মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের সকল পর্যায়ের স্কুল কলেজ মাদ্রাসা এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠান গুলোর সকল ধরনের শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল কলেজ বন্ধ সম্পর্কিত এই সিদ্ধান্তটি জানানো হয়। উক্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের শারীরিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করেছে।

স্কুল কলেজে বন্ধ ঘোষনা দেওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সকল কলেজ গুলোও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই দিন মঙ্গলবার রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করা হয় পরবর্তী দিক নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ থাকবে যেগুলো জাতীয় প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে। কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে ঘিরে সারা দেশে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।

স্কুল কলেজ বন্ধের পাশাপাশি আগামী বৃহস্পতিবারের এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় শিক্ষা বোর্ড।

সারাদেশের সব স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা

মঙ্গলবার বাংলাদেশ আন্ত শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সাংবাদিকদের কে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে এই তথ্য গুলো জানান।

তবে স্কুল কলেজ বন্ধের পাশাপাশি এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার স্থগিত করার বিষয়টি আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা ছাড়া বাকি পরীক্ষা গুলি নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী যথারীতি হলে অনুষ্ঠিত হবে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সুস্থ এবং নিরাপত্তার সহিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার বিষয়টি বিবেচনা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন।

আমরা সংবাদ মাধ্যম গুলোতে দেখেছি কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে বেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা এবং এর আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন রাস্তা শিক্ষার্থীরা বন্ধ করে রেখেছে।

ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কোটা আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বে না বলে ঘোষণা দিয়েছে।

যেহেতু কোটা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাস্তায় অবস্থান করার কারণে তীব্র যানজট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তাই এমনটা অবস্থায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে বন্ধ দেওয়া হয়েছে যাতে করে তারা কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির শিকার না হয়।