৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়েছেন প্রিয়নাথ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪ ৭১ বার পড়া হয়েছে

৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়েছেন প্রিয়নাথ

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সম্প্রতি খবরে এসেছে প্রায় ৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়েছেন প্রিয়নাথ। পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের মূল হোতা আবেদ আলীর সঙ্গে ধরা পড়ে তার কয়েকটি দোসর এবং ঠাকুরগাঁয়ের প্রিয়নাথ রায়। ইতিমধ্যে স্বীকারোক্তি মূলক একটি জবানবন্দীতে আবেদ আলী বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন, প্রিয়নাথ বিভিন্ন রেটে চাকরি প্রার্থীদের কাছে প্রশ্ন পৌঁছে দিতেন। চুক্তি হতো প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়। সেই সাথে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা এডভান্স নেয়া হতো। তারপর সেই বিপুল পরিমাণ টাকা ভাগ বাটোরা করা হতো। আর এ সকল কাজের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জড়িত ছিলেন প্রিয়নাথ।

৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়েছেন প্রিয়নাথ আর সেই প্রিয়নাথের এলাকায় তেমন কোন সম্পত্তি নেই। কিন্তু ঢাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে তার বাড়ি, গাড়িসহ রয়েছে হোটেল সম্পত্তি। প্রিয়নাথের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের। চার ভাইয়ের মধ্যেও তিনি সবচাইতে বড়। অভাবের সংসারে বড় হওয়া প্রিয়নাথ এসএসসি পরীক্ষার সময়ে বাবাকে হারান।

তারপর এইচএসসি পাস করে বন বিভাগে চাকরি নেন। ডিগ্রী পাস করে যোগদান করেন সেনাবাহিনীর অডিটর পদে। তারপর আস্তে আস্তে প্রশ্নফাসের চক্রের কর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। প্রিয়নাথের অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার জন্য তার মা দায়ী করছে প্রিয়নাথের বউকে। তিনি দাবী করছেন তার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে সে নাকি তার বউয়ের বুদ্ধিতে চলে।

৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়েছেন প্রিয়নাথ

৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়েছেন প্রিয়নাথ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে বিষয়টি। এদিকে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কে জানান, চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রিয়নাথ বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ হাতে নিয়েছেন। বিভিন্ন জেলায় তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে কিন্তু তিনি বিগত কয়েক বছর ধরে নিজ গ্রামের বাড়িতে আসেন না।

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার আবু তাহেরের ছেলে নোমান সিদ্দিক। তিনি একসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে চাকরি করতেন। ২০০৪ সালে পিএসসি প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয় এবং ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মোটা টাকার বিনিময় তাদের সাথে তিনি বিভিন্ন চাকরির সুপারিশ এবং তদবির করতেন। তার কিছুদিন পরেই পরিচয় হয় অডিটর প্রিয়নাথ রায় এর সঙ্গে। তার সাথে মিলে প্রশ্নপত্র বিক্রি করে ইতিমধ্যে একটি গার্মেন্টসের মালিক হয়ে জেগেছেন তিনি। তিনি বর্তমানে থাকেন মিরপুরের ১০ নম্বর এলাকায়। সেখানে তার একটি নিজস্ব ফ্ল্যাট রয়েছে।

৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়েছেন প্রিয়নাথ আর এদিকে পিএসসির আলোচিত গাড়িচালক আবেদ আলী ও তার সকল বিজনেস প্রতিষ্ঠানকে জব্দের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ইউনিট।

সহবাসের দোয়া ও নিয়ম জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়েছেন প্রিয়নাথ

আপডেট সময় : ০৯:১৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

সম্প্রতি খবরে এসেছে প্রায় ৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়েছেন প্রিয়নাথ। পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের মূল হোতা আবেদ আলীর সঙ্গে ধরা পড়ে তার কয়েকটি দোসর এবং ঠাকুরগাঁয়ের প্রিয়নাথ রায়। ইতিমধ্যে স্বীকারোক্তি মূলক একটি জবানবন্দীতে আবেদ আলী বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন, প্রিয়নাথ বিভিন্ন রেটে চাকরি প্রার্থীদের কাছে প্রশ্ন পৌঁছে দিতেন। চুক্তি হতো প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়। সেই সাথে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা এডভান্স নেয়া হতো। তারপর সেই বিপুল পরিমাণ টাকা ভাগ বাটোরা করা হতো। আর এ সকল কাজের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জড়িত ছিলেন প্রিয়নাথ।

৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়েছেন প্রিয়নাথ আর সেই প্রিয়নাথের এলাকায় তেমন কোন সম্পত্তি নেই। কিন্তু ঢাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে তার বাড়ি, গাড়িসহ রয়েছে হোটেল সম্পত্তি। প্রিয়নাথের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের। চার ভাইয়ের মধ্যেও তিনি সবচাইতে বড়। অভাবের সংসারে বড় হওয়া প্রিয়নাথ এসএসসি পরীক্ষার সময়ে বাবাকে হারান।

তারপর এইচএসসি পাস করে বন বিভাগে চাকরি নেন। ডিগ্রী পাস করে যোগদান করেন সেনাবাহিনীর অডিটর পদে। তারপর আস্তে আস্তে প্রশ্নফাসের চক্রের কর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। প্রিয়নাথের অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার জন্য তার মা দায়ী করছে প্রিয়নাথের বউকে। তিনি দাবী করছেন তার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে সে নাকি তার বউয়ের বুদ্ধিতে চলে।

৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়েছেন প্রিয়নাথ

৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়েছেন প্রিয়নাথ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে বিষয়টি। এদিকে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কে জানান, চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রিয়নাথ বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ হাতে নিয়েছেন। বিভিন্ন জেলায় তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে কিন্তু তিনি বিগত কয়েক বছর ধরে নিজ গ্রামের বাড়িতে আসেন না।

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার আবু তাহেরের ছেলে নোমান সিদ্দিক। তিনি একসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে চাকরি করতেন। ২০০৪ সালে পিএসসি প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয় এবং ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মোটা টাকার বিনিময় তাদের সাথে তিনি বিভিন্ন চাকরির সুপারিশ এবং তদবির করতেন। তার কিছুদিন পরেই পরিচয় হয় অডিটর প্রিয়নাথ রায় এর সঙ্গে। তার সাথে মিলে প্রশ্নপত্র বিক্রি করে ইতিমধ্যে একটি গার্মেন্টসের মালিক হয়ে জেগেছেন তিনি। তিনি বর্তমানে থাকেন মিরপুরের ১০ নম্বর এলাকায়। সেখানে তার একটি নিজস্ব ফ্ল্যাট রয়েছে।

৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়েছেন প্রিয়নাথ আর এদিকে পিএসসির আলোচিত গাড়িচালক আবেদ আলী ও তার সকল বিজনেস প্রতিষ্ঠানকে জব্দের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ইউনিট।

সহবাসের দোয়া ও নিয়ম জানতে এখানে প্রবেশ করুন।