সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

- আপডেট সময় : ১১:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার হয়েছে। তারপর থেকে যেটি আলোচনায় আসছে সেটি হচ্ছে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়টি। বিগত অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর নির্ধারিত।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি আস্তে আস্তে অনেক বেশি জোরালো হয়ে আসছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করলে এটি একটি সময়োপযোগী দাবি। তবে এ বিষয়ে আরো গভীর বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা বৃদ্ধির আগে অবশ্যই নীতিগত কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। বয়স সীমাকে শুধুমাত্র একটি স্থির অবস্থায় না দেখে নিয়মিত পর্যালোচনা করা উচিত।
পৃথিবী অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষেরও জীবনযাত্রা মান বৃদ্ধি পেয়েছে, বৃদ্ধি পেয়েছে কর্মক্ষমতা। সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে চাকরিতে বয়সের সীমা অনেকটাই বাড়ানো যেতে পারে।
অবশ্য সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার পক্ষে এবং বিপক্ষে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ বিভিন্ন রকম যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই সেগুলো বিবেচনায় নেওয়া উচিত। এতে করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ঘটবে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় একটি সাধারণ সমস্যা হচ্ছে সেশনজট। বর্তমান সময়ে শিক্ষায় পরিধি বৃদ্ধি পাওয়া উচ্চশিক্ষায় দেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। বিশেষ করে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করতে। তাই অনেক সময় তারা ৩০ বছর বয়সের ভিতরে চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ হতে বঞ্চিত হন।
যদি এই বয়স সীমা ৩৫ কিংবা কিছুটা বাড়ানো হয় তাহলে অনেক শিক্ষিত লোকজনই মাস্টার্স কিংবা পিএইচডি করে বিভিন্ন সেক্টরের জব করে দেশের ভালো অবদান রাখতে পারবেন। যা কিন্তু এটি না হওয়ায় এদের বেশিরভাগই দেশের বাইরে চলে যায়।
আবার সামাজিক এবং পারিবারিক চাপের কারণে অনেকেই উচ্চতর শিক্ষা বাদ দিয়ে চাকরিতে প্রবেশের জন্য আগে তোড়জোর শুরু করেন। এতে করে অনেক মেধাবির শিক্ষার্থী গবেষণাধর্মী কাজ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করছে। এ সকল দিক বিবেচনা করলে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি অবশ্যই চোখ থেকে একটি যাবে। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেই চাকরিতে বয়সের প্রবেশের বয়স সীমা ৩০ বা তার অনেক বেশি।
এর ফলে একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষা জীবন এবং উচ্চতর ডিগ্রি শেষ করে চাকরির জন্য পর্যাপ্ত সময় নিতে পারে। এতে করে একদিকে যেমন উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় অপরদিকে সদ্যপাশ করা বেকার যুবকদের মাথায় চাকরি বিষয়টি খুব একটা চাপ প্রদান করেন না। যেটি তাদের মানসিকভাবে অনেকটা স্মৃতিশীল করে তোলে।
কারণ সে যে কোন সময় চাইলে সরকারি সহ বিভিন্ন চাকরিতে প্রবেশ করতে পারবে। এতে করে এসে উদ্যোক্তা কিংবা বিজনেস করার মনোভাব বা সাহস পাবে।