বিদেশ থেকে আগত প্রবাসী যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শাটল বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপপক্ষ বা বিআরটিসি এই সার্ভিসটি চালু করেছে।

উক্ত শাটল বাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-২, উত্তরা জসিম উদ্দিন রোড, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এই রাস্তাগুলো দিয়ে চক্রাকারে ঘুরতে থাকবে।

আজ ২৬ জুন বুধবার সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শাটল বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খান।

নতুন উদ্বোধনকৃত শাটল বাস সম্পর্কে তিনি বলেন, বিআরটিসি তাদের অত্যন্ত সুনিপুণ দক্ষতার মাধ্যমে স্পেশালভাবে এই বাসগুলো তৈরি করেছে। এই বাস গুলোর মাধ্যমে বিমানবন্দর এলাকায় প্রবাসীরা যাতায়াত করতে পারবেন। এতে করে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের যাতায়াত আরো সহজ হলো।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিদেশে রেমিটেন্স যোদ্ধা এবং পর্যটকদের সাথে অনেক বেশি লাগেজ এবং মূল্যবান সামগ্রী থাকে। বিমানবন্দর এলাকা থেকে বের হওয়ার পর তাদেরকে এ সকল জিনিসপত্র নিয়ে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই তাদেরকে ঝামেলা বিহীন সেবা প্রদান করতে বিআরটিসি এই শাটল বাস সেবা চালু করেছে। এই শাটল বাসের মাধ্যমে বিমানবন্দরের যাত্রীরা নিরাপত্তার সহিত খুবই স্বাচ্ছন্দে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।

শাহজালাল বিমানবন্দরে চালু হলো শাটল বাস সার্ভিস

বিআরটিসি এর শাটল বাসটিকে এমন ভাবে তৈরি করেছে যাতে অনেক বেশি পরিমাণে লাগেজ পরিবহন করা যায়। আর বিদেশ ফেরত যাত্রীদের কাছে যেহেতু অনেক মূল্যবান এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকে তাই এর সাথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রীদের শাটল বাসে বাড়তি সুবিধা হিসেবে রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বাসে উঠা এবং নামার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উত্তর সাটল বাসটি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ গাজীপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানায় নিজস্ব কারিগরি দক্ষতায় তৈরি করা হয়েছে। আশা করি এই বাসটির মাধ্যমে প্রবাসী এবং বিদেশি পর্যটকরা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারবে।

চলতি সময়ে বিমানবন্দর এলাকায় প্রবাসীরা এবং বিদেশি পর্যটকরা তাদের পরিবহন এবং লাগেজ নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়ে যায়। এ সুযোগে অনেক প্রতারক চক্র হাতিয়ে নেয় তাদের মূল্যবান জিনিস এবং লক্ষ লক্ষ টাকা। কারণ বিমানবন্দর এলাকা থেকে বের হয়ে অনেকেই বুঝতে পারেন না কোন গাড়ি নিরাপদ হবে কিংবা কোনটি করা উচিত হবে না। আশা করি বিআরটিসি এর শাটল বাস উদ্যোগটির মাধ্যমে এর সকল সমস্যা দূর হবে।