ধেয়ে আসছে হারিকেন বেরিল

- আপডেট সময় : ০৩:০৫:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪ ২৯ বার পড়া হয়েছে
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এর মাধ্যমে জানা গিয়েছে, আটলান্টিক ক্যারোবিও দ্বীপপুঞ্জের দিকে ধেয়ে আসছে হারিকেন বেরিল। সেই সাথে এগিয়ে চলার প্রবল শক্তির সঞ্চয় করছে এই ঝড়।
আমেরিকার ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার বলেছে, হারিকেন বেরিল বর্তমানে বারবাডোসের থেকে ৮৫০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে মহাসাগরে অবস্থান করছে। সকালের দিকে এটি আঘাত হানতে পারে। ইতিমধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
হারিকেন বেরিলের প্রভাবে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এর সবচাইতে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রানাইট ও গ্রানাডা দীপ অঞ্চল।
এনএইচসি ঘোষণা দিয়েছে, দুর্যোগ মোকাবেলায় সব রকমের প্রস্তুতি দ্রুত শেষ করার। সেই সাথে আক্রান্ত অঞ্চলের স্থানীয় সরকার এবং জরুরি পরিস্থিতিতে নিয়োজিত সকল স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জটি মার্টেনিক, সেন্ট লুসিয়া, গ্রানাডা সহ বেশ কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এই দ্বীপপুঞ্জে হারিকেন বেরিলের প্রভাবে খুবই উঁচু জলোচ্ছ্বাস, বড় বড় সামুদ্রিক ঢেউ এবং প্রবল বাতাস বইতে পারে।
ধেয়ে আসছে হারিকেন বেরিল
এদিকে আসন্ন ভয়ানক ঘূর্ণি ঝড়কে কেন্দ্র করে বারমাডোসের রাজধানীর বিভিন্ন দোকান গুলোতে ভিড় দেখা গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বা এর পরবর্তী সময়কালে বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনছেন তারা। সেই সাথে বিভিন্ন স্টেশনগুলোতে সারিবদ্ধ ভাবে গাড়ি দেখা গিয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করে কিছু পরিবার ইতিমধ্য ও তাদের মালামাল সরিয়ে নিয়েছে।
চলতি বছরের হারিকেন মৌসুমের প্রথম আগমন হচ্ছে হারিকেন বেরিল এর। দুদিন আগে শনিবার ভোরে আটলান্টিক মহাসাগরে এটির সৃষ্টি হয়। খুবই কম সময়ে এটি অনেক বেশি শক্তির সঞ্চয় করেছে।
সাধারণত জুনের শুরু থেকে নভেম্বর শেষ এ পর্যন্ত আটলান্টিক হারিকেনের মৌসুম চলে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এবারের হারিকেন অনেক বেশি শক্তিশালী যেটি ব্যতিক্রম। এই হারিকেনের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
এনএইচসি আরও বলেছেন, আজকে দিবাগত রাত থেকে সর্বাধিক উচ্চ দমকারসহ বাতাস এর পরিমান বেড়েছে। যার গতিবেগ ঘন্টায় প্রায় ৯০ মাইল।
এর ফলে উক্ত এলাকা গুলোতে ভারী বৃষ্টি বন্যা এবং ঝড়ের আভাস পাওয়া গেছে। স্বাভাবিকের চাইতে প্রায় ৭ ফুট উঁচু পানির স্তর বাড়তে পারে। সেই সাথে কিছু কিছু এলাকার বাতাসের গতিবেগ আগের চেয়েও আরও ৩০ গুণ বেশি শক্তিশালী হবে।
ইতিমধ্য হারিকোনটি ক্যাটাগরির ৪ এর মধ্যেও রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এটি ক্যাটাগরির তিন বা এর চাইতেও বড় ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। যার গতিবেগ হতে পারে ঘন্টায় প্রায় ১১১ মাইল।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক সময় গুলোতে হারিকেন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার একটি অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে হারিকেন বেরিল।