জেলখানার ছাদ ফুটো করে পালিয়ে যায় ৪ জন ফাঁসির আসামি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪ ২৪ বার পড়া হয়েছে

জেলখানার ছাদ ফুটো করে পালিয়ে যায় ৪ জন ফাঁসির আসামি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বগুড়ার কারাগারের ছাদ ফুটো করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ জন আসামি পালিয়ে যায়। ছাদ ফুটো করার কাজে তারা ব্যবহার করে একটি স্ক্রু ড্রাইভার এবং একটি ভোঁতা স্টিলের অংশ।

পালিয়ে যাও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামী হলেন:

১. নরসিংদী মাধবদী উপজেলার আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৪১),

২. কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মঞ্জুর (৬০),

৩. বগুড়া কাহালু উপজেলার মোহাম্মদ জাকারিয়া (৩৪),

৪. বগুড়া সদর উপজেলার মোঃ ফরিদ শেখ (৩০),

উক্ত মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা প্রায় ২২ দিনের চেষ্টায় কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে। তারপর ২৬ শে জুন ভোর রাতে তারা কারাগার থেকে পালায়। কারাগার থেকে পালাতে পারলেও সেই স্বাধীনতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ঘটনার ১ থেকে ১.৫ ঘন্টা পরে কারাগার হতে ৫০০ মিটার দূরে পুলিশ তাদেরকে আটক করে।

আটকের পর পুলিশ তাদের কাছ থেকে একটি ভাঙ্গা স্ক্রু ড্রাইভার, একটি ছোট স্টিলের অংশ এবং কনভিক্ট হিস্টোরি টিকেট পুলিশ জব্দ করে।

কারাগার হতে আসামি পালানোর ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুধীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনের জানান, আটক কৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে স্বীকার করেছে যে তারা গত ২২ দিন ধরে স্ক্রু ড্রাইভার এবং স্টিলের পাত দিয়ে ছাদের অংশগুলো ফুটো করছিল।

জেলখানার ছাদ ফুটো করে পালিয়ে যায় ৪ জন ফাঁসির আসামি

তবে ছাদ ফুটো করার কাজে ব্যবহার করা স্ক্রু ড্রাইভার ও স্টিলের অংশটি কোথা থেকে পেয়েছে সে ব্যাপারে কিছু বলেনি।

উক্ত ঘটনার পর দুপুরে বগুড়া কারাগার পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল সুজাউর রহমান।

কর্নেল সুজাউর রহমান কনডেম কিভাবে সকল সরঞ্জাম গেলো সে ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করার করে দেখবো। তারপর কে বা কারা এতে সহযোগিতা করেছে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

বগুড়ার জেলখানাটি মূলত ১৮৩৩ সালে নির্মিত হয়েছিল।। বিগত ১৪০ বছর ধরে এখানে আসামিদের রাখা হচ্ছে।

উক্ত ৪ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামের মধ্য আমির হামজা ও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে হত্যা করে ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরে সেই মামলায় ২০২১ সালে তাদেরকে ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়।

২০১২ সালে ১৩ বছরের এক স্কুল শিক্ষার্থীতে অপহরণ করে এবং মুক্তিপণ না পেয়ে ইটের ভাটায় পুড়িয়ে মারেন মোঃ জাকারিয়া। সেই সময়ে ঘটনাটি বেশ আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছিল। ঘটনার পর থেকে তিনি বেশ কিছুদিন পড়া চাচ্ছিলেন। তারপর ২০১৭ সালের ১৫ই জানুয়ারির তার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জেলখানার ছাদ ফুটো করে পালিয়ে যায় ৪ জন ফাঁসির আসামি

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

বগুড়ার কারাগারের ছাদ ফুটো করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ জন আসামি পালিয়ে যায়। ছাদ ফুটো করার কাজে তারা ব্যবহার করে একটি স্ক্রু ড্রাইভার এবং একটি ভোঁতা স্টিলের অংশ।

পালিয়ে যাও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামী হলেন:

১. নরসিংদী মাধবদী উপজেলার আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৪১),

২. কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মঞ্জুর (৬০),

৩. বগুড়া কাহালু উপজেলার মোহাম্মদ জাকারিয়া (৩৪),

৪. বগুড়া সদর উপজেলার মোঃ ফরিদ শেখ (৩০),

উক্ত মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা প্রায় ২২ দিনের চেষ্টায় কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে। তারপর ২৬ শে জুন ভোর রাতে তারা কারাগার থেকে পালায়। কারাগার থেকে পালাতে পারলেও সেই স্বাধীনতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ঘটনার ১ থেকে ১.৫ ঘন্টা পরে কারাগার হতে ৫০০ মিটার দূরে পুলিশ তাদেরকে আটক করে।

আটকের পর পুলিশ তাদের কাছ থেকে একটি ভাঙ্গা স্ক্রু ড্রাইভার, একটি ছোট স্টিলের অংশ এবং কনভিক্ট হিস্টোরি টিকেট পুলিশ জব্দ করে।

কারাগার হতে আসামি পালানোর ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুধীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনের জানান, আটক কৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে স্বীকার করেছে যে তারা গত ২২ দিন ধরে স্ক্রু ড্রাইভার এবং স্টিলের পাত দিয়ে ছাদের অংশগুলো ফুটো করছিল।

জেলখানার ছাদ ফুটো করে পালিয়ে যায় ৪ জন ফাঁসির আসামি

তবে ছাদ ফুটো করার কাজে ব্যবহার করা স্ক্রু ড্রাইভার ও স্টিলের অংশটি কোথা থেকে পেয়েছে সে ব্যাপারে কিছু বলেনি।

উক্ত ঘটনার পর দুপুরে বগুড়া কারাগার পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল সুজাউর রহমান।

কর্নেল সুজাউর রহমান কনডেম কিভাবে সকল সরঞ্জাম গেলো সে ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করার করে দেখবো। তারপর কে বা কারা এতে সহযোগিতা করেছে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

বগুড়ার জেলখানাটি মূলত ১৮৩৩ সালে নির্মিত হয়েছিল।। বিগত ১৪০ বছর ধরে এখানে আসামিদের রাখা হচ্ছে।

উক্ত ৪ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামের মধ্য আমির হামজা ও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে হত্যা করে ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরে সেই মামলায় ২০২১ সালে তাদেরকে ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়।

২০১২ সালে ১৩ বছরের এক স্কুল শিক্ষার্থীতে অপহরণ করে এবং মুক্তিপণ না পেয়ে ইটের ভাটায় পুড়িয়ে মারেন মোঃ জাকারিয়া। সেই সময়ে ঘটনাটি বেশ আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছিল। ঘটনার পর থেকে তিনি বেশ কিছুদিন পড়া চাচ্ছিলেন। তারপর ২০১৭ সালের ১৫ই জানুয়ারির তার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়।