মশা তাড়ানোর আগে যে বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

মশা তাড়ানোর

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশেষজ্ঞরা সবসময় বলেন মশা তাড়ানোর পদ্ধতি এমনভাবে নিতে হবে যাতে আমাদের আশেপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকে। কারণ আমাদের পরিবারের মধ্যে বয়স্ক, হাঁপানি রোগী কিংবা শিশুদের শ্বাসতন্ত্র খুবই সেনসিটিভ থাকে। যার কারণে মশা তাড়ানোর উপায় হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন রকম কয়েল, স্প্রে, ধোয়া ইত্যাদি তাদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে পড়ে।

তাহলে মশা তাড়ানোর উপায় হিসেবে কি ব্যবহার করা উচিত?

মশা ঘর থেকে তাড়ানোর চাইতে বেশি জরুরী হলো মশা জেনো ঘরে প্রবেশ করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। এর জন্য আপনি ঘরের জানালায় কিংবা ফাঁকা অংশ গুলোতে নেট বা মশা নিরোধক জাল ব্যবহার করতে পারেন। নেট দিয়ে জানালা খোলা রাখা অবস্থায়ও মশার ভেতরে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

আবার ঘরে ঢুকে পড়া মশা মারার জন্য বৈদ্যুতিক ব্যাট ব্যবহার করতে পারেন। বাসায় ছোট্ট শিশু থাকলে তো অবশ্যই তার জন্য মশারি ব্যবহার করতে হবে। ছোট্ট শিশু বা বয়স্কদের রুমে কোনভাবেই কয়েল মশার স্প্রে ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর।

আবার অনেক সময় মশার কয়েলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।

অবশ্য বাড়ি নির্মাণের সময় জানালা বড় করে দেয়া উচিত যাতে বাইরে থেকে আলো বাতাস বেশি পরিমাণে প্রবেশ করতে পারে। এতে অবশ্য মশার উদ্রব্য কিছুটা কম হবে।

মশা তাড়ানোর আগে যে বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন

সন্ধ্যার দিকে যদি ঘরের সব দরজা জানালা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেন তাহলে মশা অনেকটা কমে যাবে। আবার আপনি চাইলে মশার প্রবেশপথ গুলোতে কিছু পরিমাণে ধোঁয়া কিংবা কয়েলের ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে করে সন্ধ্যা বেলা মশা ঘরে প্রবেশ করতে না পারলে সারাদিন নিশ্চিন্তে কাটাতে পারবেন।

মশার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

মশা যাতে ঘরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কি কি করবেন সেগুলো সম্পর্কে আমাদের কিছুটা ধারণা হয়েছে।

আমাদের আশেপাশে যাতে মশা না জন্মাতে পারে তার জন্য সকল আবর্জনা এবং জলাশয় গুলো পরিষ্কার রাখুন। কারণ এ সকল জলাশয় এবং আবর্জনা স্থানে এডিস মশা ডিম পাড়ে। তবে এই সকল জায়গা পরিষ্কার করার আগে অবশ্যই নাক মুখ ভালো করে ঢেকে নিবেন।

বাজারে অনেক ধরনের কীটনাশক পাওয়া যায় যেগুলো দিয়ে আশেপাশের নোংরা জায়গায় পরিষ্কার করতে পারেন। সারা বছর এই জায়গাগুলো পরিষ্কার রাখতে পারলে আপনার পরিবার অনেক বড় ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যেতে পারে।

আনসারদের রেস্ট প্রথা কি? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মশা তাড়ানোর আগে যে বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন

আপডেট সময় : ০২:১৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

বিশেষজ্ঞরা সবসময় বলেন মশা তাড়ানোর পদ্ধতি এমনভাবে নিতে হবে যাতে আমাদের আশেপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকে। কারণ আমাদের পরিবারের মধ্যে বয়স্ক, হাঁপানি রোগী কিংবা শিশুদের শ্বাসতন্ত্র খুবই সেনসিটিভ থাকে। যার কারণে মশা তাড়ানোর উপায় হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন রকম কয়েল, স্প্রে, ধোয়া ইত্যাদি তাদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে পড়ে।

তাহলে মশা তাড়ানোর উপায় হিসেবে কি ব্যবহার করা উচিত?

মশা ঘর থেকে তাড়ানোর চাইতে বেশি জরুরী হলো মশা জেনো ঘরে প্রবেশ করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। এর জন্য আপনি ঘরের জানালায় কিংবা ফাঁকা অংশ গুলোতে নেট বা মশা নিরোধক জাল ব্যবহার করতে পারেন। নেট দিয়ে জানালা খোলা রাখা অবস্থায়ও মশার ভেতরে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

আবার ঘরে ঢুকে পড়া মশা মারার জন্য বৈদ্যুতিক ব্যাট ব্যবহার করতে পারেন। বাসায় ছোট্ট শিশু থাকলে তো অবশ্যই তার জন্য মশারি ব্যবহার করতে হবে। ছোট্ট শিশু বা বয়স্কদের রুমে কোনভাবেই কয়েল মশার স্প্রে ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর।

আবার অনেক সময় মশার কয়েলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।

অবশ্য বাড়ি নির্মাণের সময় জানালা বড় করে দেয়া উচিত যাতে বাইরে থেকে আলো বাতাস বেশি পরিমাণে প্রবেশ করতে পারে। এতে অবশ্য মশার উদ্রব্য কিছুটা কম হবে।

মশা তাড়ানোর আগে যে বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন

সন্ধ্যার দিকে যদি ঘরের সব দরজা জানালা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেন তাহলে মশা অনেকটা কমে যাবে। আবার আপনি চাইলে মশার প্রবেশপথ গুলোতে কিছু পরিমাণে ধোঁয়া কিংবা কয়েলের ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে করে সন্ধ্যা বেলা মশা ঘরে প্রবেশ করতে না পারলে সারাদিন নিশ্চিন্তে কাটাতে পারবেন।

মশার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

মশা যাতে ঘরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কি কি করবেন সেগুলো সম্পর্কে আমাদের কিছুটা ধারণা হয়েছে।

আমাদের আশেপাশে যাতে মশা না জন্মাতে পারে তার জন্য সকল আবর্জনা এবং জলাশয় গুলো পরিষ্কার রাখুন। কারণ এ সকল জলাশয় এবং আবর্জনা স্থানে এডিস মশা ডিম পাড়ে। তবে এই সকল জায়গা পরিষ্কার করার আগে অবশ্যই নাক মুখ ভালো করে ঢেকে নিবেন।

বাজারে অনেক ধরনের কীটনাশক পাওয়া যায় যেগুলো দিয়ে আশেপাশের নোংরা জায়গায় পরিষ্কার করতে পারেন। সারা বছর এই জায়গাগুলো পরিষ্কার রাখতে পারলে আপনার পরিবার অনেক বড় ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যেতে পারে।

আনসারদের রেস্ট প্রথা কি? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।