পুরো উপমহাদেশের এক কিংবদন্তি গায়িকা বাংলাদেশের রুনা লায়লা। পৃথিবী জুড়ে তার অসংখ্য ভক্ত ছড়িয়ে ছিটে আছে। গত ২৪ জুন সোমবার গান রেকর্ডিং এর রুনা লায়লা ৬০ বছর পূর্ণ করেছেন। রুনা লায়লার সংগীতের ক্যারিয়ারের জনপ্রিয়তার কোনই কমতি নেই। শুধু তাই নয় দিন দিন বেড়েই চলেছে তার জনপ্রিয়তা।

সংগীত দুনিয়ায় এমন অর্জনে রুনা লায়লা কে অভিনন্দন জানাচ্ছে তার শুভাকাঙ্ক্ষী এবং ভক্তরা। সেই সাথে রুনা লায়লাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং ভিডিও বার্তা শুভেচ্ছা জানাই জানিয়েছেন গায়িকার ভাই, মেয়ে এবং স্বজনরা।

বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তির রুনা লায়লা তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মোট ১৮ টি ভাষায় প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন।

৬০ বছর পূর্ণ উপলক্ষে রুনা লায়লা সবার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের দোয়া, ভালবাসা এবং আশীর্বাদে আমি আজ এই পর্যন্ত এসেছি। এই ভালোবাসা আশীর্বাদ এবং শ্রদ্ধা যেন আমার প্রতি চিরকাল থাকে আপনাদের।

রুনা লায়লার স্বামী বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা আলমগীর বলেন, রুনা তার কাজের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস। এরকম সিরিয়াস কিংবা প্র্যাকটিস না করলে সংগীত জগতে ৬০ বছর টিকে থাকার কোনদিনও সম্ভব ছিল না।

সেই সাথে রুনা লায়লার মেয়ে এবং জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী আখি আলমগীর বলেন, আমরা আসলে অনেক গর্বিত যে আমাদের একজন সঙ্গীত শিল্পী রুনা লায়লা আছে।

রুনা লায়লা সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্ণ করলেন

রুনা লায়লা কে ভিডিও বার্তা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় শিল্পী সনু নিগাম। তিনিও বলেন, আপনি এত ভালো শিল্পী আপনি এত সুন্দর এবং আপনার ব্যবহার এত ভালো। আপনার সাথে একদিন দেখা করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। সে সময় যখন আমার চোখ খুলেছে তখন থেকে আমি আপনার গান শুনছি। আপনার এই অর্জনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

পুরো পৃথিবী আপনাকে ভালোবাসে এবং আমি আপনাকে ভালোবাসি।

বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পীর রুনা লায়লার এই অর্জুনে আরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের অভিনেতা ইমরান আব্বাস। তিনি বলেন বাকি জীবন আপনি গাইতে থাকুন এবং পৃথিবীকে সমৃদ্ধ করুন। পাকিস্তান থেকে ভালোবাসা জানাই।

সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা মাত্র ১২ বছর বয়সে জুগনু সিনেমার “গুরি আছে মুন্নি মেরে ভাইয়া কি পেয়ারে” গানটি গাওয়ার মধ্যে দিয়ে তার সঙ্গীত জীবন শুরু করেন। এই গানটি গাওয়া হয়েছিল ১৯৬৪ সালের ২৪ জুন।

তারপর থেকে সংগীতের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে রুনা লায়লা উপহার দিয়েছেন একের পর এক বিখ্যাত গান। বাংলা গানের পাশাপাশি তিনি হিন্দি ভাষায় অনেক গান গেয়েছেন। যে গানগুলি এখনো সংগীত জগতে বেশ সমাদৃত এবং জনপ্রিয়।

আমরা বাংলাদেশের এই জীবন্ত কিংবদন্তির দীর্ঘ আয়ু কামনা করি।