আগামী নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মনোনয়ন পত্র দেওয়া হয়েছে। উক্ত ঘোষণায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের রানিং মেটের বা ভাইস প্রেসিডেন্টের নামও ঘোষণা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবারে উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান পার্টির একটি জাতীয় সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয়া হয়। উক্ত জাতীয় পার্টির সম্মেলনে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে অঙ্গরাজ্যের সিনেটর জে ডি ভান্সের নাম ঘোষণা করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড ট্রাম্প। অবশ্য জে ডি ভান্স একসময় ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ছিলেন। কিন্তু ক্যাপিটাল হিলে ঘটে যাওয়া ২০২১ সালের ঘটনার পর থেকে তিনি ট্রাম্পের অতি ঘনিষ্ঠ হন।

আদর্শ গতভাবে রিপাবলিকানরা মনে করেন তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরখুবই কাছের। আসন্ন নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণা চালাতে এবং দায়িত্ব পালন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে তাদের ধারণা।

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা

রিপাবলিকান জাতীয় পার্টির সম্মেলন গুলি চলবে আগামী ১৮ জুলাই পর্যন্ত। প্রতি ৪ বছরে একবার সম্মেলনে আয়োজন করে দলটি। এবারের সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রিপাবলিকান দলের প্রায় ২৩৮৭ জন জন প্রতিনিধি তার পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন। অবশ্য রিপাবলিকান দলের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন করা হবে সে বিষয়ে অনেক আগে থেকেই ধারণা করা গিয়েছিল। এখন শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে সেটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার ৪৫ তম রাষ্টপতির ছিলেন। রাষ্ট্রপতি পরিচয় ছাড়াও তিনি একজন ধনাট্য ব্যাক্তি এবং সফল ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন এবং সামাজিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রবাসীদের কাছে অসাধারণ মর্যাদা পেয়েছেন।

আমরা এ ব্যাপারে শুনেছি যে ট্রাম্প কিছুদিন আগেই একটি হামলার শিকার হয়েছিলের। দলীয় একটি সম্মেলনে তার ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করা হয়। তিনি এ হামলায় ডান কানে আঘাত প্রাপ্ত হন। নিরাপত্তা কর্মীরা ট্রাম্পকে দ্রুত ঘটনারস্থল থেকে দ্রুত সরিয়ে নেয়। কিন্তু সেখানে সম্মেলনে উপস্থিতদের মধ্যে একজন নিহত হন এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে হামলাকারী নিহত হন। অবশ্য এই ঘটনার পরে খুব দ্রুতই সেরে উঠেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এই ব্যাপারে অনেক সংবাদ মাধ্যম বলছে এটি নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি এই একটি ঘটনা পুরো নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে দিতে পারে নতুন আকার।

জোর হাতে ক্ষমা চাইলেন নীতা আম্বানি বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।