মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪ ২৯ বার পড়া হয়েছে

মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মিনি স্ট্রোক সাধারণত পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোকের তুলনায় কম শঙ্কাপূর্ণ। মিনি স্ট্রোকের কারণে তেমন কোন শারীরিক সমস্যা না হলেও যদি সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা গ্রহণ না করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে দেখা যেতে পারে মারাত্মক সমস্যা। আবার অনেক সময় মিনি স্ট্রোকের লক্ষণ খুব একটা বোঝা যায় না। অনেক সময় এটি ঘুমের মধ্যে হতে পারে।

তাই সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য অবশ্যই মিনি স্ট্রোকের লক্ষণগুলো জানা উচিত।

একটি প্রতিবেদনে ভারতের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রুদ্রজিৎ পাল বলেছেন এই অবস্থায় রোগের মধ্যে উপসর্গ গুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে তা হলো:

১. কিছুক্ষণের জন্য শরীরের এবং হাত-পা অবশ হয়ে যাবে।

২. আক্রান্ত রোগী ঠিকমতো কথা বলতে পারবে না বা কথা জড়িয়ে আসবে।

৩. চোখে ঝাপসা বা অন্ধকার দেখবে।

৪. আক্রান্ত রোগীর তীব্র মাথাব্যথা করবে।

মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ

৫. রোগী দুর্বলতা অনুভব করবে।

৬. রোগী বিভিন্ন সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে।

৭. স্বাভাবিকভাবে হাটতে সমস্যা হবে।

৮. চেনা মানুষকে অনেক সময় অচেনা মনে হতে পারে।

মিনি স্ট্রোকের কারণ

মিনি স্ট্রোকের কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা দায়ী করছে মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়া, মস্তিষ্কে যথাযথ অক্সিজেনের ঘাটতি, রক্ত জমাট বাঁধা, ডায়াবেটিকস, হাই ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টরলের মাত্রা বেশি, ধূমপানের অভ্যাস সহ নানা কারণ।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী পরবর্তী ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যেও সুস্থ অনুভব করে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এজন্যই অনেকেই ব্যাপার নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না।

কিন্তু স্বাভাবিক স্ট্রোকের মত এমন স্ট্রোককে অতি গুরুত্বের সহকারে দেখতে হবে। সেই সাথে প্রতিদিনের লাইফ স্টাইলে কিছু নিয়ম কানুন মেইনটেইন করে চলতে হবে।

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, চর্বি যুক্ত খাবার খাওয়া ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। সেই সাথে ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেটি বাদ দেওয়া উচিত।

অনেক সময় ঘুমের মধ্যে মিনি স্ট্রোক হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে আক্রান্ত রোগী ঘুম থেকে উঠে তেমন কিছু বুঝতে না পারলেও উপরোক্ত লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে।

যদি এরকম কোন লক্ষণ দেখা যায় তাহলে দেরি না করে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেক সময় এ ধরনের স্ট্রোকের কারণে মুখের কিছু অংশ বাঁকা হয়ে যেতে পারে। সেই সাথে পরিবর্তন হতে পারে গলার স্বর। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কোনোভাবেই ওষুধ কিংবা অন্য কোন চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা উচিত নয়।

মিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে সর্বপ্রথম চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। তারপর প্রয়োজনীয় মেডিকেল টেস্ট করে যথাযথ ওষুধের মাধ্যমে এটি নিরাময় করা সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ

আপডেট সময় : ০৮:০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

মিনি স্ট্রোক সাধারণত পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোকের তুলনায় কম শঙ্কাপূর্ণ। মিনি স্ট্রোকের কারণে তেমন কোন শারীরিক সমস্যা না হলেও যদি সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা গ্রহণ না করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে দেখা যেতে পারে মারাত্মক সমস্যা। আবার অনেক সময় মিনি স্ট্রোকের লক্ষণ খুব একটা বোঝা যায় না। অনেক সময় এটি ঘুমের মধ্যে হতে পারে।

তাই সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য অবশ্যই মিনি স্ট্রোকের লক্ষণগুলো জানা উচিত।

একটি প্রতিবেদনে ভারতের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রুদ্রজিৎ পাল বলেছেন এই অবস্থায় রোগের মধ্যে উপসর্গ গুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে তা হলো:

১. কিছুক্ষণের জন্য শরীরের এবং হাত-পা অবশ হয়ে যাবে।

২. আক্রান্ত রোগী ঠিকমতো কথা বলতে পারবে না বা কথা জড়িয়ে আসবে।

৩. চোখে ঝাপসা বা অন্ধকার দেখবে।

৪. আক্রান্ত রোগীর তীব্র মাথাব্যথা করবে।

মিনি স্ট্রোক এর লক্ষণ

৫. রোগী দুর্বলতা অনুভব করবে।

৬. রোগী বিভিন্ন সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে।

৭. স্বাভাবিকভাবে হাটতে সমস্যা হবে।

৮. চেনা মানুষকে অনেক সময় অচেনা মনে হতে পারে।

মিনি স্ট্রোকের কারণ

মিনি স্ট্রোকের কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা দায়ী করছে মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়া, মস্তিষ্কে যথাযথ অক্সিজেনের ঘাটতি, রক্ত জমাট বাঁধা, ডায়াবেটিকস, হাই ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টরলের মাত্রা বেশি, ধূমপানের অভ্যাস সহ নানা কারণ।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী পরবর্তী ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যেও সুস্থ অনুভব করে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এজন্যই অনেকেই ব্যাপার নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না।

কিন্তু স্বাভাবিক স্ট্রোকের মত এমন স্ট্রোককে অতি গুরুত্বের সহকারে দেখতে হবে। সেই সাথে প্রতিদিনের লাইফ স্টাইলে কিছু নিয়ম কানুন মেইনটেইন করে চলতে হবে।

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, চর্বি যুক্ত খাবার খাওয়া ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। সেই সাথে ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেটি বাদ দেওয়া উচিত।

অনেক সময় ঘুমের মধ্যে মিনি স্ট্রোক হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে আক্রান্ত রোগী ঘুম থেকে উঠে তেমন কিছু বুঝতে না পারলেও উপরোক্ত লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে।

যদি এরকম কোন লক্ষণ দেখা যায় তাহলে দেরি না করে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেক সময় এ ধরনের স্ট্রোকের কারণে মুখের কিছু অংশ বাঁকা হয়ে যেতে পারে। সেই সাথে পরিবর্তন হতে পারে গলার স্বর। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কোনোভাবেই ওষুধ কিংবা অন্য কোন চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা উচিত নয়।

মিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে সর্বপ্রথম চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। তারপর প্রয়োজনীয় মেডিকেল টেস্ট করে যথাযথ ওষুধের মাধ্যমে এটি নিরাময় করা সম্ভব।