ইনপুট আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে এবং কিভাবে চিনবেন
- আপডেট সময় : ০৩:৫৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৮ বার পড়া হয়েছে
মাধ্যমিক পর্যায়ে এবং বিভিন্ন চাকুরীর পরীক্ষায় ইনপুট আউটপুট ডিভাইস সম্পর্কে প্রশ্ন এসে থাকে। বিশেষ করে বহুনির্বাচনি পরীক্ষা গুলোতে ৪ টি অপশন দেওয়া থাকে যার ভেতর থেকে নির্বাচন করতে হয় সঠিক ডিভাইসটি। আপনাদের যদি এ ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা না থাকে তাহলে নিচের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এতে করে আপনি এ সম্পর্কিত সকল প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানতে পারবেন।
ইনপুট ডিভাইস কি
ইনপুট শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রবেশ করানো। অর্থাৎ আপনি যদি কোন মোবাইল, ডিভাইস বা কম্পিউটারে তথ্য প্রবেশ করান সেটাকেই বলা হয় ইনপুট। তথ্য ইনপুট বিভিন্ন মাধ্যমে করা যায়। উদাহাণ স্বরূপ বলতে পারি আমরা হাত দিয়ে টাচস্ক্রিন মোবাইলে লিখা টাইপ করে থাকি। এই ক্ষেত্রে মোবাইলের স্ক্রিন বা ডিসপ্লে একটি ইনপুট যন্ত্র হিসেবে কাজ করে।
কারণ ডিসপ্লেতে থাকা অক্ষর গুলো চাপ দিয়ে দিয়ে আমরা মোবাইলের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রবেশ করাচ্ছি। অনেক সময় বিভিন্ন রকম যন্ত্র ইনপুট ডিভাইস হিসেবে কাজ করে। যার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে কম্পিউটারের মাউস। মাউস ইনপুট ডিভাইস। কারণ এটি দ্বারা আমরা কম্পিউটারের ভেতরের বিভিন্ন কাজকর্ম করে থাকি এবং তথ্য প্রবেশ করাই।
আবার মোবাইলের স্ক্রিন আউটপুট ডিভাইসের হিসেবে কাজ করে। যখন কোন ছবি কিংবা তথ্য আমাদের সামনে উপস্থাপন করে তখন সেটাকে আমরা আউটপুট হিসেবে দেখতে পাই।
আউটপুট ডিভাইস বলতে কি বুঝায়
আশা করি আপনারা ইতিমধ্যে আউটপুট সম্পর্কেও কিছুটা ধারণা লাভ করেছেন। এর অন্যতম একটি উদাহরণ হচ্ছে সাউন্ড স্পিকার। এটি কম্পিউটার মোবাইল কিংবা টিভিতে থাকা বিভিন্ন ধরনের গান, শব্দ আমাদেরকে আউটপুট করে শোনায়। এমনকি প্রিন্টার এক ধরনের আউটপুট ডিভাইস। যেটির মাধ্যমে কম্পিউটারের ভেতরে থাকা বিভিন্ন রকমের ডকুমেন্টস এবং লেখা গুলি আমরা কাগজে প্রিন্ট করতে পারি।
সহজ বাংলায় যে সকল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা তথ্য দেখতে পারি, বের করতে পারি সেগুলো হচ্ছে আউটপুট সিস্টেম সিস্টেম।
আর যে সকল পদ্ধতিতে আমরা বিভিন্ন তথ্য যন্ত্র কিংবা কম্পিউটারের মধ্যে প্রবেশ করায় সেগুলোকে বলা হয় ইনপুট সিস্টেম।
মাউস কি ইনপুট নাকি আউটপুট ডিভাইস?
আমি আগেও একবার বলেছি এটি দ্বারা যেহেতু কম্পিউটারের ভিতরে নানা রকম তথ্য প্রকাশ করানো হয় তাই এটি ইনপুট ডিভাইস।
কম্পিউটারের ডিসপ্লে আউটপুট নাকি ইনপুট?
সাধারণত কম্পিউটারের পর্দা বা ডিসপের মাধ্যমে আমরা ভেতরের বিভিন্ন তথ্য দেখতে পারি। তাই এটি আউটপুট ডিভাই। আর যদি এটি টাচ স্ক্রিন হয় এবং পর্দায় স্পর্শ করে বিভিন্ন তথ্য ও কম্পিউটারের ভেতরে প্রবেশ করাতে পারি তাহলে সেটি আউটপুট ডিভাইস হিসেবেও কাজ করে।
মোবাইলের স্ক্রিন ইনপুট না আউটপুট
এটি উভয় সিস্টেমে কাজ করে। কারণ টাচস্ক্রিন ফোন গুলোতে স্পর্শের মাধ্যমে এ সকল ধরনের তথ্য মোবাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করানো হয়।
উদাহরণ
• কিবোর্ড, জয় স্টিক, মাউস, মাইক্রোফোন, স্ক্যানার, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি ইনপুট ডিভাইসের উদাহরণ।
• ডিসপ্লে, ওয়েব ক্যাম, মনিটর, প্রজেক্টর হেডফোন স্পিকার, প্রিন্টার ইত্যাদি আউটপুট ডিভাইসের উদাহরণ।
উপরের ডিভাইস গুলো সহ আরো কিছু যন্ত্রাংশ রয়েছে যেগুলো কিনা একই সাথে উভয় সিস্টেমে কাজ করে থাকে। যার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের স্ক্রিন। আবার পেনড্রাইভও উভয় প্রক্রিয়ায় কাজ করে। এর মাধ্যমে আপনি কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রকাশ করাতে পারবেন আবার কম্পিউটার থেকে বিভিন্ন ডাটা পেনড্রাইভে সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন। অর্থাৎ এটি ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস।
আশা করি উপরের লেখা গুলো আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। কোন ধরনের ডিভাইস গুলো ইনপুট এবং কোন ধরনের যন্ত্র গুলো আউটপুট সেগুলো আপনি এখন থেকে সহজেই নির্বাচন পারবেন। এ ধরনের আরও প্রয়োজনীয় টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য কনটেন্ট গুলি ভিজিট করুন।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা কবে হবে? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।