১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পেছানোর দাবি

- আপডেট সময় : ১০:৫৫:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
আগামী ১২ এবং ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী চাকুরীর প্রত্যাশীরা এই পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা এবং ভারী বৃষ্টি পরিস্থিতিরঅবনতি হওয়ায় তারা দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষার তারিখ পেছানোর।
কিছু চাকরির প্রত্যাশীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ভারী বন্যা এবং বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেট, সুনামগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারের কিছু এলাকায় প্লাবিত হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ঐ সকল এলাকার প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। সেই সাথে দেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল সহ নিম্ন অঞ্চলগুলি বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।
উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র, যমুনা এবং অন্যান্য নদীর পানি দ্বারা কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, হাতিয়ার, চিলমারী, শাঘাটা, সিরাজগঞ্জ ইত্যাদি পয়েন্ট দিয়ে প্রায় বিপদসীমার উপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ সকল কারণে ঢাকার কিছু অংশ যেমন জামালপুর, টাঙ্গাইল, বগুড়া, গাইবান্ধা এবং সিরাজগঞ্জের নিম্ন অঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে।
১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পেছানোর দাবি
এ সকল এলাকা ছাড়া ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন নদীর পানি বেড়ে তলিয়ে গিয়েছে টেকনাফেরও এলাকা। যদিও বন্যা পরিস্থিতিতে পানি কিছুটা নামতে শুরু করছে তবুও কোন উন্নতি দেখা যায়নি এ সকল অঞ্চলে।
উক্ত এলাকা গুলোর পাশাপাশি ময়মনসিংহ বিভাগের বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাচ্ছে। ময়মনসিংহের নেত্রকোনায় শত শত গ্রাম বন্যার পানিতে ডুবে যাচ্ছে। এ সকল অবস্থায় নিজের পরিবার, পরিজন এবং সন্তান সন্তনি নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রার্থীরা। সেই সাথে বন্যার কবলিত এলাকার পরীক্ষার্থীরা ঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারছেন না। তাই এসকল পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পেছনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সুনামগঞ্জের চাকরি প্রার্থীদের সাথে কথা বলা জানা যায়, তার এলাকার ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। এমনকি নিজেদের জীবন নিয়ে তারা শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। যাতায়াত ব্যবস্থা একদম ভেঙ্গে পড়েছে। সেই সাথে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। বিদ্যুৎ তো দূরে থাক মিলছে না কোন নেটওয়ার্ক এবং সঠিক চিকিৎসা সেবা। তাই তারা এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য।
পরীক্ষা পেছনের ব্যাপারে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করতে পক্ষের সচিব ওবায়দুর রহমান সাংবাদিকদের কে বলেন, সিলেটের চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সিলেটের যে কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষা হবে সেখানে পানি উঠার কোন সম্ভাবনা নেই। এছাড়াও অন্যান্য বিভাগের বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতি হয়েছে। কাজেই ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পেছনের মত পরিবেশ এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি।