সারাদেশে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে মোমবাতি এবং দিয়াশলাই এবং মোমবাতি নিয়ে আসার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উক্ত নির্দেশনাটি দেয়া হয়েছে টাঙ্গাইলের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের।

গত ২৯ শে জুন শনিবার টাঙ্গাইলের নিরালায় মোড়ে অবস্থিত মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ বিভিন্ন ফেসবুক পেইজে পোস্ট করা হয়।

আমরা জানি আজ ৩০ শে জুন রবিবার সারা বাংলাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। টাঙ্গাইলের মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ কলেজ থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবার অংশগ্রহণ করছে।

কলেজ কর্তৃপক্ষের এরকম একটি নোটিশ খুব দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়। বিভিন্ন অভিভাবক এবং এটি নেটিজেনরা এ নিয়ে নানা রকম মন্তব্য করছে।। মন্তব্যের মুখে কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিবর্তিতে তাদের ফেসবুক পেইজ থেকে পোস্টটি ডিলিট করে দেয়।

উক্ত নোটিশে বলা হয়, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় সকল পরীক্ষার্থীদেরকে মোমবাতি ও দিয়াশালাই সঙ্গে আনার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। উক্ত নোটিশটি প্রস্তুত করেন ওই কলেজেের কম্পিউটার অপারেটর যার নাম সাজেয়া আফরিন।

এইচএসসি পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে মোমবাতি এবং দিয়াশলাই আনার নির্দেশ

এ ব্যাপারে মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান কলেজের অধ্যক্ষের সাথে কথা বললে তিনি জানান, টাঙ্গাইলের আরেকটি স্বনামধন্য কলেজ সন্তোষ মাওলানা ভাসানী কলেজের অধ্যক্ষের পরামর্শে নোটিশটি প্রদান করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় ডিলেট করা হয়েছে।

যেহেতু সারা দেশে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া চলছে তাই ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ একই নোটিশ জারি করেছে।

দিয়াশালাই এবং মোমবাতি আনার নির্দেশ দেওয়া ওই অধ্যক্ষ আরো বলেন, পরীক্ষা শুরুর দিন থেকে আগামী কয়েক দিন টানা দুর্যোগ পূর্ন আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। আমাদের কলেজে কোন জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই। তাই মোমবাতি ও দিয়াশালাই আনতে বলা হয়েছিল।

বিদ্যুৎ চলে গেলে পরীক্ষার্থীরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যাবে। এছাড়া ১ হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য এত মমবাতি জোগাড় করা সম্ভব নয়।

আজ ৩০ জুন থেকে শুরু হয়েছে এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা। ফেনী জয়নাল হাজারী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আরেকটি নোটিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

সেখানও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আবহাওয়ার কারণে পরীক্ষার্থীদের চার্জার লাইট এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ সঙ্গে আনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেহেতু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় না তাই এমন পদক্ষেপ।