এনটিআরসিএকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

- আপডেট সময় : ০২:১২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ২৪ বার পড়া হয়েছে
বয়স সীমা শেষ হওয়ার কারণে ১৭ তম শিক্ষক নিবন্ধন এবং ৫ম গণ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে ৭৩৯ জন চাকুরি প্রত্যাশী। তাই বিশেষ একটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদেরকে আবেদনের সুযোগ দেওয়ার দাবিতে আজ থেকে কর্মসূচি পালন করছে তারা। সেই সাথে দাবি আদায়ে এনটিআরসিএকে ২৪ ঘন্টায় আলটিমেটাম দিয়েছে চাকরি প্রার্থীরা।
আজ ২৪ জুন সোমবার দুপুরে এই কর্মসূচি শুরু করা হয় এবং একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম এর ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে সকাল ১০ টার দিকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ বা এনটিআরসিএ এর কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন রকম কর্মসূচি শুরু করে চাকরির প্রত্যাশীরা।
উক্ত কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া চাকরির প্রত্যাশীরা জানান, ১৭ তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে। উক্ত নিবন্ধনের প্রিলি, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার সম্পন্ন হবার পর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয় গত ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বরে।
এনটিআরসিএকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম
আমরা জানি শিক্ষক নিবন্ধনের একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এনটিআরসি এর প্রায় ১ বছর সময় লাগে। কিন্তু করোনা সহ নানা জটিলতার কারণে উক্ত পরীক্ষা শেষ করতে প্রায় ৪ বছর সময় লেগে যায়। এতে করে ১৭ তম শিক্ষক নিবন্ধনে আবেদন করার সত্ত্বেও ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে ৭৪৯ জন প্রার্থী আবেদন করতে পারেননি। কারণ আবেদন প্রকাশের সময় তাদের বয়স ইতিমধ্য শেষ হয়ে গেছে।
৩ বছর সনদের মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও আবেদন না করতে পারায় তারা বেশ হতাশ।
উক্ত আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্যতম সমন্বয় ইউসুফ ইমন সাংবাদিকদের কে জানান, আমাদের একটাই দাবি, বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৫ম নিয়োগে আমাদের আবেদনের সুযোগ করে দিতে হবে। আমাদের দাবি আদায়ের জন্য আমরা এনটিআরসিএকে ২৪ ঘণ্টা আল্টিমেটাম বেধে দিয়েছি।
যদি এনটিআরসিএ আমাদেরকে আবেদনের সুযোগ করে না দেয় তাহলে আমরা আগামীকাল আমাদের সনদটিকে এনটিআরসিএ কে ফিরিয়ে দিব। সেই সাথে দাবি আদায়ের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করব।
৫ম গণ বিজ্ঞপ্তিতে অংশগ্রহণের দাবি আদায়ের আগে এনটিআরসি এর কার্যালয়ের সামনে এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং অনশন কর্মসূচি পালন করেছিল ৩৫ উর্ধ্ব চাকরি প্রত্যাশীরা। সেই সাথেও তাদের দাবি আদায়ের সুযোগ চেয়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসি এর চেয়ারম্যান বরাবর তারা স্মারকলিপি প্রদান করেন।