পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ বরিশাল অঞ্চলে লোডশেডিং
- আপডেট সময় : ১১:৩৯:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ৬ টি জেলায় বিগত ৩ দিন দিন ধরে ব্যাপক হারে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। তীব্র গরমে বিদ্যুতের অভাবে এই অঞ্চলের প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহক চরম ভোগান্তিতে আছেন। শহরের চাইতে গ্রামের লোকজন বেশি বিদ্যুৎ সমস্যায় ভুগছেন।
পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক শাহ মণি জিকো জানিয়েছেন দুটি ইউনিট বন্ধ থাকায় সাময়িকভাবে এই সমস্যা হচ্ছে। সেই সাথে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করেন পশ্চিম অঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা। উক্ত সংস্থাটির অধীনে প্রায় ৬ লাখ ৭০ হাজার গ্রাহক সেবা গ্রহন করেছেন। তার মধ্য বরিশাল শহরে রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজারে গ্রাহক। সেই সাথে উপজেলা সদর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে বরিশাল যে বিভাগের ৬ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে গ্রাহক আছেন প্রায় ২১ লাখ ৬৫ হাজার জন।
বরিশাল জেলার বরগুনার গ্রামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, তীব্র গরম এবং রাতের বেলা বিদ্যুৎ না থাকায় ঘুমে অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমাদের এলাকায় প্রায় ২৪ ঘন্টায় দিনে ৮ ঘন্টা এবং রাতে ৬ ঘন্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিদ্যুৎ না থাকার মতই পরিস্থিতি হয়েছে।
পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ বরিশাল অঞ্চলে লোডশেডিং
ঘন ঘন ও লোডশেডিং এর কারণে মানুষের জীবনযাত্রা অনেকটা থমকে যাওয়ার পথে। দোকানপাট ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে মানুষ বেশ সমস্যায় ভুগছেন। সে সাথে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ক্লিনিক গুলোতে জরুরী অপারেশন এবং সঠিক চিকিৎসা মানও নিশ্চিত করতে ব্যাঘাত করছে।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, আগামী ৩০ শে জুন রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা। বোর্ডের অধীনে এই বছর এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে প্রায় ৬৬ হাজার ৫৬২ জন শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে টানা লোডশেডিং এর কারণে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছে। সেই সাথে তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও বেশ ব্যাঘাত হচ্ছে। ফলে প্রস্তুতি নিয়ে তারা মানসিক চাপে ভূগছে।
পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক সাংবাদিকদের কে জানান, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি একটি অনেক বড় প্রজেক্ট। এই প্রোজেক্টের বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়মিত ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন অনেক রক্ষণাবেক্ষণ। সর্বোচ্চ ১ সপ্তাহের মধ্যে আমরা সকল সমস্যা কাটিয়ে পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারব।