সহবাসের দোয়া ও নিয়ম

- আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব স্ত্রী সহবাসের দোয়া ও নিয়ম। নারী ও পুরুষের পরষ্পরের শারীরিক সম্পর্কে মাধ্যমে মানুষের বংশবিস্তার ঘটে। আর এই শারীরিক সম্পর্কের বৈধ পদ্ধতি হলো বিয়ে। বিয়ের মাধ্যমে একজন নারী এবং পুরুষের মধ্য হালাল এবং ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়।
নারী ও পুরুষের এই সম্পর্ক হচ্ছে পবিত্র এবং সওয়াবের কাজ। মহান আল্লাহ তা’আলা বিবাহের মাধ্যমে তাদের মধ্য যৌণ সম্পর্কে বৈধতা এবং বংশবিস্তারের কল্যাণ এর কল্যাণমূলক কাজে পরিণত করেছেন। তবে আল্লাহ তা’আলা আমাদের জন্য সহবাসের দোয়া ও নিয়ম সম্পর্কে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। চলুন সেগুলো জেনে নেই।
স্ত্রী সহবাসের দোয়া
বাংলা উচ্চারণ:”বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নি বনাশ শায়ত্বানা ওয়া জান্নি বিশ শায়ত্বানা মা রাজাক্ব তানা।”
এর অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! তোমার নামে শুরু করছি। আমাদের নিকট হতে তুমি শয়তানকে দূরে সরিয়ে দাও। আমাদের এই শারীরিক সম্পর্কের ফলে যে সন্তান জন্ম নিবে তা হতেও শয়তানকে দূরে রাখো।
সে সহবাসের দোয়া ও নিয়মের ফজিলত
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত আছে, আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের মধ্য কেউ তার নিজের স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে তখন যেন এই দোয়াটি পড়ে সহবাসে মিলিত হয়। এই শারীরিক সম্পর্কের ফলে যদি তাদের মধ্যে কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করে সেই সন্তানকে শয়তান কোন কুপ্রেরণা বা ক্ষতি করতে পারে না। উক্ত হাদিসটি বুখারী মুসলিম এবং মিশকাত শরীফে এসেছে।
কোন ব্যক্তি যখন তার স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হয় তখন তিনি যেন এই দোয়া এবং নিয়ত করে। সেই সাথে সকল প্রকার ব্যভিচার এবং গুনাহ থেকে দূরে থাকে। তাহলে তার নেক এবং সৎ সন্তান জন্ম নেবে।
আপনারা সহবাসের দোয়া এবং এটির ফজিলত সম্পর্কে জানলেন। এবার চলুন জেনে নেই হাদিস ও ইসলামিক নিয়ম অনুসারে সহবাসের কিছু নিয়ম।
সহবাসের দোয়া ও নিয়ম
স্ত্রী সহবাসের পূর্বের কিছু কাজ
• সহবাসের পূর্বে স্ত্রী এবং স্বামী উভয়ই পাক-পবিত্র হয়ে নিবে।
• বিসমিল্লাহ বলে তারা সহবাস শুরু করবে। বিসমিল্লাহ বলা মুস্তাহাব। যদি বিসমিল্লাহ পড়তে ভুলে যায় তাহলে বীর্যপাতের পূর্বে স্মরণ হলে সেটি পড়ে নিতে হবে।
• শারীরিক সম্পর্ক শুরু করার আগে সুগন্ধি ব্যবহার করা যেতে পারে। সকল ধরনের দুর্গন্ধ যুক্ত জিনিস পরিহার করতে হবে।
সহবাসের সময় যে কাজ গুলো থেকে বিরত থাকতে হবে:
• কখনোই কেবলামুখী ভাবে সহবাস করা যাবে না।
• স্বামী স্ত্রী কেউই একেবারে উলঙ্গ হওয়া যাবে না।
• নিজের স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দান করার আগ পর্যন্ত সরে না আসা।
• একে অপরের যৌনাঙ্গের দিকে না তাকানো।
• খুব বেশি পরিমাণে কথা না বলা।
• ভরা পেটে এবং উল্টো ভাবে সহবাস না করা।
সহবাস করার দোয়া ও নিয়মের এই পর্যায়ে আমরা জানবো কোন সময় গুলোতে স্ত্রী সহবাস থেকে অবশ্যই বিরোধ থাকা উচিত।
• স্ত্রীর হায়েস নেফাস বা মাসিকের সময় সহবাস করা যাবে না।
• চন্দ্র মাসের প্রথম এবং ১৫ তারিখে সাথে মিলিত হওয়া যাবে না।
• কোথাও সফরে যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রীর সাথে এবং যোহরের নামাজের পরে স্ত্রীর সাথে সহবাস না করা।
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক একটি জান্নাতের সম্পর্ক। উপরের একটা কিছু অন্য নিয়ম বাদে আপনি যেকোনো সময় আপনার স্ত্রীর সাথে মিলিত হতে পারবেন। তবে অবশ্যই সহবাসের দোয়া ও নিয়ম গুলো অবশ্যই অনুসরণ করবেন।
ঠোঁট গোলাপি করার উপায় জানতে এখানে প্রবেশ করুন।