বাংলাদেশের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এক ঘোষণার মাধ্যমে জানিয়েছেন, বন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়িয়ে আগামী বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে।

গত ৩০ শে জুন রবিবার বিকেলে ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা মিলনায়তন কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ব্যাপারে তিনি এই ঘোষণাটি দেন।

আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, কিভাবে পরীক্ষাটি আরো কম সময়ে নেওয়া যায় সে ব্যাপারে কাজ করছে। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এগিয়ে নেয়া হলে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে জানুয়ারিতে।

এছাড়া পেনশন পদ্ধতিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলছে। তাই তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অচল অবস্থা সৃষ্টি হওয়া নিয়ে আমি এই মুহূর্তে তেমন কিছু বলবো না। তারা একটি কর্মসূচি ইতিমধ্য ঘোষণা করেছেন।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ। এই দেশে সবারই রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতা রয়েছে। শিক্ষকদের এই অচল অবস্থা যদি আগামী কাল থেকে শুরু হয় তাহলে আমরা উক্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

আগামী বছর এইচএসসি পরীক্ষা কবে হবে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা মূলত সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে আজ ১ই জুলাই থেকে একযোগে কর্ম বিরতি দিয়েছেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ক্লাস এবং পরীক্ষা সহ সকল অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া সাংবাদিকদের কে বলেন, আমরা আশা করি সরকার আমাদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে নিবে। যাতে আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে পারি। অন্যথায় আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবো।

প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিলের পাশাপাশি তারা আরো দাবি জানিয়েছেন। তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন এবং সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি।

গত ৩০ শে জুন রবিবার থেকে সারা বাংলাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা। শুধুমাত্র বন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সিলেট বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত আছে।

এবার এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে জুন মাসের ৩০ তারিখ থেকে। কিন্তু আগামী বছর থেকে এইচএসসি ও সামমানের পরীক্ষা এপ্রিল মাসে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আবার শিক্ষার্থীরা যাতে সঠিক সময়ে সিলেবাস শেষ করতে পারে সেজন্য এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে জানুয়ারিতে নেয়া হবে।

এতে করে জুন জুলাই মাসের বন্য, বৃষ্টি কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়িয়ে পরীক্ষা শেষ করা সম্পন্ন হবে। আর এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রুত ক্লাস শুরু করতে পারবে।