বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন আমাদের শরীরের একটি অঙ্গের মতোই। শরীরের কোন অঙ্গ ছাড়া আমরা যেমন ঠিকভাবে চলতে পারি না, ঠিক তেমনি ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ছাড়াও আমরা নিজেদেরকে কল্পনা করতে পারি না। অনেক সময় এই মোবাইল ফোন আমাদের স্বাস্থ্যের কিংবা মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই মোবাইল ব্যবহারে সতর্ক থাকুন।

যেহেতু মোবাইল ফোন ছাড়া আমাদের চলা প্রায় অসম্ভব, তাই মোবাইল ফোন ব্যবহারে ক্ষতির হাত থেকে নিজেদেরকে আমরা চাইলেই প্রতিরোধ করতে পারি। এজন্য নিচের টিপস গুলো সব সময় ফলো করুন।

• নিজের শরীরের কাছ থেকে মোবাইল ফোন সবসময় যথাসম্ভব দূরে রাখুন। আমরা মোবাইল ফোন সাধারণত মাথার কাছে নিয়ে ঘুমাই। যার কারণে আমাদের বিভিন্ন রকম মাথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে মোবাইলটিকে যতটুকু সম্ভব দূরে রেখে দিন।

• মোবাইল ফোনে দীর্ঘ সময় কথা বলতে হলে লাউড স্পিকার ব্যবহার করুন। কানের কাছে নিয়ে দীর্ঘ সময় মোবাইলে কথা বলা উচিত না। বিশেষ করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কথা বলার সময় লাউড স্পিকার ব্যবহার করা অতি উত্তম।

• মোবাইল ফোন চালু থাকলে এটি হতে সর্বদাই একটি রেডিয়েশন নির্গত হতে থাকে। যদি ফোনটি আপনার ব্যবহারের প্রয়োজন না থাকে তাহলে এটিকে অফ করে রাখুন অথবা ফ্লাইট মোড অন করে রাখুন।

• মোবাইল ফোন বন্ধ করে চার্জ দিন। এতে করে ফোন দ্রুত চার্জ হবে।

মোবাইল ব্যবহারে সর্তকতা অবলম্বন করুন

• মোবাইল ফোনের ব্যাটারি চার্জ কমে আসলে সেটি বেশি পরিমাণে রেডিয়েশন নির্গত করে। তাই লো ব্যাটারি মোডে মোবাইল ফোনে কথা না বলাই ভালো।

• মোবাইল ফোন কখনোই আগুনের কাছাকাছি কিংবা রান্না ঘরে রাখবেন না। কারণ মোবাইল ফোনে বেশ ভালো মানের পাওয়ারফুল ব্যাটারি থাকে তাই আগুনের সংস্পর্শে এটি দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।

• পকেটে কিংবা বুক পকেটে মোবাইল ফোন রাখার ফলে স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়া থেকে শুরু করে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এভাবে মোবাইল ক্যারি করা থেকে বিরত থাকুন।

বড়রা প্রয়োজনে মোবাইল ব্যবহার করলেও বর্তমান যুগের শিশুরা বিনোদনের উৎস হিসেবে মোবাইল কে বেছে নিচ্ছে। বাসার ছোটদের থেকে যথাসম্ভব মোবাইল ফোন সরিয়ে রাখা ভালো। ছোট বয়স থেকেই মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি শিশুদের মানসিক বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

তাই মোবাইল ব্যবহারে নিজস্ব সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং পরিবারের অন্যদের সতর্ক রাখুন।