ভিপিএন ব্যবহার করা কি নিরাপদ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

ভিপিএন ব্যবহার করা কি নিরাপদ

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজকে আমি আপনাদের সাথে দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব. একটি হচ্ছে বাংলাদেশে ভিপিএন ব্যবহার করা বৈধ কিনা এবং অপরটি হচ্ছে ভিপিএন ব্যবহার করা কি নিরাপদ হবে কিনা।

প্রথম প্রশ্নটি হচ্ছে বাংলাদেশের ভিপিএন ব্যবহার কিংবা অন্যান্য দেশে ভিপিএন এর ব্যবহারে বৈধতা আছে কিনা। এর সাধারণ উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ। বাংলাদেশ অফিসিয়াল ভাবে ভিপিএন ব্যবহারের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। কিংবা প্রযুক্তিগত দিক থেকে এটি ব্যবহার বন্ধের উপায় নেই।

ভিপিএন কি?

এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। অর্থাৎ আপনি আপনার নেটওয়ার্কের বা ডিভাইসের তথ্য গুলো গোপন রেখে কোন সাইট কিংবা অ্যাপ এ প্রবেশ করতে পারবেন। বাংলাদেশে বিগত বেশ কিছুদিন যাবত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, টিকটক এবং হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ থাকার কারণে মানুষের মধ্যে ভিপিএন ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফেসবুক, টিকটক এই সকল মাধ্যম গুলো বাংলাদেশে বন্ধ রয়েছে কিন্তু অন্য কোন দেশে বন্ধ নেই। তাই ভিপিএন হচ্ছে এমন একটি নেটওয়ার্ক সিস্টেম যেটির মাধ্যমে আপনার ফোনকে বাংলাদেশের বাইরে অন্য কোথাও হতে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে ওয়েবসাইটকে তথ্য দেবে।

ফলে বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ থাকলেও আপনার মোবাইল ভিপিএন দিয়ে ফেসবুকে প্রবেশ করা সম্ভব। কারণ ফেসবুক আপনার লোকেশন বাংলাদেশের পরিবর্তে আমেরিকা বা অন্য কোন দেশ দেখাচ্ছে।
এভাবে ভিপিএন ব্যবহার করে আপনি যেকোনো প্রাইভেট কিংবা রেস্ট্রিক্টেড নেটওয়ার্কের ঢুকতে পারবেন।

ভিপিএন ব্যবহার করা কি নিরাপদ?

এটি ব্যবহার করা সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ নয়। কারণ আপনি যখন ভিপিএন ব্যবহার করে কোন নেটওয়ার্কে প্রবেশ করবেন তখন এর নিয়ন্ত্রণকারী আপনার সকল ধরনের তথ্য পেয়ে যাবেন। তাই এই ধরনের প্লাটফর্ম ব্যবহারের সাধারণত নিরুৎসাহিত করা হয়।

এছাড়া ভিপিএন ব্যবহার করে আপনার বিভিন্ন একাউন্ট কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে বারবার লগইন কিংবা লগ আউট করলে আপনার সেগুলো ডিএক্টিভেটেড বা ব্লক হয়ে যেতে পারে।

ভিপিএন ব্যবহার করা কি নিরাপদ

আবার এটি ব্যবহার করে যদি আপনি কোন ধরনের ব্যাংকিং কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং বা পারসোনাল লেনদেন করেন তাহলে আপনার তথ্য চুরি হতে পারে এবং আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।

এদিক থেকে থেকে বলা যায় ভিপিএর নিরাপদ নয়।

বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো কোটা সংস্কার আন্দোলনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বন্ধ রাখা হয়েছে। আর যেহেতু আমরা সবাই মোটামুটি সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে অভ্যস্ত হয়ে গেছে তাই এগুলো ছাড়া আমাদের সময় কাটানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। যেত বাংলাদেশ থেকে এ সকল প্লাটফর্ম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তাই ভিপিএন ব্যবহার করে অনেকেই ফেসবুকে প্রবেশ করছে এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করছে।

তবে ভিপিএন ব্যবহার করে এ সকল সাইটে প্রকাশ করা একদম নিরাপদ নয়। বিশেষ করে আপনার মোবাইলে যদি ব্যাংকিং ইনফরমেশন কিংবা বিকাশ নগদের মতো অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে লেনদেন করে থাকেন তাহলে ভিপিএন ব্যবহার না করাই ভালো।

এছাড়া গণহারে ভিপিএন ব্যবহার করার ফলে সাইবার হামলার ঝুঁকি রয়েছে। তাই সবকিছু বিবেচনা করে বলা যাবে ভিপিএন ব্যবহার করা নিরাপদ নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ভিপিএন ব্যবহার করা কি নিরাপদ

আপডেট সময় : ০২:৪৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

আজকে আমি আপনাদের সাথে দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব. একটি হচ্ছে বাংলাদেশে ভিপিএন ব্যবহার করা বৈধ কিনা এবং অপরটি হচ্ছে ভিপিএন ব্যবহার করা কি নিরাপদ হবে কিনা।

প্রথম প্রশ্নটি হচ্ছে বাংলাদেশের ভিপিএন ব্যবহার কিংবা অন্যান্য দেশে ভিপিএন এর ব্যবহারে বৈধতা আছে কিনা। এর সাধারণ উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ। বাংলাদেশ অফিসিয়াল ভাবে ভিপিএন ব্যবহারের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। কিংবা প্রযুক্তিগত দিক থেকে এটি ব্যবহার বন্ধের উপায় নেই।

ভিপিএন কি?

এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। অর্থাৎ আপনি আপনার নেটওয়ার্কের বা ডিভাইসের তথ্য গুলো গোপন রেখে কোন সাইট কিংবা অ্যাপ এ প্রবেশ করতে পারবেন। বাংলাদেশে বিগত বেশ কিছুদিন যাবত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, টিকটক এবং হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ থাকার কারণে মানুষের মধ্যে ভিপিএন ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফেসবুক, টিকটক এই সকল মাধ্যম গুলো বাংলাদেশে বন্ধ রয়েছে কিন্তু অন্য কোন দেশে বন্ধ নেই। তাই ভিপিএন হচ্ছে এমন একটি নেটওয়ার্ক সিস্টেম যেটির মাধ্যমে আপনার ফোনকে বাংলাদেশের বাইরে অন্য কোথাও হতে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে ওয়েবসাইটকে তথ্য দেবে।

ফলে বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ থাকলেও আপনার মোবাইল ভিপিএন দিয়ে ফেসবুকে প্রবেশ করা সম্ভব। কারণ ফেসবুক আপনার লোকেশন বাংলাদেশের পরিবর্তে আমেরিকা বা অন্য কোন দেশ দেখাচ্ছে।
এভাবে ভিপিএন ব্যবহার করে আপনি যেকোনো প্রাইভেট কিংবা রেস্ট্রিক্টেড নেটওয়ার্কের ঢুকতে পারবেন।

ভিপিএন ব্যবহার করা কি নিরাপদ?

এটি ব্যবহার করা সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ নয়। কারণ আপনি যখন ভিপিএন ব্যবহার করে কোন নেটওয়ার্কে প্রবেশ করবেন তখন এর নিয়ন্ত্রণকারী আপনার সকল ধরনের তথ্য পেয়ে যাবেন। তাই এই ধরনের প্লাটফর্ম ব্যবহারের সাধারণত নিরুৎসাহিত করা হয়।

এছাড়া ভিপিএন ব্যবহার করে আপনার বিভিন্ন একাউন্ট কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে বারবার লগইন কিংবা লগ আউট করলে আপনার সেগুলো ডিএক্টিভেটেড বা ব্লক হয়ে যেতে পারে।

ভিপিএন ব্যবহার করা কি নিরাপদ

আবার এটি ব্যবহার করে যদি আপনি কোন ধরনের ব্যাংকিং কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং বা পারসোনাল লেনদেন করেন তাহলে আপনার তথ্য চুরি হতে পারে এবং আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।

এদিক থেকে থেকে বলা যায় ভিপিএর নিরাপদ নয়।

বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো কোটা সংস্কার আন্দোলনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বন্ধ রাখা হয়েছে। আর যেহেতু আমরা সবাই মোটামুটি সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে অভ্যস্ত হয়ে গেছে তাই এগুলো ছাড়া আমাদের সময় কাটানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। যেত বাংলাদেশ থেকে এ সকল প্লাটফর্ম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তাই ভিপিএন ব্যবহার করে অনেকেই ফেসবুকে প্রবেশ করছে এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করছে।

তবে ভিপিএন ব্যবহার করে এ সকল সাইটে প্রকাশ করা একদম নিরাপদ নয়। বিশেষ করে আপনার মোবাইলে যদি ব্যাংকিং ইনফরমেশন কিংবা বিকাশ নগদের মতো অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে লেনদেন করে থাকেন তাহলে ভিপিএন ব্যবহার না করাই ভালো।

এছাড়া গণহারে ভিপিএন ব্যবহার করার ফলে সাইবার হামলার ঝুঁকি রয়েছে। তাই সবকিছু বিবেচনা করে বলা যাবে ভিপিএন ব্যবহার করা নিরাপদ নয়।