হার্ট ভালো রাখার উপায় কি কি

- আপডেট সময় : ০৪:৫৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে
আজকে আমি আপনাদেরকে হার্ট ভালো রাখার উপায় গুলি নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের চারপাশের সকল পরিবেশ নিয়ে আমরা বেশিরভাগ সময় অস্থির এবং উদ্বিগ্ন থাকি। সেটা হতে পারে পরিবারের চাপ, চাকুরীর চাপ, ব্যবসার চাপ ইত্যাদি। তাই এ সকল চাপ সামাল দিয়ে নিজের মানসিক অবস্থা এবং শারীরিক অবস্থাকেও খেয়াল রাখাটা অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ে। আর এ সকল চাপ এবং দুশ্চিন্তা থেকে তৈরি হয় হার্টের সমস্যা।
চলুন জেনে নেই হার্ট ভালো রাখার উপায় গুলো কি কি:
নিয়মিত শরীর চর্চা
সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চার কোন বিকল্প নেই। সেই সাথে হার্ট ভালো রাখার অন্যতম উপায়ও এটি। আপনার নিয়মিত কি ধরনের ব্যায়াম করা উচিত এবং কতক্ষণ ধরে ব্যায়াম করা উচিত এগুলো আগে থেকে নির্ধারণ করে রাখুন। সেই সাথে হার্ট ভালো রাখার জন্য নিয়মিত কার্ডিয়ো ব্যায়াম করুন।
হার্ট ভালো রাখার কার্ডিয়ো ব্যায়াম গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হাঁটা, দৌড়ানো এবং ব্যাডমিন্টন খেলা।
আর যদি হাঁটার অভ্যাস গড়তে চান তাহলে প্রতিদিন অন্তত আধা ঘন্টা করে হাঁটুন।
হার্ট ভালো রাখার উপায় কি কি
স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং খাদ্যাভ্যাস
আজকাল সবাই চান কমবেশি পাতলা গড়নের থাকতে। আবার চান মজাদার মসলাদার এবং ভাঁজাপুড়ি জাতীয় খাবার খেতে। বর্তমানের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এবং স্ট্রিট ফুডের দোকান গুলোতে এ ধরনের খাবার সবচাইতে বেশি পাওয়া যায়। এছাড়া প্যাকেটজাত খাবার তো আছেই। আপনি যদি নিজের হার্ট ভালো রাখার উপায় জানতে চান তাহলে এই ধরনের খাবারগুলি যত দ্রুত সম্ভব পরিহার করুন।
আমরা ইদানিং আশেপাশে লক্ষ্য করতে পারছি অল্প বয়সে হার্টের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও ভীষণ জরুরী।
হাট ভালো রাখার জন্য সুসংখ্যা খাবার যেমন, ভাত, ডাল, রুটি সবজির ডিম ফলমূল সবকিছু মিলেই খেতে পারেন।
মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করুন
অনেকের আবার মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি বেশ আগ্রহ রয়েছে। তবে হার্ট বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করার জন্যই পরামর্শ দিয়েছেন। হার্টের সমস্যা ছাড়া এ সকল রোগের কারণে ডায়াবেটিস রক্তচাপ সহ নানা সমস্যা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এছাড়াও মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করলে কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
আশা করি হার্ট ভালো রাখার উপায় গুলি আপনাদের বাস্তব জীবনে খুব কাজে লাগবে। নিজেরা জনের পাশাপাশি এই তথ্য গুলি আপনার পরিবারের বাকি সকল সদস্যদের কাছে শেয়ার করুন। এতে করে ভালো থাকবে পরিবারের সবাই।