পুরস্কারের আশায় জীবিত রাসেল ভাইপার ধরে নিয়ে গেলেন কৃষক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৬:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে

পুরস্কারের আশায় জীবিত রাসেল ভাইপার ধরে নিয়ে গেলেন কৃষক

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগ নেতা জীবিত রাসেল ভাইপারের বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন। সেই পুরস্কারের জন্য রেজাউল খান (৩২) নামের একজন কৃষক রাসেল ভাইপার সাপ মেরে নিয়ে হাজির হন ফরিদপুরের প্রেসক্লাবে।

এর আগে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সা মোঃ ইশতিয়াক আরিফ একটি ঘোষণা দেন। ঘোষণাটি হচ্ছে প্রতিটি রাসেল ভাইপার সাপের বিপরীতে তিনি ৫০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেবেন। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি আয়োজিত সভায় তিনি এ বক্তব্য দেন।

কৃষক রেজাউল করিম সাংবাদিকদের কে জানান, গত কাল বিকেলে আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকায় একটি কৃষি জমি চাষ করতে গিয়ে রাসেল ভাইপার সাপ দেখতে পান। তারপর সেটিকে না মেরে আশেপাশের লোকজনের সহায়তায় অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলে ভরে প্লাস্টিকের নেটের আবরণ দিয়ে পাতিলটির ঢাকনা বন্ধ করে দেন।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা সদর পৌরসভার ২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ আল হোসেন সাংবাদিকদের কে বলেন, রাসেল ভাইইপার সাপটি ধরার বিষয় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের কাছে বিবৃতি করা হলে তিনি সেটিকে বন বিভাগের জমা দিতে বলেন। বন বিভাগের প্রাপ্তির স্বীকার পত্র নিয়ে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলেছেন।

পুরস্কারের আশায় জীবিত রাসেল ভাইপার ধরে নিয়ে গেলেন কৃষক

কিন্তু আজকে দুপুরে ওই সাপ জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র নেওয়ার জন্য বন বিভাগে যাওয়া হলে বন বিভাগের পক্ষ থেকে পত্র দিতে না করা হয়।

রাসেল ভাইপার সাপ জীবিত ধরা কৃষক রেজাউল খান ফরিদপুরের সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার স্থানীয় ব্যক্তি মনুর উদ্দিন খানের ছেলে।

রাসেল ভাইপার সাপ এবং পুরস্কারের ঘটনায় ফরিদপুরে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস মিয়া সাংবাদিকদের কে বলেন, আমাদের দেশের আইনে সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী ধরার কোন বিধান নেই। জীবিত ও সরীসৃপ প্রাণী ধরাটা অপরাধের আওতায়। তবে কারো জালে আটকে গেলে সেটি ভিন্ন কথা।

সেজন্য আমি এগুলো নিয়ে কোন প্রাপ্তি স্বীকার পত্র দিতে পারি না। কৃষক রেজাউল করিম ছাড়াও রাসেল ভাইপার সাপের বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের আশায় এখন পর্যন্ত তিনজন আমাদের বন বিভাগে উপস্থিত হয়েছে। এরমধ্যে একহাত লম্বা দৈর্ঘ্যের রাসেল ভাইপার সাপের বাচ্চাও জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমি এ নিয়ে বিপদে আছি।

বর্তমানে দেশজুড়ে রাসেল ভাইপার সাপের আতঙ্ক বিরাজ করছে। পৃথিবীর মধ্যেও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজন মৃত্যুবরণ করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পুরস্কারের আশায় জীবিত রাসেল ভাইপার ধরে নিয়ে গেলেন কৃষক

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগ নেতা জীবিত রাসেল ভাইপারের বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন। সেই পুরস্কারের জন্য রেজাউল খান (৩২) নামের একজন কৃষক রাসেল ভাইপার সাপ মেরে নিয়ে হাজির হন ফরিদপুরের প্রেসক্লাবে।

এর আগে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সা মোঃ ইশতিয়াক আরিফ একটি ঘোষণা দেন। ঘোষণাটি হচ্ছে প্রতিটি রাসেল ভাইপার সাপের বিপরীতে তিনি ৫০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেবেন। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি আয়োজিত সভায় তিনি এ বক্তব্য দেন।

কৃষক রেজাউল করিম সাংবাদিকদের কে জানান, গত কাল বিকেলে আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকায় একটি কৃষি জমি চাষ করতে গিয়ে রাসেল ভাইপার সাপ দেখতে পান। তারপর সেটিকে না মেরে আশেপাশের লোকজনের সহায়তায় অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলে ভরে প্লাস্টিকের নেটের আবরণ দিয়ে পাতিলটির ঢাকনা বন্ধ করে দেন।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা সদর পৌরসভার ২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ আল হোসেন সাংবাদিকদের কে বলেন, রাসেল ভাইইপার সাপটি ধরার বিষয় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের কাছে বিবৃতি করা হলে তিনি সেটিকে বন বিভাগের জমা দিতে বলেন। বন বিভাগের প্রাপ্তির স্বীকার পত্র নিয়ে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলেছেন।

পুরস্কারের আশায় জীবিত রাসেল ভাইপার ধরে নিয়ে গেলেন কৃষক

কিন্তু আজকে দুপুরে ওই সাপ জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র নেওয়ার জন্য বন বিভাগে যাওয়া হলে বন বিভাগের পক্ষ থেকে পত্র দিতে না করা হয়।

রাসেল ভাইপার সাপ জীবিত ধরা কৃষক রেজাউল খান ফরিদপুরের সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার স্থানীয় ব্যক্তি মনুর উদ্দিন খানের ছেলে।

রাসেল ভাইপার সাপ এবং পুরস্কারের ঘটনায় ফরিদপুরে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস মিয়া সাংবাদিকদের কে বলেন, আমাদের দেশের আইনে সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী ধরার কোন বিধান নেই। জীবিত ও সরীসৃপ প্রাণী ধরাটা অপরাধের আওতায়। তবে কারো জালে আটকে গেলে সেটি ভিন্ন কথা।

সেজন্য আমি এগুলো নিয়ে কোন প্রাপ্তি স্বীকার পত্র দিতে পারি না। কৃষক রেজাউল করিম ছাড়াও রাসেল ভাইপার সাপের বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের আশায় এখন পর্যন্ত তিনজন আমাদের বন বিভাগে উপস্থিত হয়েছে। এরমধ্যে একহাত লম্বা দৈর্ঘ্যের রাসেল ভাইপার সাপের বাচ্চাও জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমি এ নিয়ে বিপদে আছি।

বর্তমানে দেশজুড়ে রাসেল ভাইপার সাপের আতঙ্ক বিরাজ করছে। পৃথিবীর মধ্যেও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজন মৃত্যুবরণ করেছে।