রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বা বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ ফি ১০০ টাকা হয়েছে। এই গার্ডেনে আগে প্রবেশ ফি ছিল ২০ টাকা। কিন্তু আজ ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে এই পার্কে প্রবেশ করতে হলে গুনতে হবে ১০০ টাকা।

২১৫ একর জমির উপরে অবস্থিত বোটানিক্যাল গার্ডেনে রয়েছে প্রায় এক হাজার ৪৬ প্রজাতির বৃক্ষ এবং প্রাণী। প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষার্থী এবং প্রকৃতিপ্রেমী বোটানিক্যাল গার্ডেনে এই সকল বৃক্ষ দেখার জন্য যাওয়া আসা করে। অথচ হঠাৎ করেই গার্ডেনে প্রবেশ মূল্য বাড়িয়ে ৫ গুণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ বন বিভাগের একটি নোটিশ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ টিকেট ২০ টাকা থেকে ৫ গুণ বৃদ্ধি করে ১০০ টাকা করা হয়েছে। সেই সাথে ৭ টি ক্যাটাগরিতে নতুন করে টিকেট দিতে বলেছে বন বিভাগ। আজ থেকে কার্যকর হবে এই নতুন নির্দেশনা। বর্তমানে বোটানিক্যাল গার্ডেনে ১২ বছরের অধিক বয়সী যে কোন শিশুর জন্য প্রবেশ ফি দিতে হয় মাত্র ২০ টাকা। কিন্তু সেটি বেড়ে হচ্ছে এখন ১০০ টাকা।

সেই সাথে বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের জন্য টিকেটের দাম হবে ১ হাজার টাকা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা সফরে আসা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ জনের জন্য প্রবেশ ফি দিতে হবে ১ হাজার টাকা। ১০০ জনের বড় গ্রুপের জন্য দিতে হবে ১ হাজার ৫০০ টাকা।

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি বাড়িয়ে করা হলো ১০০ টাকা

বোটানিক্যাল গার্ডেনে ভ্রমণের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সময় অনুযায়ী নভেম্বর থেকে মার্চে সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত করা হয়েছে।

উক্ত কর্তৃপক্ষের দাবি বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি বাড়ানোর বিষয়টি বন ও জীবজগতের জন্য বেশ ভালো ভূমিকা পালন করবে। আগে প্রবেশ ফি অনেক কম থাকায় যত্রতত্র মানুষ প্রবেশ করত। এখন অপ্রয়োজনে কেউ সেখানে প্রবেশ করবে না। এতে বন্যপ্রাণীরে নিরাপত্তা বাড়বে এবং পার্কের পরিবেশও সুন্দর থাকবে। প্রবেশ ফি যতই হোক যারা প্রকৃত বৃক্ষ প্রেমী এবং যাদের এখানে আসার দরকার তারা এখানে আসবেই।

সেই সাথে বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি বাড়ানোর সাথে সাথে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে অনেকটা সহায়ত হবে।

উক্ত নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে সকল বিদেশি পর্যটক ও শারীরিক ব্যায়ামের জন্য উদ্যানে নিয়মিত হাটাহাটি করেন তাদের জন্য আলাদা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। উদ্যানে হাটতে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য একটি বার্ষিক কাঠ করাতে হবে। এর জন্য ফি দিতে হবে মাত্র ৫০০ টাকা। তবে সেখানে প্রতিদিন অবস্থান করা যাবে মাত্র ১ ঘন্টা। কিন্তু আগে উদ্যানে হাঁটতে যাওয়ার জন্য কোন আলাদা ফি দিতে হতো না।

অনেকেই আবার বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে অনেক সমালোচনা করেছে। তাদের মতে ঢাকা শহরে যেখানে সাধারণ মানুষের ঘোরাফেরার জায়গা কম সেখানে এটি একদমই অনুচিত এবং অযৌক্তিক।