হারাম উপার্জনের দান কবুল হবে কিনা এ ব্যাপারে আমাদের মনের অনেক রকম প্রশ্ন রয়েছে। আমরা যারা প্র্যাকটিসিং মুসলিম রয়েছি তারা হালাল এবং হারামের ব্যাপারে বেশ সচেতন। একজন মুসলমান হিসেবে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে হালাল উপার্জন করা।

হারাম উপার্জনের দান কবুল হবে কিনা

এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, হে মানুষ জাতি, তোমরা পৃথিবীর সকল হালাল ও পবিত্র বস্তু গ্রহণ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করোনা। নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। এই আয়াতটি উল্লেখ করা হয়েছে সূরা বাকারার ১৬৮ নম্বর আয়াতে।

শুধু হালাল উপার্জনের ব্যাপারেই এখানে বলা হয়নি। পাশাপাশি হারাম উপার্জনের করুন পরিণতি সম্পর্কেও বলা হয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এমন কোন দেহ বা শরীর কখনোই বেহেস্তে প্রবেশ করবে না যে শরীর বা দেহ হারাম দ্বারা গঠিত। অবশ্যই দোযখই তার উপযুক্ত স্থান। (মুসনাদে আহমদ: ১৪৪৪১)

বিভিন্ন কোরআন-হাদিস থেকে এই সত্যটি ইতিমধ্য প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে যে হারাম উপার্জন করে কোন ইবাদত মহান আল্লাহ তায়ালার নিকটে কবুল হয় না। এর কারণ হচ্ছে হারাম ইসলামের দৃষ্টিতে খুবই অপবিত্র। শুধু হারাম ইবাদতে দোয়া কবুলই নয় বরং হারাম উপার্জনের দানও কবুল হয়। কারণ দান সদকা এগুলো ইবাদতের একটি অংশ যেগুলো অবশ্যই পবিত্র জিনিস দ্বারা করতে হবে।

হারাম উপার্জনের দান কবুল হবে কিনা

এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, এমনটি কখনোই হবে না যে যদি কোন বান্দা হারাম পন্থায় উপার্জন করে এবং সেই উপার্জন থেকে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে এবং তাতে বরকত দান করা হয়। হারাম উপার্জনের দান থেকে কোনরকম সদকা কিংবা সওয়াব কখনোই কবুল করা হবে না। বরং ওই হারাম উপার্জনকারী ব্যক্তি যদি দুনিয়াতে হারাম সম্পদ রেখে মৃত্যুবরণ করে তাহলে তাকে আরো বেশি করে জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করতে হবে।

কারণ হারাম উপার্জন একটি গুনাহ আর হারাম উপার্জনের দ্বারা অন্য কোন গুনা অবশ্যই নির্মূল করা হবে না। গুনাহ কিংবা পাপ নির্মূল করার জন্য প্রয়োজন নেক আমল। সংক্ষেপে বলতে পারি অপবিত্র বস্তু কখনো অপর একটি অপবিত্রত বস্তুর পবিত্রতা আনতে পারে না। এব্যাপারেও হাদিস শরীফে বিস্তারিত বিবরণ এসেছে।

বিভিন্ন হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি হারাম সম্পদ উপার্জন করে এবং তার ভক্ষণ করে এবং তা থেকে বিভিন্ন সদকা এবং দান করে বরং সে থেকে তার কোন উপকার হবে না। অবৈধ পাপের বোঝা থেকে সব সময় বয়ে বেড়াতে হবে।