সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স থেকে ইনকামে পরিবর্তন
- আপডেট সময় : ১০:৫৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ২২ বার পড়া হয়েছে
ফেসবুকসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে ইনকাম করা যায় লক্ষ লক্ষ টাকা। মনিটাইজেশন কিংবা পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের এই পদ্ধতিতে অনেকেই নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন। ঠিক তেমনিভাবে এখন এক্স থেকে ইনকামের সুযোগেও আসছে বেশ পরিবর্তন।
ইলন মাক্সের মালিকানাধীন এই প্লাটফর্মটির পূর্বের নাম ছিল টুইটার। দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই সেটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় এক্স। এমনকি পুরনো অনেক নিয়ম-কাননেও নিয়ে এসেছেন পরিবর্তন। তারই ধারাবাহিকতায় বেশ বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের জনপ্রিয় এই প্লাটফর্ম থেকে ক্রিয়েটরদের ইনকামে বেশ পরিবর্তন হতে চলেছে। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই নয় বরং এক্সের প্রিমিয়াম একাউন্ট গুলি হতে কনটেন্টের এংগেজমেন্টের উপরে ভিত্তি করেই উপার্জন করা যাবে অর্থ।
নতুন এই পদ্ধতি অনুযায়ী একজন এক্স ক্রিয়েটর শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের আয়ের উপরেই নির্ভরশীল হবেন না বরং তাদের প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্টারীদের সাথে কি পরিমাণ পোষ্ট ইন্টারেকশন হয় তার ওপর নির্ভর করেও অর্থ পাওয়া যাবে। এই নিয়মে আপনার কনটেন্ট গুলো যদি প্রিমিয়াম গ্রাহকদের সাথে কি পরিমান এনগেজমেন্ট হয় তার ভিত্তিতে অর্থ উপার্জন করা যাবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স থেকে ইনকামের এই নতুন ব্যবস্থা চালু হলে কন্টেন্ট তৈরিতে বেশ পরিবর্তন হতে পারে। এমনকি বেশি বেশি এনগেজমেন্ট পাওয়ার জন্য উন্নত মানের ভিডিও তৈরি করার প্রতি সবাই মনোযোগী হবে যা কিনা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স থেকে ইনকামে পরিবর্তন
বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে এই প্লাটফর্মটিতে বিজ্ঞাপন থেক রাজস্বের পরিমাণ প্রায় অর্ধেকের মতন কমে গিয়েছে। যারা কিনা টুইটার থেকে ইনকাম করতে চান তাদেরকে নূন্যতম ৫০০ ফলোয়ার থাকতে হবে এবং এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মটির প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবার হতে হবে। সেই সাথে পাবলিশ করা পোস্ট গুলোতে কমপক্ষে ইম্প্রেশন থাকতে হবে ৫ মিলিয়ন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স থেকে ইনকামের এই নিয়ম পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবারদের সংখ্যা বাড়ানো এবং থিয়েটারদেরকে আরো উন্নত মানের ভিডিও তৈরিতে বেশি আগ্রহী করা।
আমরা ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম কিংবা ইউটিউব থেকে আয়ের ব্যাপারে জানি। কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কাছে সবচাইতে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে এই দুটি।
মূলত ইউটিউব এবং ফেসবুকে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম অন করে অর্থ উপার্জন করা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকেও এই পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে।
সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৫ সাল নাগাদ ভিডিও পাবলিশের পাশাপাশি কনটেন্ট, ছবি পোস্ট করা এবং স্টোরি থেকে অর্থ উপার্জন করে যাবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এতে করে মানুষের আয়ের পরিসীমা এবং যাদের লেখালেখি কিংবা ছবির তৈরি করার অভ্যাস রয়েছে তারাও আয়ের সুযোগ পাবে। তারি ধারাবাহিকতায় টুইটার বা এক্স প্লাটফর্মটিতেও বেশ পরিবর্তন আসছে।
মুখের চর্বি কমানোর উপায় গুলি কি কি, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।