বারবার ক্ষুধা লাগার যত কারণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

বারবার ক্ষুধা লাগার যত কারণ

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিছুক্ষণ আগেই পেট ভরে খাবার খাওয়ার পর আবার ক্ষুধা লেগেছে? অনেকেরই এই ধরনের সমস্যা হয়। এত এত খাবার একটু পরেই কেন আবার ক্ষুধা লাগে। চলুন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জেনে নেই বারবার ক্ষুধা লাগার কারণ।

কার্বোহাইড্রেট

আপনি যদি রাতের বেলা কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খান তাহলে কিছুক্ষণ পরেই আবার ক্ষুধা লাগতে পারে। যখন আমরা কিনা অনেক বেশি কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাই তখন চিনির মতোই সেটি শরীর দ্রুত শুষে নেয়। যার কারণে পেট ভরে খাবার গ্রহনের একটু পরেই আবার ক্ষুধা লাগে।

বিভিন্ন আন-রিফাইন কার্বোহাইড্রেট খাবার যেমন, মিষ্টি, আলু, বাদাম, চাল, মাছ, মুরগি, ব্রুকলি কিংবা অন্যান্য সবজি খেলে এই সমস্যা হবে না।

ঘুমের প্রভাব

অতিরিক্ত খাবার পেছনে কিংবা ক্ষুধা লাগার পেছনে ঘুমের অনেকটা প্রভাব রয়েছে। আমরা যদি প্রয়োজনের চেয়ে কম পরিমাণ ঘুমায় তাহলে সেটি শরীরে গ্রেলিং হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যেটির কারণে আমাদের অনেক বেশি ক্ষুধা পায়। ফলে কম ঘুম আমাদের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।

আর পরিমিত এবং ভালো ঘুমের জন্য ম্যাগনেসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নিয়মিত ঘুমানোর জন্য সবুজ শাক, বাদাম বীজ, কলা ও চকলেট খেতে পারেন।

বারবার ক্ষুধা লাগার যত কারণ

তৃষ্ণা

অনেক সময় আমাদের ক্ষুধা এবং পানি খাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে একসাথে মিলিয়ে ফেলি। আপনার মনে হচ্ছে প্রচুর ক্ষুধা আপনার পেটে, কিন্তু সেটি আসলে ক্ষুধা নয়। আপনার প্রয়োজন দুই গ্লাস পানি পান করা। তাই ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন আপনার এখন খাবার খাওয়া উচিত নাকি পানি খাওয়া উচিত।

পিরিয়ড

একটি মেডিকেল গবেষণায় দেখা গেছে নারীদের ক্ষুধা এবং খাবার গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যায় যখন তাদের মাসিক সাইকেলের অর্ধেক সময় পার হয়ে যায়। এ সময় নারীদের মাছ, ডিম, ডাল, বাদাম এবং বীজ খাওয়া প্রয়োজন।

গর্ভকালীন সময়ে

গর্ভকালীন সময়ে নারীদের ক্ষেত্রে ক্ষুধার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যেতে পারে। সেই সাথে নতুন নতুন খাদ্য গ্রহণে মন আরো বেশি উতলা হয়ে ওঠে। তবে যাই খেতে ইচ্ছা করুক না কেন এই সময় খাবারের প্রতি অনেকটা সতর্ক থাকতে হবে। রিফাইন্ড করা কিংবা চিনি জাতীয় খাবার গর্ভকালীন সময় একদমই খাওয়া উচিত নয়।

কথায় আছে সুস্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। তাই নিয়মিত ঘুমান এবং পরিণত খাবার খান। নিজের সুস্থ থাকুন ও পরিবারকে সুস্থ রাখুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বারবার ক্ষুধা লাগার যত কারণ

আপডেট সময় : ০৭:২৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

কিছুক্ষণ আগেই পেট ভরে খাবার খাওয়ার পর আবার ক্ষুধা লেগেছে? অনেকেরই এই ধরনের সমস্যা হয়। এত এত খাবার একটু পরেই কেন আবার ক্ষুধা লাগে। চলুন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জেনে নেই বারবার ক্ষুধা লাগার কারণ।

কার্বোহাইড্রেট

আপনি যদি রাতের বেলা কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খান তাহলে কিছুক্ষণ পরেই আবার ক্ষুধা লাগতে পারে। যখন আমরা কিনা অনেক বেশি কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাই তখন চিনির মতোই সেটি শরীর দ্রুত শুষে নেয়। যার কারণে পেট ভরে খাবার গ্রহনের একটু পরেই আবার ক্ষুধা লাগে।

বিভিন্ন আন-রিফাইন কার্বোহাইড্রেট খাবার যেমন, মিষ্টি, আলু, বাদাম, চাল, মাছ, মুরগি, ব্রুকলি কিংবা অন্যান্য সবজি খেলে এই সমস্যা হবে না।

ঘুমের প্রভাব

অতিরিক্ত খাবার পেছনে কিংবা ক্ষুধা লাগার পেছনে ঘুমের অনেকটা প্রভাব রয়েছে। আমরা যদি প্রয়োজনের চেয়ে কম পরিমাণ ঘুমায় তাহলে সেটি শরীরে গ্রেলিং হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যেটির কারণে আমাদের অনেক বেশি ক্ষুধা পায়। ফলে কম ঘুম আমাদের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।

আর পরিমিত এবং ভালো ঘুমের জন্য ম্যাগনেসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নিয়মিত ঘুমানোর জন্য সবুজ শাক, বাদাম বীজ, কলা ও চকলেট খেতে পারেন।

বারবার ক্ষুধা লাগার যত কারণ

তৃষ্ণা

অনেক সময় আমাদের ক্ষুধা এবং পানি খাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে একসাথে মিলিয়ে ফেলি। আপনার মনে হচ্ছে প্রচুর ক্ষুধা আপনার পেটে, কিন্তু সেটি আসলে ক্ষুধা নয়। আপনার প্রয়োজন দুই গ্লাস পানি পান করা। তাই ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন আপনার এখন খাবার খাওয়া উচিত নাকি পানি খাওয়া উচিত।

পিরিয়ড

একটি মেডিকেল গবেষণায় দেখা গেছে নারীদের ক্ষুধা এবং খাবার গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যায় যখন তাদের মাসিক সাইকেলের অর্ধেক সময় পার হয়ে যায়। এ সময় নারীদের মাছ, ডিম, ডাল, বাদাম এবং বীজ খাওয়া প্রয়োজন।

গর্ভকালীন সময়ে

গর্ভকালীন সময়ে নারীদের ক্ষেত্রে ক্ষুধার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যেতে পারে। সেই সাথে নতুন নতুন খাদ্য গ্রহণে মন আরো বেশি উতলা হয়ে ওঠে। তবে যাই খেতে ইচ্ছা করুক না কেন এই সময় খাবারের প্রতি অনেকটা সতর্ক থাকতে হবে। রিফাইন্ড করা কিংবা চিনি জাতীয় খাবার গর্ভকালীন সময় একদমই খাওয়া উচিত নয়।

কথায় আছে সুস্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। তাই নিয়মিত ঘুমান এবং পরিণত খাবার খান। নিজের সুস্থ থাকুন ও পরিবারকে সুস্থ রাখুন।