নতুন শিক্ষা ক্রম অনুযায়ী ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা প্রথমবারের মতো জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

তিনি সাংবাদিকদের কে জানান, নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করতে আমরা তড়িঘড়ি করছি না। এই শিক্ষাক্রমের বিভিন্ন দিক বিচার বিশ্লেষণ করে আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে যাচ্ছি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দশম শ্রেণীর শিক্ষাক্রমের উপরে ভিত্তি করে আমরা ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা জানুয়ারি মাসে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। সেই হিসেবে আমাদের হাতে এখনো যথেষ্ট সময় আছে।

গত ৩০ শে জুন রোববার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এই কথা বলেন।

২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠক্রমের বই তুলে দেয়া হবে। যারা ২০২৫ সালে দশম শ্রেণীতে পড়বেই তারাই ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার জানুয়ারিতে দিবে। আমরা বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে এটি নিয়ে কাজ করছি। সেই সাথে বইয়ের লেখক, সম্পাদক এবং পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন মতামত নিয়েছি।

২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা জানুয়ারি মাসে

নতুন পাঠক্রমের ব্যাপারে তিনি মন্তব্য করেন, দশম শ্রেণির নতুন শিক্ষাক্রম হবে একটিভিটি বেইজড লার্নিং। এই নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা যথাযথ ভাবে শিখতে পারছে কিনা তা নিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। এই মুহূর্তে তাড়াহুড়ার কিছু নাই।

পরীক্ষা বা মূল্যায়ন নিয়ে একটি রাজনৈতিক অর্থনীতি আছে বলে শিক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করেন। সেই সাথে শিক্ষার্থীরা মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে বেশ সামাজিক চাপে থাকে। যার কারণে কোচিং সেন্টার, গাইড বই এবং নানা শিক্ষা উপকরণ বিক্রয় এবং এর সম্পর্কিত ব্যবসা গুলো বৃদ্ধি হচ্ছে। নতুন পদ্ধতি সামনে এলেও হয়তোবা সেটা নিয়ে বাণিজ্য শুরু হবে।

আমাদের পুরনো পদ্ধতিতে যে মূল্যায়নটি হতো সেটাতে পাশ ফেল দেখিয়ে উপরের শ্রেণীতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেকটাই কমিয়ে ফেলা হতো। যদি কোন শিক্ষার্থী ফেল করত তাহলে সে আগের শ্রেনীতে থেকে যেত। যেমনটা এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় প্রায় ৬ লক্ষ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। এটার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের উপর একটি লজ্জা এবং সামাজিকভাবে হেয়ো চাপিয়ে দিলাম। নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে এমন তার ঘটবে না।

যার কারণে দশম শ্রেণীর পাঠক্রমের উপরে ভিত্তি করে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে।