মেয়েকে বিয়ের শর্তে বিসিএসের প্রশ্ন দেন পিএসসি কর্মকর্তা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

মেয়েকে বিয়ের শর্তে বিসিএসের প্রশ্ন দেন পিএসসি কর্মকর্তা

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বর্তমান সময়ের আলোচিত বিষয় হচ্ছে পিএসসির প্রশ্ন ফাঁস। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। মেয়েকে বিয়ের শর্তে বিসিএসের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে এমন একটি খবর আবার সামনে এসেছে।

জানা গিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের একজন সাবেক মেম্বার তার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন এই শর্তে ডে, তোমাকে বিসিএস পরীক্ষাযর প্রশ্ন দিয়ে পাশ করার ব্যবস্থা করে দিব, তবে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। সেই শশুর বা পিএসসি কর্মকর্তা ছিলেন পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি। শুধু মেয়ের জামাই নয়, জামাইয়ের বোনকেও একই পদ্ধতিতে বানিয়েছেন বিসিএস ক্যাডার। এই ঘটনাটি ঘটে ১৯৯৫ সালের ১৫ তম বিসিএস পরীক্ষায়। পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে ওই কর্মকর্তা মেয়ের জামাই এবং জামাইয়ের বোনকে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করার ব্যবস্থা করে দেন।

সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ২০০২ সাল থেকে ব্যাপক হারে বিসিএস এর প্রশ্নপত্র ফাঁস হতো। সেই সাথে পিএসসি প্রশ্ন ফাঁসের একটি কারখানা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অসৎ এই কর্মকর্তারা যেখানে খুশি যা খুশি করতো। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হতো। সেই সাথে পিএসসি প্রশ্ন ফাঁসের সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়ে রিকশা চালক থেকে শুরু করে নানা শ্রেণীর মানুষ হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। লালমনিরহাট জেলার অদিতনালির উপজেলার একজন আওয়ামী লীগ নেতা যার নাম হচ্ছে মিজানুর রহমান। তিনিও প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত ছিলেন এমন টাই এলাকার লোকের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে।

মেয়েকে বিয়ের শর্তে বিসিএসের প্রশ্ন দেন পিএসসি কর্মকর্তা

বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার একটি পর্যালোচনা দেখা গিয়েছে, ৪০ তম বিসিএস পরীক্ষায় পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগে দেশের ২৪ টি জেলার কোন প্রার্থী নির্বাচিত হয়নি। কিন্তু ওই পরীক্ষায় পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণ হন ৭০ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যেও নারী প্রার্থী ছিলেন মাত্র ৭ জন। ঠিক একই ভাবে ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় ১৬ টি জেলায় কোন প্রার্থী নির্বাচিত হয়নি। সেই সাথে ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষায় একইভাবে পুলিশ ক্যাডারে দেশের ১৪ টি জেলায় কোন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে যে সকল জেলায় পিএসসি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে শুধু তাই উত্তীর্ণ হয়েছে। শুধু পুলিশ ক্যাডারের ক্ষেত্রে নয় বিসিএস এর প্রায় সকল ধরনের ক্যাডারের ক্ষেত্রে এই একই ঘটনা ঘটেছে।। পিএসসি প্রশ্ন ফাঁসের কারণে তারা এই ধরনের সুবিধা পেয়েছে।

পিএসসির প্রশ্ন ফাঁস চক্র অসাধু কর্মকর্তাদের সারা দেশ জুড়ে রয়েছে বিশাল নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন রকম প্রশ্ন ফাঁস এবং অবৈধ নিয়োগের বাণিজ্য চলে আসছে। বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক এ প্রকাশিত এর প্রতিবেদন থেকে এ সকল তথ্যগুলো জানা গিয়েছে।

এদিকে পিএসসি প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পরে তারা বিভিন্ন রকমের তথ্য দিয়েছেন। সে তথ্য অনুযায়ী এর সাথে জড়িত আরো অসাধু কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। সেই সাথে যারা প্রশ্নপত্র পেয়ে বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

ঢাকার আশেপাশে কম খরচে ঘোরার জায়গা জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মেয়েকে বিয়ের শর্তে বিসিএসের প্রশ্ন দেন পিএসসি কর্মকর্তা

আপডেট সময় : ০৯:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

বর্তমান সময়ের আলোচিত বিষয় হচ্ছে পিএসসির প্রশ্ন ফাঁস। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। মেয়েকে বিয়ের শর্তে বিসিএসের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে এমন একটি খবর আবার সামনে এসেছে।

জানা গিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের একজন সাবেক মেম্বার তার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন এই শর্তে ডে, তোমাকে বিসিএস পরীক্ষাযর প্রশ্ন দিয়ে পাশ করার ব্যবস্থা করে দিব, তবে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। সেই শশুর বা পিএসসি কর্মকর্তা ছিলেন পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি। শুধু মেয়ের জামাই নয়, জামাইয়ের বোনকেও একই পদ্ধতিতে বানিয়েছেন বিসিএস ক্যাডার। এই ঘটনাটি ঘটে ১৯৯৫ সালের ১৫ তম বিসিএস পরীক্ষায়। পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে ওই কর্মকর্তা মেয়ের জামাই এবং জামাইয়ের বোনকে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করার ব্যবস্থা করে দেন।

সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ২০০২ সাল থেকে ব্যাপক হারে বিসিএস এর প্রশ্নপত্র ফাঁস হতো। সেই সাথে পিএসসি প্রশ্ন ফাঁসের একটি কারখানা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অসৎ এই কর্মকর্তারা যেখানে খুশি যা খুশি করতো। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হতো। সেই সাথে পিএসসি প্রশ্ন ফাঁসের সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়ে রিকশা চালক থেকে শুরু করে নানা শ্রেণীর মানুষ হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। লালমনিরহাট জেলার অদিতনালির উপজেলার একজন আওয়ামী লীগ নেতা যার নাম হচ্ছে মিজানুর রহমান। তিনিও প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত ছিলেন এমন টাই এলাকার লোকের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে।

মেয়েকে বিয়ের শর্তে বিসিএসের প্রশ্ন দেন পিএসসি কর্মকর্তা

বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার একটি পর্যালোচনা দেখা গিয়েছে, ৪০ তম বিসিএস পরীক্ষায় পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগে দেশের ২৪ টি জেলার কোন প্রার্থী নির্বাচিত হয়নি। কিন্তু ওই পরীক্ষায় পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণ হন ৭০ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যেও নারী প্রার্থী ছিলেন মাত্র ৭ জন। ঠিক একই ভাবে ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় ১৬ টি জেলায় কোন প্রার্থী নির্বাচিত হয়নি। সেই সাথে ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষায় একইভাবে পুলিশ ক্যাডারে দেশের ১৪ টি জেলায় কোন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে যে সকল জেলায় পিএসসি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে শুধু তাই উত্তীর্ণ হয়েছে। শুধু পুলিশ ক্যাডারের ক্ষেত্রে নয় বিসিএস এর প্রায় সকল ধরনের ক্যাডারের ক্ষেত্রে এই একই ঘটনা ঘটেছে।। পিএসসি প্রশ্ন ফাঁসের কারণে তারা এই ধরনের সুবিধা পেয়েছে।

পিএসসির প্রশ্ন ফাঁস চক্র অসাধু কর্মকর্তাদের সারা দেশ জুড়ে রয়েছে বিশাল নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন রকম প্রশ্ন ফাঁস এবং অবৈধ নিয়োগের বাণিজ্য চলে আসছে। বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক এ প্রকাশিত এর প্রতিবেদন থেকে এ সকল তথ্যগুলো জানা গিয়েছে।

এদিকে পিএসসি প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পরে তারা বিভিন্ন রকমের তথ্য দিয়েছেন। সে তথ্য অনুযায়ী এর সাথে জড়িত আরো অসাধু কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। সেই সাথে যারা প্রশ্নপত্র পেয়ে বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

ঢাকার আশেপাশে কম খরচে ঘোরার জায়গা জানতে এখানে প্রবেশ করুন।