শিশুর জ্বর হলে করনীয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪ ৪২ বার পড়া হয়েছে

শিশুর জ্বর হলে করনীয়

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শিশুর জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে সকল পিতা মাতারই জানা থাকা উচিত। শিশুর জ্বর হলে প্রাথমিক অবস্থা করণীয় হবে শিশুর জ্বর কমানো। জ্বর কমানোর মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুকে স্বস্তি এবং আরাম দেওয়া। তারপর ধীরে ধীরে জ্বরের কারণ খুঁজে বের করে তার চিকিৎসা করতে হবে।

কোন শিশুর জ্বর যদি ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে থাকে এবং শিশু খুব বেশি অসুস্থ না হয় তাহলে জ্বর কমানোর জন্য খুব একটা টেনশন না করলেও চলবে। কিন্তু যদি শিশুর লিভার কিংবা হার্টের সমস্যা থাকে তাহলে সেটি ভিন্ন কথা। শিশুর জ্বর বেশি হলে প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে।

শিশুর জ্বর হলে করণীয়

আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার ছোট্ট সোনামনির জ্বর হয়েছে তাহলে সবার আগে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গুলো ফলো করুন:

• শিশুকে খোলামেলা কোন ঘরে রাখুন। যথা সম্ভব কম কাপড়চোপড় পরিধান করান অথবা কাপড়-চোপড় না রাখাই ভালো। শিশুর শারীরে হাত দিয়ে আলতো ভাবে মালিশ করে দিন। কিছুক্ষণ পর পর অল্প অল্প করে পানি এবং তরল জাতীয় খাবার দিন।

• শিশুর জ্বর কমানোর জন্য জল তোষক কিংবা তয়ালে দিয়ে কুসুম কুসুম গরম পানিতে চুবিয়ে সারা শরীর মুছে দিন।

• শিশুর জ্বর হলে তাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে দিন। জ্বর হলে শিশুরা বয়স্কদের তুলনায় অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই তাকে পূর্ণ বিশ্রামে রাখুন।

• সম্ভব হলে শিশুকে হালকা বাতাসের ফ্যানের নিচে রাখুন এবং মশা মাছি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।

শিশুর জ্বর হলে প্যারাসিটামল সিরাপ

• শিশুকে প্যারাসিটামল ওষুধ খাওয়াতে হলে তার ওজন অনুযায়ী সেটি সেবন করতে হবে। এক্ষেত্রে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্যারাসিটামল সাধারণত শিশুর প্রতি কেজি ওজনের জন্য ৬০ মিলিগ্রাম করে দিতে হয়।

• প্যারাসিটামল খাওয়ানোর সাধারণত ৩০ মিনিট পর থেকে সেটির কার্যকারিতা শুরু হতে থাকে। তাই কিছুক্ষণ পর পর গরম পানিতে তয়ালে ভিজিয়ে শেষ হয়ে মুছে দিন।

শিশুর জ্বর হলে সাপোজিটরি

• জ্বর খুব বেশি হলে আমরা সাপোজিটরি প্রয়োগ করি এটা সাধারণত পায়ু পথে ব্যবহার করা হয়। সাধারণ প্যারাসিটামলে জ্বর না কমলে সাপোজিটরি দিতে পারেন।

• সাপোজিটরি প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রতি কেজি ওজনের জন্য ৩০ মিলিগ্রাম করে সাপোজিটরি দেওয়া যায়।

শিশুর জ্বর হলে সাবধানতা/শিশুর জ্বর হলে করনীয়

• শিশুদের জ্বর কমাতে সঠিক মাত্রায় ওষুধ ব্যবহার করুন। দ্রুত জ্বর কমানোর জন্য কোনভাবেই নিজেদের ইচ্ছেমতো মেডিসিন ব্যবহার করবেন না।

• জ্বরের মেডিসিনের পরিমাণ ঠিক না থাকলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে এবং কিডনিতেও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

• শিশুদের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের ওষুধ মুখে খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিত। কোনভাবেই মুখে ওষুধ প্রবেশ করানোর না গেলে সে ক্ষেত্রে সাপোজিটরি প্রয়োগ করতে পারেন। অনেকেই মনে করেন সাপোজিটরিতে শিশুর অনেক দ্রুত জ্বর কমে কিন্তু এটি ভুল ধারণা।

সঠিক যত্ন এবং মেডিসিন দেয়ার পরেও যদি শিশুর জ্বর না কমে তাহলে অতি দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি এবং কিভাবে শিশুর জল কমানো যায় উপায় গুলি অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।

সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শিশুর জ্বর হলে করনীয়

আপডেট সময় : ০৮:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

শিশুর জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে সকল পিতা মাতারই জানা থাকা উচিত। শিশুর জ্বর হলে প্রাথমিক অবস্থা করণীয় হবে শিশুর জ্বর কমানো। জ্বর কমানোর মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুকে স্বস্তি এবং আরাম দেওয়া। তারপর ধীরে ধীরে জ্বরের কারণ খুঁজে বের করে তার চিকিৎসা করতে হবে।

কোন শিশুর জ্বর যদি ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে থাকে এবং শিশু খুব বেশি অসুস্থ না হয় তাহলে জ্বর কমানোর জন্য খুব একটা টেনশন না করলেও চলবে। কিন্তু যদি শিশুর লিভার কিংবা হার্টের সমস্যা থাকে তাহলে সেটি ভিন্ন কথা। শিশুর জ্বর বেশি হলে প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে।

শিশুর জ্বর হলে করণীয়

আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার ছোট্ট সোনামনির জ্বর হয়েছে তাহলে সবার আগে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গুলো ফলো করুন:

• শিশুকে খোলামেলা কোন ঘরে রাখুন। যথা সম্ভব কম কাপড়চোপড় পরিধান করান অথবা কাপড়-চোপড় না রাখাই ভালো। শিশুর শারীরে হাত দিয়ে আলতো ভাবে মালিশ করে দিন। কিছুক্ষণ পর পর অল্প অল্প করে পানি এবং তরল জাতীয় খাবার দিন।

• শিশুর জ্বর কমানোর জন্য জল তোষক কিংবা তয়ালে দিয়ে কুসুম কুসুম গরম পানিতে চুবিয়ে সারা শরীর মুছে দিন।

• শিশুর জ্বর হলে তাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে দিন। জ্বর হলে শিশুরা বয়স্কদের তুলনায় অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই তাকে পূর্ণ বিশ্রামে রাখুন।

• সম্ভব হলে শিশুকে হালকা বাতাসের ফ্যানের নিচে রাখুন এবং মশা মাছি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।

শিশুর জ্বর হলে প্যারাসিটামল সিরাপ

• শিশুকে প্যারাসিটামল ওষুধ খাওয়াতে হলে তার ওজন অনুযায়ী সেটি সেবন করতে হবে। এক্ষেত্রে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্যারাসিটামল সাধারণত শিশুর প্রতি কেজি ওজনের জন্য ৬০ মিলিগ্রাম করে দিতে হয়।

• প্যারাসিটামল খাওয়ানোর সাধারণত ৩০ মিনিট পর থেকে সেটির কার্যকারিতা শুরু হতে থাকে। তাই কিছুক্ষণ পর পর গরম পানিতে তয়ালে ভিজিয়ে শেষ হয়ে মুছে দিন।

শিশুর জ্বর হলে সাপোজিটরি

• জ্বর খুব বেশি হলে আমরা সাপোজিটরি প্রয়োগ করি এটা সাধারণত পায়ু পথে ব্যবহার করা হয়। সাধারণ প্যারাসিটামলে জ্বর না কমলে সাপোজিটরি দিতে পারেন।

• সাপোজিটরি প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রতি কেজি ওজনের জন্য ৩০ মিলিগ্রাম করে সাপোজিটরি দেওয়া যায়।

শিশুর জ্বর হলে সাবধানতা/শিশুর জ্বর হলে করনীয়

• শিশুদের জ্বর কমাতে সঠিক মাত্রায় ওষুধ ব্যবহার করুন। দ্রুত জ্বর কমানোর জন্য কোনভাবেই নিজেদের ইচ্ছেমতো মেডিসিন ব্যবহার করবেন না।

• জ্বরের মেডিসিনের পরিমাণ ঠিক না থাকলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে এবং কিডনিতেও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

• শিশুদের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের ওষুধ মুখে খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিত। কোনভাবেই মুখে ওষুধ প্রবেশ করানোর না গেলে সে ক্ষেত্রে সাপোজিটরি প্রয়োগ করতে পারেন। অনেকেই মনে করেন সাপোজিটরিতে শিশুর অনেক দ্রুত জ্বর কমে কিন্তু এটি ভুল ধারণা।

সঠিক যত্ন এবং মেডিসিন দেয়ার পরেও যদি শিশুর জ্বর না কমে তাহলে অতি দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি এবং কিভাবে শিশুর জল কমানো যায় উপায় গুলি অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।

সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।