একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে গত রবিবার রাত ৮ টায়। প্রথম ধাপে ভর্তি ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ৪৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী কোন কলেজে চান্স পাননি।

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির প্রথম ধাপে যারা কোন কলেজে চান্স পাননি তারা আগামী ৩০ শে জুন হতে দ্বিতীয় ধাপের আবেদন করতে পারবেন। এইচএসসি বা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন চলবে আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত।

২ জুলাই পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের আবেদন প্রকাশ শেষ হলে ৪ জুলাই ফল প্রকাশ করা হবে। ফল সাধারণত রাত ৮ টার পর প্রকাশ করা হয়। তারপর থেকে টানা ৪ দিন একাদশ শ্রেণীতে দ্বিতীয় ধাপের ভর্তি নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

অর্থাৎ যে সকল শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ধাপে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য যোগ্য বলে নির্বাচিত হবে তাদেরকে নির্ধারিত ফি দিয়ে নির্দিষ্ট কলেজে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদনের শুরু ৩০ জুন থেকে

কেউ যদি উক্ত সময়কালে কলেজ কিংবা ভর্তি নিশ্চিত না করে তাহলে তার ভর্তির সুযোগ বাতিল বলে গণ্য হবে এবং তৃতীয় ধাপে সে পুনরায় আবেদন করতে পারবে।

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির তৃতীয় ধাপের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ৯ জুলাই থেকে এবং শেষ হবে ১০ জুলাইয়ে।

তৃতীয় ধাপের ভর্তি ফলাফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই রাত ৮ টার পর।

এরপর সর্বশেষ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ১৫ জুলাই থেকে। উক্ত সময়ে কেউ যদি কলেজ পরিবর্তন করতে চায় তাহলে সেটি করতে পারবে।

আর একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির প্রথম ধাপে যারা উত্তীর্ণ হয়েছে তারা যদি ৩০ শে জুনের আগে ভর্তি নিশ্চায়ন না করে তাহলে তার আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।

এ বছর এসএসসি, দাখিল এবং সমমানের পরীক্ষায় সারা বাংলাদেশ হতে ১১ টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৪ হাজার ৫৯৭ জন।

উক্ত পরীক্ষার্থীর মধ্য পাশ করেছে প্রায় ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। কিন্তু সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি যোগ্য আসন আছে প্রায় ২৫ লাখের মতো।

অর্থাৎ সকল শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হলেও অনেক আসন ফাঁকা থাকবে।