মিষ্টি খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে না জেনে আমরা অনেক সময় নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে থাকি। ভোজনরসিক বাঙালির যেকোনো খাবারে অনুষ্ঠানের পর মিষ্টি জাতীয় খাবার না হলে যেন অনুষ্ঠান জমেই না। তবে আজকাল অনেকেই নানা কারণে এই খাবারটি এড়িয়ে চলেন। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একেবারেই নিষেধ। তবে একেবারেই যে মিষ্টি খাবারের উপকারিতা নেই কিংবা এটি খাওয়া যাবেনা এরকম কিছু ধারণা করা ভুল।

মিষ্টি খাবারেও বেশ ভালো কিছু গুণ রয়েছে

মিষ্টি খাবারের উপকারিতা

• আমরা যখন কোন খাবার খাই সেগুলো হজম করার জন্য আমাদের পাকস্থলী এক ধরনের এসিড নিঃসৃত করে। ঝাল খাবার খেলে এই এসিডের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে যায় এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে এটি কমে যায়। যার কারণে হজম প্রক্রিয়ায় ভারসাম্য রক্ষার জন্য মিষ্টি খাবারের উপকারিতা রয়েছে

• যেকোনো মিষ্টি জাতীয় খাবারে শরীরের সেরিটোনিন নামের একটি হরমোন নিঃসৃত হয়। অর্থাৎ এই হরমোনটি আপনার শরীরের আনন্দের এবং সুখের অনুভূতি যোগায়। তাইতো মাঝে মাঝে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে আমাদের মস্তিষ্কে কিছুটা শান্তি এবং স্বস্তি অনুভূত হয়

• আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যখন অতিরিক্ত পরিমাণে তৈলাক্ত খাবার খেয়ে থাকি সেগুলো আমাদের রক্তচাপকে কমিয়ে দেয়। কিন্তু পর মুহুর্তে সামান্য পরিমাণে মিষ্টি জাতীয় খাবার আমাদের শরীর রক্তচাপকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।

• দেখা গিয়েছে বয়স্ক কিংবা অল্প বয়সে যে কোন স্মৃতিশক্তি আরো বেশি শক্তিশালী করতে মিষ্টি জাতীয় খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি মিষ্টি খাবারের উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম।

• প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে কিছু পরিমাণে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে শরীরে ওজন বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ যারা অতিরিক্ত পাতলা তাদের জন্য মিষ্টি হতে পারে ওজন বৃদ্ধির অন্যতম একটি মাধ্যম।

মিষ্টি খাওয়ার অপকারিতা

মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা তো অনেক জেনেছি এবার চলুন এর ক্ষতিকারক কিছু দিক গুলো জেনে নেই।

• আমরা বাজার থেকে যে মিষ্টি কিংবা এ জাতীয় খাবার কিনে আনি সেগুলোতে অধিক পরিমাণে ক্যালরি থাকে। যার কারণে স্বাস্থ্যবান মানুষদের জন্য এটি খাওয়া একদমই উচিত নয়।

মিষ্টি খাবারের উপকারিতা

• অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যদি খাবারের ভেতরে ১৫০ গ্রামের বেশি ফ্রুক্টোজ থাকে তাহলে সেটি শরীরের রক্তচাপ বা কোলেস্টেরলের সমস্যার জন্য দায়ী। মিষ্টি জাতীয় খাবারের জন্য এই সমস্যাটা দেখা যায়।

• মিষ্টি খাওয়ার অপকারিতার গুলোর মধ্যে রয়েছে শরীরের কৃমি হওয়া। মিষ্টি জাতীয় খাবারে আমাদের পাকস্থলীতে বিভিন্ন রকম পরজীবীর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

খালি পেটে মিষ্টি খাওয়া যাবে কি

ক্ষুধার কারণে আমরা অনেক সময় খালি পেটে মিষ্টি খেয়ে থাকি। খালি পেটে মিষ্টি খাওয়ার ফলে ইনসুলিনের মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যাওয়া সঙ্গে থাকে এছাড়া অগ্নাশয়ের উপরে ক্ষতিকার প্রভাব ফেলে। তাই খালি পেটে মিষ্টি খাওয়া উচিত নয়।

শেষ কথা

কোথায় আছে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। মিষ্টি খাবারের উপকারিতা থাকলেও এটি অতিরিক্ত খাওয়া কখনোই উচিত হবে না।

উলঙ্গ হয়ে গোসল করা যাবে কিনা জানতে এখানে প্রবেশ করুন।