মৃত্যুর পর আত্মা কোথায় যায়
- আপডেট সময় : ০৭:০০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
মৃত্যুর পর আত্মা কোথায় যায় এ নিয়ে আমাদের অনেকেরই নানা রকম আগ্রহ রয়েছে। মালাকুল মউত যখন মানুষের রুহ কবজ করেন তখনো মৃত ব্যক্তি সেটি বুঝতে পারে। দাফনের পর সেই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করা হয় তোমার রব কে? তোমার ধর্ম বা দিন কি? তোমার নবী বা রাসুলকে?
এই প্রশ্নগুলো শুনে উত্তর প্রদান করার জন্য উক্ত ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে জীবন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ঠিক ওই সময় মানুষের জ্ঞান বা চেতনার শক্তি শুধুমাত্র কার্যকর থাকবে বাকি শরীর প্যারালাইজড বা কোমায় যাওয়ার মত অবস্থায় থাকবে। মুনকার এবং নাকীর ফেরেশতাদের প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে পুনরায় তার রুহু কবজ করা হবে এবং পুনরায় মৃত্যু হবে।
মৃত্যুর পর আত্মা কোথায় যায়?
আমাদের আত্মা এবং দেহ দুটো মিলেই জীবন। দেহ থেকে যদি আত্মা বের হয়ে চলে যায় তাহলে দেহের কোন মূল্য নেই সেটি নিষ্প্রাণ। যেদিকে আমরা মৃত্যু বলে অভিহিত করে থাকি। আমাদের শরীরের যে কোন অংশে আঘাত প্রাপ্ত হলে আমরা খুবই কষ্ট পাই এবং দুঃখ পাই। ঠিক তেমনিভাবে দেহ থেকে রূপ বা আত্মা বের হয়ে গেলে আমরা মৃত হয়ে যায়।
মানুষের শরীর থেকে জান কবজ করা হলে সেই রূপ বা আত্মা রুহের জগতে যদি সিজ্জিনের আজাবে পতিত হয় তাহলে দেহের উপরেও সেই আজাবটা বা শাস্তিটা অনুভব করা যায়।।
কিন্তু মৃত্যুর পর মানুষের আত্মা ঠিক কোথায় থাকে এ ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে বেশ মতভেদ রয়েছে। সকল আলেমদের পক্ষেই ভিন্ন ভিন্ন যুক্তি রয়েছে। কেউ কেউ অভিমত প্রকাশ করেছেন মৃত্যুর পর মুমিন ব্যক্তির রুহ জান্নাতে থাকে। আবার কেউ কেউ বলেছে মৃত্যুর পর আত্মা জান্নাতের দরজায় থাকে।
আবার আরেক দল মত প্রকাশ করেছে রুহু কবরেই থাকে।।
মৃত্যুর পর আত্মার কোথায় থাকে
মহান আল্লাহ তাআলা সূরা মুতাফফিফিনের ১৮ এবং ১৯ নম্বর আয়াতে ঘোষণা দিয়েছেন যে, কখনো নয় এবং নিশ্চয়ই নেককার এবং মুমিনদের আমলনামা সমূহ থাকে ইল্লিয়িসে। আপনি কি জানেন ইল্লিয়িন কি?
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (র.) বর্ণনা করেন, ইল্লিয়িন হলো জান্নাত। এটি মূলত ৭ম আসমানের নিচে মহান আল্লাহ তাআলার আরশের নিচে অবস্থিত। নেককার বা মুমিন বান্দাদের মৃত্যুর পর তার আত্মা বা রুহ ইল্লিয়িনে চলে যায়।
আবার যে ব্যক্তি গুলো বদকার কিংবা জাহান্নামে তাদের রূহ সিজ্জিনে রাখা হয়। এ ব্যাপারে বেশ কিছু সংখ্যক হাদিস রয়েছে, যেখানে জাহান্নামিদের জন্য সিজ্জিন বা শাস্তি খানার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সুতরাং মানুষের মৃত্যুর পর আত্মা রুহের জগতে এবং অর্থাৎ কবরের জগতে একত্রিত করে মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশক্রমে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়।
মৃত্যুর পর মানুষের আত্মা যদি ইল্লিয়িনে অবস্থান করে তাহলে তিনি কবরের জিন্দেগীতে আরাম আয়াশ অর্থাৎ জান্নাতি সুবিধায় থাকতে পারবেন। আর যদি মৃত ব্যক্তির আত্মা সিজ্জিনে চলে যায় তাহলে তার কবরের জীবন দোযখের আজাবের পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।
গোসল ফরজ হওয়ার কারণ জানতে এখানে প্রবেশ করুন।