ভারতে পদদলিত হয়ে ১০৭ জনের মৃত্যু

- আপডেট সময় : ১০:০১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪ ২৮ বার পড়া হয়েছে
ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি রাজ্যে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পায়ের নিচে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১০৭ এ দাঁড়িয়েছে। আজ ২ জুন মঙ্গলবার ভারতের হাথররস জেলায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
উক্ত অনুষ্ঠানে হিন্দু দেবতা শিবের পূজা উপলক্ষে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লী হতে ১৪০ কিলোমিটার দূরে হাথরস শহরে ওই আয়োজনের করা হয়। তবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতের পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে ইন্ডিয়ান সংবাদ মাধ্যম গুলো বিভিন্ন রকম হিসাব দিচ্ছে। ইন্ডিয়ান সংবাদমাধ্যম এনডিটি জানিয়েছে, পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৮৭ জন। আর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের হিসাব মতে মারা গিয়েছে প্রায় ৫০ জনের মত। অন্যদিকে আরেকটি সংবাদ মাধ্যম দা হিন্দুর হিসেবে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৭০ জন।
স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, উক্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তীব্র গরমে দম বন্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে সমবেত পুণ্য প্রার্থীরা বিভিন্ন দিকে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। দৌড়াদৌড়ির সময় পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় পক্ষদর্শী একজন লোকের মাধ্যমে জানা যায়, ধর্মীয় অনুষ্ঠানটির শেষ হলে লোকজন তাড়াহুড়ো করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে শুরু করে। অতিরিক্ত জনসমাবেশের কারণে ধাক্কা লেগে পায়ের তলায় পিষ্ঠ হয়ে এই হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
ভারতের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে আহত এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের কে বলেন, সেখানে একসাথে অনেক বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিল। চারদিক থেকে এত মানুষ যে বের হওয়ার কোন উপায় ছিল না। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর সবাই একযোগে সেখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে। এতে করে ধাক্কা লেগে একজন আরেকজনের উপরে পড়তে থাকে। আমি সেখান থেকে বের হওয়ার সময় একটি মোটরসাইকেল দাঁড়ানো অবস্থায় দেখি। পরে কোনমতে সেখান থেকে বের হতে সফল হই।
ভারতে পদদলিত হয়ে ১০৭ জনের মৃত্যু
এদিকে ভারতের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শোক জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক পোস্টে তিনি বলেন, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের সময় এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রয়োগ করে থাকে। এর আগে ২০১৬ সালে কেরালায় একটি মন্দিরে নতুন বছর উদযাপনের সময় আতশবাজি থেকে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এর আগে ২০১৩ সালে মধ্যপ্রদেশে মন্দিরের কাছে একটি সেতুতে ১১৪ জন পুন্যপ্রার্থীর মৃত্যু ঘটে পদদলিত হয়ে। উক্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ একসাথে জড়ো হয়েছিল। সেই সময় একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে সেতুটি ভেঙে পড়তে। তাই তাড়াহুড়ো করে সেতু থেকে নামতে গিয়ে পদদলিত হয়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এর আগেও ২০০৮ সালে ভারতের রাজস্থানের যোধপুরে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে ২২৪ জনের মৃত্যু ঘটেছিল।