ঋণ পরিশোধের দোয়া বা ঋণ মুক্তির দোয়া

- আপডেট সময় : ০২:৪০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪ ৩০ বার পড়া হয়েছে
ঋণ পরিশোধের দোয়া আমাদের সবারই জানা উচিত। কারণ ঋণগ্রস্ত থাকা কিংবা ঋণ পরিশোধ করতে না পারা আমানতের বরখেলাপ। তাইতো ঋণ মুক্তির দোয়া নিয়মিত পাঠ করা উচিত। আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যেও সেই ব্যক্তি উত্তম, যে কিনা খুব ভালোভাবে তার ঋণ পরিশোধ করে।
তিনি আরও বলেন, ঋণ পরিশোধ না করা কবিরা গুনাহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
কিন্তু যদি কেউ ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয় তাহলে তার করণীয় কি? এ সময় তিনি ঋণ মুক্তির দোয়া পাঠ করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য চাইবেন।
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, একদা এক চুক্তিবদ্ধ ক্রীতদাস তার নিকট আসলো, তাকে বলল আমার চুক্তির টাকা পরিশোধ করতে আমি ব্যর্থ হয়ে পড়েছি। এ ব্যাপারে আপনি আমাকে দয়া করে সাহায্য করুন।
তখন হযরত আলী (রা.) বললেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি বাক্য শিখিয়ে দেবো যা আমাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিখিয়ে দিয়েছেন।
যদি তোমার উপর পর্বত সমানও ঋণ থাকে তবে মহান আল্লাহতালা তোমাকে সেটি পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিবেন।
তখন তিনি বললেন,
বাংলা উচ্চারণ:
“আল্লাহুম্মাকফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বি ফাদলিকা আম্মান সিওয়াক”
এর অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার হালাল এর মাধ্যমে আমাকে হারাম থেকে দূরে রাখো এবং তোমার অনুগ্রহ ছাড়া অন্য কারো মুখাপেক্ষী হওয়া থেকে আমাকে আত্মনির্ভরশীল এবং ঋণ মুক্ত করো। (তিরমিজি)
ঋণ পরিশোধের দোয়া বা ঋণ মুক্তির দোয়া
ঋণ মুক্তির দোয়াটি সকাল সন্ধ্যা পাঠ করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে হয়। তার পাশাপাশি ঋণের অর্থ পরিশোধের জন্য নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। তবেই মহান আল্লাহ তায়ালা এই ঋণ পরিশোধের দোয়াটির মাধ্যমে আপনার প্রতি অনুগ্রহ অর্পিত করবেন।
আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় ভয়, চিন্তা ইত্যাদির পাশাপাশি ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া পাঠ করে আল্লাহ তা আলার সাহায্য চাইতেন।
আপনি যদি বিশুদ্ধ নিয়তে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া পাঠের মধ্যে মাধ্যমে অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন তাহলে আপনার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
এছাড়া মুমিন মুসলমানদের সব সময় যেকোন বিপদ-আপদে মহান আল্লাহ তায়ালার শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা অনেক সময় আল্লাহর কথা ভুলে গিয়ে মানুষের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি। মানুষ কখনোই সাহায্যের করতে পারে না। সকল সাহায্য এবং অনুগ্রহ আসে মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট হতে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবু রাবিআ আল মাখযুমি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন,
আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) একবার হুনাইন যুদ্ধের সময় তার নিকট হতে প্রায় ৩০ অথবা ৪০ হাজার দিরহাম ঋণ নিয়েছিলেন।
তারপর হুনাইন যুদ্ধ শেষে নবীজি (সা.) ফেরত এসে তার সমস্ত পাওনা পরিশোধ করেন। এরপর তিনি তার জন্য দোয়া করেন।
মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে ঋণ হতে দূরে রাখার তৌফিক দান করুন। আপনি ঋণ পরিশোধের দোয়া কিংবা ঋণ মুক্তির দোয়া পাঠের পাশাপাশি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করার।