রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অনেকেই মনে করেন মানুষের রিজিক হয়তোবা নির্ধারিত। কিন্তু দোয়ার মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধি করা যায়। আজকে এমন বিশেষ কিছু আমলের কথা আমি আপনাদেরকে জানাবো যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা রিজিক বৃদ্ধির জন্য আল্লাহর কাছে অনুগ্রহ প্রার্থনা করতে পারেন।

বেশি বেশি তওবা এবং ইস্তেগফার করা

বেশি বেশি তওবা এবং ইস্তেগফার করার মাধ্যমে বান্দার রিজিক বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে এ ব্যাপারে বলেছেন, আমি তাদেরকে বলেছি, তোমার নিজ প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চাও। অবশ্যই তিনি অনেক ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদেরকে আসমান হতে অনেক বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধন সম্পদ, সন্তান-সন্ততিতে উন্নতি দান করবেন। তোমাদেরকে আরো বাগানবাগিচা এবং নদী নালা দান করবেন।
(সূরা নূহ, আয়াত:১০-১২; সূরা ওয়াকিয়া: আয়াত – ৮২)

আল্লাহর উপর সবসময় আস্থা রাখা

যে সকল আমল এবং কাজকর্মের মধ্যে রিজিক বৃদ্ধি পায় তার মধ্যে অন্যতম হলো পরহেজগারি অবলম্বন করা এবং মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি সকল বিষয়ে ভরসা রাখা।

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, আর যে ব্যক্তি আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করবে আল্লাহ তাআলা তার জন্য উত্তরণের পথ বের করে দেবেন। সেই সাথে তিনি এমন উৎস থেকে রিজিক প্রদান করবেন যা সে কোনদিন কল্পনাও করেনি। (সূরা সাদ, আয়াত: ৩৫)

আমাদের প্রিয় নবী রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তোমরা যদি মহান আল্লাহ তাআলার প্রতি যথার্থভাবে ভরসা রাখ। তাহলে তিনি তোমাদেরকে এমন ভাবে রিজিক প্রদান করবেন যেমনটা তিনি পাখিদের দান করে থাকেন। পাখিরা সকালবেলা ক্ষুধার্ত এবং খালি পেটে বাসা থেকে বের হয়, তারপর সন্ধ্যা বেলা পেট খাবার দ্বারা পূর্ণ করে বাসায় ফেরত আসে। (তিরমিজি, ২৩৪৪)

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল

সময় মত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা এবং ইবাদতের জন্য নিজেকে মুক্ত করা

সময়মত দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করলে রিজিক বৃদ্ধি পায়। তবে নামাজ আদায় করার ফাঁকে ফাঁকে অবশ্যই ব্যবসা, বাণিজ্য এবং কাজ করতে হবে। কিন্তু ব্যবসায়, বাণিজ্য কিংবা কাজকে মুখ্য রেখে নামাজকে অবহেলা করা যাবে না। সেই সাথে মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত পালনে নিজেকে ঝামেলা মুক্ত করতে হবে। এতে করে আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ পাওয়া যায়।

এগুলো ছাড়া রিজিক বৃদ্ধির আরো অনেক আমল রয়েছে,

• হজ এবং ওমরা পালন করা
• আল্লাহর রাস্তায় হিজরত করা
• আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা
• গরিব, অসহায় এবং এতিমদের প্রতি সদয় হওয়া
• যেকোন বিপদে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা
• রিজিক অর্জনের চেষ্টায় থাকা; ইত্যাদি।

আমরা সকল বিপদে আপদে এবং রিজিক বৃদ্ধিতে সবসময় মহান আল্লাহতালার কাছে অনুগ্রহ এবং সাহায্য প্রার্থনা করব। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করব এবং পাশাপাশি রিজিকের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কাজকর্মে নিজেকে নিয়োজিত করব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল

আপডেট সময় : ০৩:০২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

অনেকেই মনে করেন মানুষের রিজিক হয়তোবা নির্ধারিত। কিন্তু দোয়ার মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধি করা যায়। আজকে এমন বিশেষ কিছু আমলের কথা আমি আপনাদেরকে জানাবো যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা রিজিক বৃদ্ধির জন্য আল্লাহর কাছে অনুগ্রহ প্রার্থনা করতে পারেন।

বেশি বেশি তওবা এবং ইস্তেগফার করা

বেশি বেশি তওবা এবং ইস্তেগফার করার মাধ্যমে বান্দার রিজিক বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে এ ব্যাপারে বলেছেন, আমি তাদেরকে বলেছি, তোমার নিজ প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চাও। অবশ্যই তিনি অনেক ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদেরকে আসমান হতে অনেক বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধন সম্পদ, সন্তান-সন্ততিতে উন্নতি দান করবেন। তোমাদেরকে আরো বাগানবাগিচা এবং নদী নালা দান করবেন।
(সূরা নূহ, আয়াত:১০-১২; সূরা ওয়াকিয়া: আয়াত – ৮২)

আল্লাহর উপর সবসময় আস্থা রাখা

যে সকল আমল এবং কাজকর্মের মধ্যে রিজিক বৃদ্ধি পায় তার মধ্যে অন্যতম হলো পরহেজগারি অবলম্বন করা এবং মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি সকল বিষয়ে ভরসা রাখা।

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, আর যে ব্যক্তি আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করবে আল্লাহ তাআলা তার জন্য উত্তরণের পথ বের করে দেবেন। সেই সাথে তিনি এমন উৎস থেকে রিজিক প্রদান করবেন যা সে কোনদিন কল্পনাও করেনি। (সূরা সাদ, আয়াত: ৩৫)

আমাদের প্রিয় নবী রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তোমরা যদি মহান আল্লাহ তাআলার প্রতি যথার্থভাবে ভরসা রাখ। তাহলে তিনি তোমাদেরকে এমন ভাবে রিজিক প্রদান করবেন যেমনটা তিনি পাখিদের দান করে থাকেন। পাখিরা সকালবেলা ক্ষুধার্ত এবং খালি পেটে বাসা থেকে বের হয়, তারপর সন্ধ্যা বেলা পেট খাবার দ্বারা পূর্ণ করে বাসায় ফেরত আসে। (তিরমিজি, ২৩৪৪)

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল

সময় মত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা এবং ইবাদতের জন্য নিজেকে মুক্ত করা

সময়মত দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করলে রিজিক বৃদ্ধি পায়। তবে নামাজ আদায় করার ফাঁকে ফাঁকে অবশ্যই ব্যবসা, বাণিজ্য এবং কাজ করতে হবে। কিন্তু ব্যবসায়, বাণিজ্য কিংবা কাজকে মুখ্য রেখে নামাজকে অবহেলা করা যাবে না। সেই সাথে মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত পালনে নিজেকে ঝামেলা মুক্ত করতে হবে। এতে করে আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ পাওয়া যায়।

এগুলো ছাড়া রিজিক বৃদ্ধির আরো অনেক আমল রয়েছে,

• হজ এবং ওমরা পালন করা
• আল্লাহর রাস্তায় হিজরত করা
• আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা
• গরিব, অসহায় এবং এতিমদের প্রতি সদয় হওয়া
• যেকোন বিপদে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা
• রিজিক অর্জনের চেষ্টায় থাকা; ইত্যাদি।

আমরা সকল বিপদে আপদে এবং রিজিক বৃদ্ধিতে সবসময় মহান আল্লাহতালার কাছে অনুগ্রহ এবং সাহায্য প্রার্থনা করব। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করব এবং পাশাপাশি রিজিকের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কাজকর্মে নিজেকে নিয়োজিত করব।