নবম শ্রেণীর বইয়ে অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২২:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪ ২১ বার পড়া হয়েছে

নবম শ্রেণীর বইয়ে অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইট

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এবার বিতর্ক শুরু হয়েছে নতুন করে নবম শ্রেনীর জীবন ও জীবিকা বইয়ের একটি কিউআর কোড নিয়ে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বেশ সমালোচনা এবং আলোচনার ঝড়।

নবম শ্রেণীর জীবন ও জীবিকা বইয়ে অন্তর্বাস বিক্রির একটি ওয়েবসাইটের কিউআর কোড ব্যবহার করা হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষক এবং অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নবম শ্রেণীর বইয়ে অন্তর্বাস বিক্রির এমন কিউআর কোড ব্যবহারে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বা এনসিটিবি কর্তুক প্রকাশিত চলতি বছরের নতুন পাঠ্যপুস্তক বই নিয়ে আরো একটি অসঙ্গতি সবার সামনে এসেছে।

নবম শ্রেণীর জীবন ও জীবিকা বইয়ে অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইটের ঠিকানাযুক্ত একটি কিউআর কোড পৃষ্ঠার মাঝখানে সংযুক্ত করা হয়েছে। নবম শ্রেণীর জীবন ও জীবিকা বইটিতে মোট অধ্যায় উদ্ধার রয়েছে।

যে তিনটি অধ্যায়ের মধ্য দ্বিতীয়টি হচ্ছে উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা। ঠিক এই দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৩৮ নম্বর পৃষ্ঠার ৬ নম্বর ধাপে ব্যবসার মার্কেটিং এবং ব্র্যান্ডিং পাঠের আলোচনা করা হয়েছে সেই সাথে উদ্যোক্তা হিসেবে কিভাবে যাত্রা শুরু করা যায় কিংবা ব্যবসায় শুরু করতে হয়।

কিন্তু উক্ত অধ্যায়ের একটি চিত্র ২.১ এ কিউআর কোডের মাধ্যমের পণ্যের বিজ্ঞাপন তুলে ধরে সেগুলোর স্টোরের একটি ছবি দেয়া হয়েছে। সেই সাথে পৃথিবীর বিখ্যাত সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন, লিংকডইন, ভাইবার, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউব এবং ফেসবুক এর লোগো দেয়া হয়েছে।

নবম শ্রেণীর বইয়ে অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইট

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সেই লোগো গুলোর মাঝখানে একটি বারকোড বা কিউআর কোড এর ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে। যেই কিউআর কোড স্ক্যান করলে একটি পর্তুগিজ ওয়েবসাইটে নিয়ে যাচ্ছে। যেই ওয়েবসাইটটি মূলত নারীদের অন্তর্বাস বিক্রি করে। সেই সাথে ওয়েবসাইটে এডাল্ট নারীরা অন্তর্বাস করে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।

বাংলাদেশের নবম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা বইটি রচনা সম্বোধন করেছেন মোঃ মুরশীদ আক্তার, হাসান তারেক খান, মোহাম্মদ সিফাতুল ইসলামসহ আরো অনেকে।

সেই সাথে নবম শ্রেণীর জীবন ও জীবিকা বইটির শিল্প নির্দেশনায় ছিলেন মঞ্জুর আহমদ, চিত্রন সুবীর মন্ডলসহ আরও বেশ কয়েকজন।

এই ঘটনায় অভিভাবকদের অভিযোগ, নবম শ্রেণীর বাচ্চাদের বইয়ে এই ধরনের অন্তর্বাস বিক্রির বিজ্ঞাপন কেনো দেওয়া হয়েছে। সেই সকল ওয়েবসাইটে আবার এডাল্ট ছবিও রয়েছে। এই অন্তর্বাসের ওয়েবসাইট থেকে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কি জানবে?

এব্যাপারে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মসূরুজ্জামান সাংবাদিকদের কে বলেন, যখন বইয়ে উত্তর কিউআর কোড টি বসানো হয়েছিল তখন সেই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকম খেলাধুলার সামগ্রী বিক্রি হত। কিন্তু বর্তমানে সেই ওয়েবসাইটটি পরিবর্তন করে এগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি এখন প্রকাশ্যে চলে আসছে এবং সমালোচনা হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা স্ক্যান করে দেখবে যা খুবই বিব্রতকর। তাই আমরা যত দ্রুত সম্ভব এটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নবম শ্রেণীর বইয়ে অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইট

আপডেট সময় : ১১:২২:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

এবার বিতর্ক শুরু হয়েছে নতুন করে নবম শ্রেনীর জীবন ও জীবিকা বইয়ের একটি কিউআর কোড নিয়ে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বেশ সমালোচনা এবং আলোচনার ঝড়।

নবম শ্রেণীর জীবন ও জীবিকা বইয়ে অন্তর্বাস বিক্রির একটি ওয়েবসাইটের কিউআর কোড ব্যবহার করা হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষক এবং অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নবম শ্রেণীর বইয়ে অন্তর্বাস বিক্রির এমন কিউআর কোড ব্যবহারে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বা এনসিটিবি কর্তুক প্রকাশিত চলতি বছরের নতুন পাঠ্যপুস্তক বই নিয়ে আরো একটি অসঙ্গতি সবার সামনে এসেছে।

নবম শ্রেণীর জীবন ও জীবিকা বইয়ে অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইটের ঠিকানাযুক্ত একটি কিউআর কোড পৃষ্ঠার মাঝখানে সংযুক্ত করা হয়েছে। নবম শ্রেণীর জীবন ও জীবিকা বইটিতে মোট অধ্যায় উদ্ধার রয়েছে।

যে তিনটি অধ্যায়ের মধ্য দ্বিতীয়টি হচ্ছে উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা। ঠিক এই দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৩৮ নম্বর পৃষ্ঠার ৬ নম্বর ধাপে ব্যবসার মার্কেটিং এবং ব্র্যান্ডিং পাঠের আলোচনা করা হয়েছে সেই সাথে উদ্যোক্তা হিসেবে কিভাবে যাত্রা শুরু করা যায় কিংবা ব্যবসায় শুরু করতে হয়।

কিন্তু উক্ত অধ্যায়ের একটি চিত্র ২.১ এ কিউআর কোডের মাধ্যমের পণ্যের বিজ্ঞাপন তুলে ধরে সেগুলোর স্টোরের একটি ছবি দেয়া হয়েছে। সেই সাথে পৃথিবীর বিখ্যাত সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন, লিংকডইন, ভাইবার, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউব এবং ফেসবুক এর লোগো দেয়া হয়েছে।

নবম শ্রেণীর বইয়ে অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইট

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সেই লোগো গুলোর মাঝখানে একটি বারকোড বা কিউআর কোড এর ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে। যেই কিউআর কোড স্ক্যান করলে একটি পর্তুগিজ ওয়েবসাইটে নিয়ে যাচ্ছে। যেই ওয়েবসাইটটি মূলত নারীদের অন্তর্বাস বিক্রি করে। সেই সাথে ওয়েবসাইটে এডাল্ট নারীরা অন্তর্বাস করে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।

বাংলাদেশের নবম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা বইটি রচনা সম্বোধন করেছেন মোঃ মুরশীদ আক্তার, হাসান তারেক খান, মোহাম্মদ সিফাতুল ইসলামসহ আরো অনেকে।

সেই সাথে নবম শ্রেণীর জীবন ও জীবিকা বইটির শিল্প নির্দেশনায় ছিলেন মঞ্জুর আহমদ, চিত্রন সুবীর মন্ডলসহ আরও বেশ কয়েকজন।

এই ঘটনায় অভিভাবকদের অভিযোগ, নবম শ্রেণীর বাচ্চাদের বইয়ে এই ধরনের অন্তর্বাস বিক্রির বিজ্ঞাপন কেনো দেওয়া হয়েছে। সেই সকল ওয়েবসাইটে আবার এডাল্ট ছবিও রয়েছে। এই অন্তর্বাসের ওয়েবসাইট থেকে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কি জানবে?

এব্যাপারে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মসূরুজ্জামান সাংবাদিকদের কে বলেন, যখন বইয়ে উত্তর কিউআর কোড টি বসানো হয়েছিল তখন সেই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকম খেলাধুলার সামগ্রী বিক্রি হত। কিন্তু বর্তমানে সেই ওয়েবসাইটটি পরিবর্তন করে এগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি এখন প্রকাশ্যে চলে আসছে এবং সমালোচনা হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা স্ক্যান করে দেখবে যা খুবই বিব্রতকর। তাই আমরা যত দ্রুত সম্ভব এটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।