ভারত পালানোর সময় আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

- আপডেট সময় : ১১:২৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
ভারত পালনের সময় মৃত্যু হয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসহাক আলী খান পান্নার।
আজ ২৪ শে আগস্ট শনিবার ভোরে সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারতের যাওয়ার সময় পাহাড় থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নিহত আওয়ামী লীগ নেতা ইসহাক আলী খান পান্নার বন্ধু এবং তার বড় ভাইয়ের শ্যালক জসীমউদ্দীন খান বাংলাদেশের সনামধন্য নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট এর সাংবাদিকদের কে জানান, সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারত প্রবেশ করেছিলেন।
কিন্তু ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে পাহাড়ের মৃত্যু হয়। তবে আওয়ামী লীগ নেতা ইসহাক আলী খান পান্নার মৃত্যু গুলিতে হয়েছে নাকি হৃদযন্ত্রের বন্ধ হয়ে ওঠে হয়েছে সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শিলং এর একটি থানায় তার মৃতদেহ আছে বলে আমরা খবর পেয়েছি।
ভারত পালানোর সময় আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
ছাত্রলীগ নেতা ইসহাক আলী খান পান্নার বড় ভাইয়ের ছেলে মোহাম্মদ কামরুজ্জামান খান নাদিম বলেন, চাচা মারা গিয়েছে তাই আমরা যাচ্ছি। পরের সব জানাবো কিন্তু তিনি এই মুহূর্তে কোথায় যাচ্ছেন সে ব্যাপারে কোন নিশ্চিত করতে যাননি।
তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা সাংবাদিকদের কে জানান, ভারত পালানোর সময় ইসহাক আলী খান পান্নার সাথে বাংলাদেশের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামও ছিলেন। পান্না যখন স্ট্রোক করেন তখন সেই সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম পালিয়ে যান। পরবর্তীতে বিএসএফের সদস্যরা তার মৃতদেহ খুঁজে পান।
তবে এ ব্যাপারে সিলেটের উক্ত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হারুন অর রসিদ বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন ইনফরমেশন আসে নি।
উল্লেখ্য গত ৫ শে আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন এই ছাত্রলীগ নেতা ইসহাক আলী খান পান্না। ১৯৯৪ সালের সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য পরিচালনায় ছিলেন। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-২ আসন থেকে মনোনয়ন পান তিনি।
কিন্তু পরবর্তীতে চৌদ্দ দলীয় জোট গত নির্বাচনের বিভিন্ন কারণে তিনি মনোনয়ন পাওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনের অংশগ্রহণ করার থেকে সরে আসেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসহাক আলী পান্না ডায়মন্ড লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির একজন চেয়ারম্যান ছিলেন।