ছেলেদের ঘরে নামাজ পড়ার বিধান কি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

ছেলেদের ঘরে নামাজ পড়ার বিধান কি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছেলেদের ঘরে নামাজ পড়ার বিষয়ে আমাদের প্রিয় নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে সকল ব্যক্তি আযান শোনা সত্বেও মসজিদে গিয়ে জামাআতে নামাজ আদায় করে না, কোন ওজর না থাকলে সেই ব্যক্তির নামাজ কবুল হবে না।

মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মানুষের প্রতি সবচাইতে বড় দায়িত্ব হলো সৎকাজের আদেশ করা এবং অসৎ অন্যায় কাজে নিষেধ দেওয়া। নিয়মিত সৎকাজের থেকে বিরত রাখার সাথে পাঁচ ওয়াক্ত জামাআতের সহি নামাজ আদায় করা। মহান আল্লাহ তা’আলা কুরআনে এই কাজগুলোর নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) হাদিসে অনেক নসিহত করেছেন আমাদের জন্য।

বর্তমান সময়ে এমন অনেক মানুষ আছে যারা মসজিদে আজান শোনা সত্ত্বেও ঘরে নামাজ আদায় করেন। এটি একটি অনেক বড় ভুল কাজ। মসজিদ থেকে নিজেদের নিবৃত রাখা বা দূরে রাখা একেবারেই ঠিক নয়।

জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়ের সে হযরত উম্মে মাকতুমের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) এর নির্দেশনা অনেক জোরালো ছিল।

এ ব্যাপারে একটি হাদিস রয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে এক ব্যক্তি এসে নিবেদন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি একজন অন্ধ এবং আমার মসজিদ থেকে আমার বাড়ি অনেক দূরে অবস্থিত। আমি কি মসজিদের জামাতে অংশগ্রহণ না করে ঘরে নামাজ পড়ার অনুমতি পেতে পারে?

উত্তরে রাসুল (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কে নামাজের জন্য মসজিদে দেওয়া আজানের শব্দ শুনতে পান? সেই ব্যক্তি বললেন, হ্যাঁ শব্দ শুনতে পাই।

ছেলেদের ঘরে নামাজ পড়ার বিধান কি

আমাদের প্রিয় নবী সা. তাকে বললেন, তুমি আযানের ডাকে সাড়া দাও। অর্থাৎ তিনি ঘরে বসে মসজিদে আযানের শব্দ শুনলে তাকেও সাড়া দিয়ে জামাআতে অংশগ্রহণ করার জন্য বলেছেন।

অন্য বর্ণনায় এসেছে, আমাদের প্রিয় নবী (সা.) তাকে বলছেন বলেছেন, আমি তোমার জন্য কোন অব্যাহতির পথ দেখতে পাচ্ছি না। এর অর্থ হচ্ছে মসজিদে জামাআত আদায় ছাড়া অন্য কোন উপায় দেখতে পাচ্ছি না।

এছাড়া অপর একটি হাদিসে বর্ণনা এসেছে, মহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আর আমি সেইসব ব্যক্তিদের কাছে যাই যারা মসজিদে উপস্থিত হয়নি এবং তাদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেই। অর্থাৎ যে সকল ব্যক্তির জামাতে বা মসজিদের রমজ আদায় করা নাই তাদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার কথা তিনি বলেছেন।

এই হাদিসগুলোর আলোকে এটি নিশ্চিত যে, যে ব্যক্তি আযান শুনতে পেয়েও ন্যায় সংগত কারণ ছাড়া মসজিদে আসে না তার নামাজ কবুল হবে না।

সুতরাং ঘরে নামাজ আদায় করার ব্যাপারে অনুৎসাহিত করা হয়েছে এবং এর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। মুসজিদে নামাজের আজান শুনতে পেলে দোকানপাট কিংবা কাজকর্ম বন্ধ রেখে আমাদের প্রিয় নবীর সুন্নতের অনুসরণ করে জামাতে নামাজ আদায় করা আবশ্যক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ছেলেদের ঘরে নামাজ পড়ার বিধান কি

আপডেট সময় : ১০:৫০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

ছেলেদের ঘরে নামাজ পড়ার বিষয়ে আমাদের প্রিয় নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে সকল ব্যক্তি আযান শোনা সত্বেও মসজিদে গিয়ে জামাআতে নামাজ আদায় করে না, কোন ওজর না থাকলে সেই ব্যক্তির নামাজ কবুল হবে না।

মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মানুষের প্রতি সবচাইতে বড় দায়িত্ব হলো সৎকাজের আদেশ করা এবং অসৎ অন্যায় কাজে নিষেধ দেওয়া। নিয়মিত সৎকাজের থেকে বিরত রাখার সাথে পাঁচ ওয়াক্ত জামাআতের সহি নামাজ আদায় করা। মহান আল্লাহ তা’আলা কুরআনে এই কাজগুলোর নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) হাদিসে অনেক নসিহত করেছেন আমাদের জন্য।

বর্তমান সময়ে এমন অনেক মানুষ আছে যারা মসজিদে আজান শোনা সত্ত্বেও ঘরে নামাজ আদায় করেন। এটি একটি অনেক বড় ভুল কাজ। মসজিদ থেকে নিজেদের নিবৃত রাখা বা দূরে রাখা একেবারেই ঠিক নয়।

জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়ের সে হযরত উম্মে মাকতুমের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) এর নির্দেশনা অনেক জোরালো ছিল।

এ ব্যাপারে একটি হাদিস রয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে এক ব্যক্তি এসে নিবেদন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি একজন অন্ধ এবং আমার মসজিদ থেকে আমার বাড়ি অনেক দূরে অবস্থিত। আমি কি মসজিদের জামাতে অংশগ্রহণ না করে ঘরে নামাজ পড়ার অনুমতি পেতে পারে?

উত্তরে রাসুল (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কে নামাজের জন্য মসজিদে দেওয়া আজানের শব্দ শুনতে পান? সেই ব্যক্তি বললেন, হ্যাঁ শব্দ শুনতে পাই।

ছেলেদের ঘরে নামাজ পড়ার বিধান কি

আমাদের প্রিয় নবী সা. তাকে বললেন, তুমি আযানের ডাকে সাড়া দাও। অর্থাৎ তিনি ঘরে বসে মসজিদে আযানের শব্দ শুনলে তাকেও সাড়া দিয়ে জামাআতে অংশগ্রহণ করার জন্য বলেছেন।

অন্য বর্ণনায় এসেছে, আমাদের প্রিয় নবী (সা.) তাকে বলছেন বলেছেন, আমি তোমার জন্য কোন অব্যাহতির পথ দেখতে পাচ্ছি না। এর অর্থ হচ্ছে মসজিদে জামাআত আদায় ছাড়া অন্য কোন উপায় দেখতে পাচ্ছি না।

এছাড়া অপর একটি হাদিসে বর্ণনা এসেছে, মহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আর আমি সেইসব ব্যক্তিদের কাছে যাই যারা মসজিদে উপস্থিত হয়নি এবং তাদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেই। অর্থাৎ যে সকল ব্যক্তির জামাতে বা মসজিদের রমজ আদায় করা নাই তাদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার কথা তিনি বলেছেন।

এই হাদিসগুলোর আলোকে এটি নিশ্চিত যে, যে ব্যক্তি আযান শুনতে পেয়েও ন্যায় সংগত কারণ ছাড়া মসজিদে আসে না তার নামাজ কবুল হবে না।

সুতরাং ঘরে নামাজ আদায় করার ব্যাপারে অনুৎসাহিত করা হয়েছে এবং এর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। মুসজিদে নামাজের আজান শুনতে পেলে দোকানপাট কিংবা কাজকর্ম বন্ধ রেখে আমাদের প্রিয় নবীর সুন্নতের অনুসরণ করে জামাতে নামাজ আদায় করা আবশ্যক।