জোর হাতে ক্ষমা চাইলেন নীতা আম্বানি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

জোর হাতে ক্ষমা চাইলেন নীতা আম্বানি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্বের ধনীদের তালিকায় ১১ নম্বরে এবং এশিয়ার মধ্যে এক নম্বরে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। মুকেশ আম্বানির স্ত্রীর নাম নীতা আম্বানি। বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বসের তালিকা মতে আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৩০.৭ বিলিয়ন ডলার। আর এই আম্বানি দম্পতি ছেলের বিয়েতে যে আয়োজন করেছে তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল।

অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের উৎসবে থেকে কিছুটা সময় বের করে সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানি। সেই সময় তিনি পড়েছিলেন গোলাপি রঙের ঝলমল উজ্জ্বল শাড়ি। পাশে থাকার জন্য সাংবাদিক কর্মীদের তিনি ধন্যবাদ জানান। এরপর দুই হাত জোড় করে সাংবাদিকদের কে বলেন, “বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান তো-কোন ভুল ত্রুটি হলে আমাদের ক্ষমা করবেন সবাই। শুধু তাই নয় অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের পরবর্তী অনুষ্ঠানগু লোতে সাংবাদিকদেরকে সপরিবারে আসতেও বলেন নীতা আম্বানি।

তিনি আরো বলেন, সকল পরিস্থিতি ধৈর্য ধরে বোঝার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ। যদি কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি হয়ে থাকে তাহলে দয়া করে আমাদের ক্ষমা করবেন। কারণ বিয়ে বাড়িতে এ ধরনের ভুল ত্রুটি হতে পারে। আশা করি আপনারা সবাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালো আছেন।। আপনারা সবাই কালকের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন আশা করি। সবাই পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।

নীতা আম্বানির এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ব্যাপক হারে ভরা হয়েছে। নেটিজেন্ডরা খুবই মুগ্ধতার এই আন্তরিক ব্যবহারে। এক ব্যক্তি ফেসবুক পোস্টে কমেন্টস করেন, “ব্যাংকে টাকা থাকলেই হয় না, সেই সাথে এমন ব্যবহারও থাকতে হয়, তবেই তো তুমি ধনী”।

জোর হাতে ক্ষমা চাইলেন নীতা আম্বানি

অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয় ১২ জুলাই শুক্রবার থেকে। ওইদিনই তাদের বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। মুম্বাইয়ের বিখ্যাত জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে তাদের এই বিয়ের আসর শেষ হয়।

এর আগের ১২ জুলাই এশিয়ার সবচাইতে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির বাড়িতে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হয়। মুম্বাইয়ের অল্ডমাউন্ট রোডে তার বিখ্যাত বাড়িটির নাম হচ্ছে এন্টেলিয়া। ৪ লাখ বর্গফুটের এই বাড়িটি মোট ২৭ তলা এবং বাড়িটির উচ্চতা ৫৭০ ফুট। সেই বাড়ির সামনেই উপস্থিত হয় পৃথিবীর বিখ্যাত বিখ্যাত সব তারকারা। অনন্ত আম্বানি তিন ছেলের মধ্যে সবচাইতে ছোট। সেই হিসেবে বাড়ির শেষ বিয়ে এটি। নিজের ছেলের বিয়েতে কোন কিছুই বাদ রাখেননি মুকেশ আম্বানি এবং নীতা আম্বানি।

বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়াও এর আগে দুটো প্রাক বিবাহত্তোর অনুষ্ঠান হয়েছে। যার মধ্যে একটি অনুষ্ঠিত হয়েছে গুজরাটের জামনগরে এবং আরেকটি হয়েছে ইতালির বিশাল আলিশান ক্রুজে। বলিউডের বিখ্যাত সব তারকাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হলিউড সহ বিশ্বের নানা গায়ক এবং অভিনেতা। এমনকি ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গও ছিলেন।

ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্বনামধন্য ব্যক্তিরা নীতা আম্বানির ছেলের বিয়েতে উপস্থিত হয়েছিলেন। এর মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আমেরিকা থেকে এসেছিলাম প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং তার স্বামী নিক জোনাস।

শুধুমাত্র অতিথিদের আনা নেওয়ার জন্যই নীতা আম্বানি ও মুকেশ আম্বানি তিনটি জেট বিমান ভাড়া করেন। যেহেতু অতিথিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন তাই তাদের নিয়ে পরিবহন করতে বিমান গুলো একাধিকবার যাতায়াত করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জোর হাতে ক্ষমা চাইলেন নীতা আম্বানি

আপডেট সময় : ১০:৩৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

বিশ্বের ধনীদের তালিকায় ১১ নম্বরে এবং এশিয়ার মধ্যে এক নম্বরে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। মুকেশ আম্বানির স্ত্রীর নাম নীতা আম্বানি। বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বসের তালিকা মতে আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৩০.৭ বিলিয়ন ডলার। আর এই আম্বানি দম্পতি ছেলের বিয়েতে যে আয়োজন করেছে তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল।

অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের উৎসবে থেকে কিছুটা সময় বের করে সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানি। সেই সময় তিনি পড়েছিলেন গোলাপি রঙের ঝলমল উজ্জ্বল শাড়ি। পাশে থাকার জন্য সাংবাদিক কর্মীদের তিনি ধন্যবাদ জানান। এরপর দুই হাত জোড় করে সাংবাদিকদের কে বলেন, “বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান তো-কোন ভুল ত্রুটি হলে আমাদের ক্ষমা করবেন সবাই। শুধু তাই নয় অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের পরবর্তী অনুষ্ঠানগু লোতে সাংবাদিকদেরকে সপরিবারে আসতেও বলেন নীতা আম্বানি।

তিনি আরো বলেন, সকল পরিস্থিতি ধৈর্য ধরে বোঝার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ। যদি কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি হয়ে থাকে তাহলে দয়া করে আমাদের ক্ষমা করবেন। কারণ বিয়ে বাড়িতে এ ধরনের ভুল ত্রুটি হতে পারে। আশা করি আপনারা সবাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালো আছেন।। আপনারা সবাই কালকের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন আশা করি। সবাই পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।

নীতা আম্বানির এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ব্যাপক হারে ভরা হয়েছে। নেটিজেন্ডরা খুবই মুগ্ধতার এই আন্তরিক ব্যবহারে। এক ব্যক্তি ফেসবুক পোস্টে কমেন্টস করেন, “ব্যাংকে টাকা থাকলেই হয় না, সেই সাথে এমন ব্যবহারও থাকতে হয়, তবেই তো তুমি ধনী”।

জোর হাতে ক্ষমা চাইলেন নীতা আম্বানি

অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয় ১২ জুলাই শুক্রবার থেকে। ওইদিনই তাদের বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। মুম্বাইয়ের বিখ্যাত জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে তাদের এই বিয়ের আসর শেষ হয়।

এর আগের ১২ জুলাই এশিয়ার সবচাইতে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির বাড়িতে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হয়। মুম্বাইয়ের অল্ডমাউন্ট রোডে তার বিখ্যাত বাড়িটির নাম হচ্ছে এন্টেলিয়া। ৪ লাখ বর্গফুটের এই বাড়িটি মোট ২৭ তলা এবং বাড়িটির উচ্চতা ৫৭০ ফুট। সেই বাড়ির সামনেই উপস্থিত হয় পৃথিবীর বিখ্যাত বিখ্যাত সব তারকারা। অনন্ত আম্বানি তিন ছেলের মধ্যে সবচাইতে ছোট। সেই হিসেবে বাড়ির শেষ বিয়ে এটি। নিজের ছেলের বিয়েতে কোন কিছুই বাদ রাখেননি মুকেশ আম্বানি এবং নীতা আম্বানি।

বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়াও এর আগে দুটো প্রাক বিবাহত্তোর অনুষ্ঠান হয়েছে। যার মধ্যে একটি অনুষ্ঠিত হয়েছে গুজরাটের জামনগরে এবং আরেকটি হয়েছে ইতালির বিশাল আলিশান ক্রুজে। বলিউডের বিখ্যাত সব তারকাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হলিউড সহ বিশ্বের নানা গায়ক এবং অভিনেতা। এমনকি ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গও ছিলেন।

ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্বনামধন্য ব্যক্তিরা নীতা আম্বানির ছেলের বিয়েতে উপস্থিত হয়েছিলেন। এর মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আমেরিকা থেকে এসেছিলাম প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং তার স্বামী নিক জোনাস।

শুধুমাত্র অতিথিদের আনা নেওয়ার জন্যই নীতা আম্বানি ও মুকেশ আম্বানি তিনটি জেট বিমান ভাড়া করেন। যেহেতু অতিথিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন তাই তাদের নিয়ে পরিবহন করতে বিমান গুলো একাধিকবার যাতায়াত করে।