কোটা বিরোধী আন্দোলনে নতুন কর্মসূচি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২০:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে

কোটা বিরোধী আন্দোলনে নতুন কর্মসূচি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিগত কয়েকদিন ধরে চলছে সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন। এ সকল আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার অনলাইনে এবং অফলাইনের সারা দেশে আন্দোলনের পক্ষে গণসংযোগ চালিয়েছে। তবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ঢাকা-টাংগাইল মহাসড়কে অবরোধ এবং সমাবেশ করেছেন।

কোটা বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বাধা প্রধান করে এবং হলে অংশ নিতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।

চলমান শিক্ষার্থী এবং চাকরির প্রত্যাশীদের কোটা বিরোধী আন্দোলনে এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি প্রত্যয় আন্দোলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থ জানিয়েছে বিএনপি গণতন্ত্র মন্ত্র জাতীয় পার্টির সহ দেশের অন্যান্য বিরোধী দলগুলো। এমনকি কোন কোন দল সমর্থন করে বলেছে এটি হবে বাংলাদেশের আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ।

রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শ্রেণীগত আন্দোলন গুলোতে সবসময় এরকম যে দল গুলো বেশি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। এর আগে আন্দোলনের সময় পেশাজীবীদের আন্দোলন বেশ ভালোভাবে চললেও পরবর্তী সময়ে সেটি ধীরে ধীরে রাজনৈতিক পরিবেশে রূপ নেয়।

কোটা বিরোধী আন্দোলনে নতুন কর্মসূচি

সেই সাথে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ের জন্য তার মঞ্চ বিরোধী আন্দোলন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে। এমনকি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে সংঘটিত হওয়া ফারাক্কার আন্দোলনের সহযোগী ছিলেন জিয়াউর রহমানের সরকার।

এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আন্দোলনকে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যে আমার কোটা বিষয়ে কি কি করতে হবে সে বিষয়ে সুপারিশ এবং পর্যবেক্ষণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে। গত ঈদের আগেই এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয় কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিশৃঙ্খলা করলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ বাড়াতে পারে। এতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এতে করে ছাত্রলীগের উপরে এর সকল ঘটনার দায়ী চাপিয়ে কোটা আন্দোলন আরো বেশি তীব্র আকার ধারন করতে পারে।

কোটাবিরোধী আন্দোলনের উক্ত পদক্ষেপের প্রতিবেদনে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সকল এলাকাগুলোতে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করার ব্যাপারে জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কোটা বিরোধী আন্দোলনে নতুন কর্মসূচি

আপডেট সময় : ১২:২০:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

বিগত কয়েকদিন ধরে চলছে সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন। এ সকল আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার অনলাইনে এবং অফলাইনের সারা দেশে আন্দোলনের পক্ষে গণসংযোগ চালিয়েছে। তবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ঢাকা-টাংগাইল মহাসড়কে অবরোধ এবং সমাবেশ করেছেন।

কোটা বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বাধা প্রধান করে এবং হলে অংশ নিতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।

চলমান শিক্ষার্থী এবং চাকরির প্রত্যাশীদের কোটা বিরোধী আন্দোলনে এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি প্রত্যয় আন্দোলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থ জানিয়েছে বিএনপি গণতন্ত্র মন্ত্র জাতীয় পার্টির সহ দেশের অন্যান্য বিরোধী দলগুলো। এমনকি কোন কোন দল সমর্থন করে বলেছে এটি হবে বাংলাদেশের আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ।

রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শ্রেণীগত আন্দোলন গুলোতে সবসময় এরকম যে দল গুলো বেশি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। এর আগে আন্দোলনের সময় পেশাজীবীদের আন্দোলন বেশ ভালোভাবে চললেও পরবর্তী সময়ে সেটি ধীরে ধীরে রাজনৈতিক পরিবেশে রূপ নেয়।

কোটা বিরোধী আন্দোলনে নতুন কর্মসূচি

সেই সাথে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ের জন্য তার মঞ্চ বিরোধী আন্দোলন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে। এমনকি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে সংঘটিত হওয়া ফারাক্কার আন্দোলনের সহযোগী ছিলেন জিয়াউর রহমানের সরকার।

এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আন্দোলনকে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যে আমার কোটা বিষয়ে কি কি করতে হবে সে বিষয়ে সুপারিশ এবং পর্যবেক্ষণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে। গত ঈদের আগেই এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয় কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিশৃঙ্খলা করলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ বাড়াতে পারে। এতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এতে করে ছাত্রলীগের উপরে এর সকল ঘটনার দায়ী চাপিয়ে কোটা আন্দোলন আরো বেশি তীব্র আকার ধারন করতে পারে।

কোটাবিরোধী আন্দোলনের উক্ত পদক্ষেপের প্রতিবেদনে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সকল এলাকাগুলোতে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করার ব্যাপারে জানানো হয়েছে।