয়ে যায় আমাদের এসকল কাগজপত্র। যদি বিদেশে থাকাকালীন অবস্থায় এরকম কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন হোন তাহলে নিতে পারে বিকল্প ডকুমেন্টস। কিন্তু কিভাবে নিবেন এবং ট্রাভেল পাস কি চলুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
ট্রাভেল পাস কি এবং এটি দিয়ে কি কি করা যায়
মূল পাসপোর্ট যদি আপনার হারিয়ে যায় তাহলে এটার বিকল্প হিসেবে ট্রাভেল পারমিট বা ট্রাভেল পাস ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু এটার মেয়াদ সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত প্রদান করা হয়ে থাকে। কারণ আপনার মূল পাসপোর্টটি হারিয়ে গেলে বাইরের দেশ হতে ফেরত আসা বেশ কঠিন হয়ে যাবে। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে ট্রাভেল পারমিট নিয়ে দেশে ফেরত আসতে পারবেন।
তবে নতুন করে ট্রাভেল পারমিট বা ট্রাভেল পাস নেওয়ার আগে অবশ্যই আপনার যাবতীয় তথ্য গুলি পুনরায় ভেরিফিকেশন করা হবে। অর্থাৎ আপনি কোন প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন কিনা সেটা যাচাই করে নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আপনি যে দেশে অবস্থান করছেন সেখানকার বাংলাদেশী দূতাবাস সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
ট্রাভেল পাস নেওয়ার শর্ত কি কি
যাদের পাসপোর্টটি হারিয়ে গিয়েছে, চুরি হয়ে গিয়েছে, নষ্ট হয়ে গিয়েছে কিংবা মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে তাদের জন্য এটি পাওয়া অত্যন্ত সহজ। আবেদন করার সময় পুরনো পাসপোর্টের যাবতীয় তথ্য গুলি সঠিকভাবে দিতে হবে। আর যদি আপনার আগের পাসপোর্টটি হারিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই জিডির কপি জমা প্রদান করতে হবে। আর যদি নষ্ট হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে নষ্ট অংশটুকু জমা দিলেই কাজ একদম সহজ হয়ে যাবে। আবেদনপত্রের সাথে অবশ্যই পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি প্রদান করতে হবে।
যদি আপনা আগের পাসপোর্ট নষ্ট হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে একদিনের ভিতরই পেতে পারেন এই কাঙ্খিত কাগজটি। কিন্তু যাদের এর আগে কখনোই পাসপোর্ট করা হয়নি তারা এটি পেতে যথেষ্ট সময় লাগবে। কারণ আপনি বৈধ উপায়ে গিয়েছেন কিনা কিংবা কোন অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন কিনা সেগুলো যাচাই করার জন্য বাংলাদেশ থেকে খোঁজখবর নেয়া হবে। তথ্যে যদি কোন ধরনের ভুল থাকে তাহলে এটি পাবেন না।
ট্রাভেল পাস সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়বলি
কোন ব্যাক্তি যখন নিজের দেশের সীমানা পেরিয়ে অপর দেশে প্রবেশ করে তখন তার জন্য বিশেষ কিছু নিয়ম কানুন প্রযোজ্য হয়। যদি ওই দেশের নাগরিকত্ব থাকে তাহলে আইন কানুন গুলো একরকম আর যদি নাগরিকত্ব না থাকে অর্থাৎ কাজ, লেখাপড়া, চিকিৎসা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে যায় তাহলে আইন কানুন গুলো অন্যরকম হয়।
তাই বহিরাগতদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য অন্যতম দুটি প্রমাণপত্র হচ্ছে পাসপোর্ট এবং ভিসা। এই দুইটা যদি আপনার সঠিক থাকে তাহলে কোন ঝামেলা নেই। আর যদি কোন কারনে এই কাগজ দুটি নিশ্চিত না থাকে তাহলে পড়তে পারেন নানা রকম ঝামেলায়। এমনকি শাস্তির মুখোমুখিও হতে পারেন। তাই যে দেশেই ভ্রমণ করেন না কেনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সর্বোচ্চ সতর্কতার সহিত সংরক্ষণ করা উচিত। তবে যদি বৈধভাবে গমন করে থাকেন এবং কোন কারণে এ কাগজ গুলি হারিয়ে যায় তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা তো আছেই।
সে ক্ষেত্রে আবেদন করে সহজে পেতে পারেন ট্রাভেল পাস। এটির নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যেই আপনাকে নতুন করে পাসপোর্ট নিতে হবে অথবা দেশে ফেরত আসতে হবে। যদি আপনার কাগজপত্র গুলোতে কোন ভুল কিংবা জলিয়াতি ধরা পড়ে তাহলে কোনভাবেই ট্রাভেল পারমিট কিংবা স্বল্প মেয়াদী পাসপোর্ট আপনাকে প্রদান করা হবে না। আবার যারা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিশেষ করে কাজে যোগদান করতে বিদেশ গমন করবেন তারা ভালোভাব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলি যাচাই করে নিবেন। অনেক সময় বেশ আত্মীয় স্বজন কিংবা বন্ধুবান্ধবদের বিশ্বাস করে আমরা খুব একটা যাচাই বাছাই করি না। পরবর্তীতে পোহাতে হয় বিশাল ঝামেলা এবং খরচ হয় প্রচুর অর্থ।
এছাড়াই বিনা কাগজে ভ্রমণ করলে আপনাকে আটক করে হবে। আশা করি ট্রাভেল পাস কি এবং এ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য গুলি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
বাংলাদেশে কেমন হবে রয়্যাল এনফিল্ডের বাজার? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।