গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী বাংলাদেশ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যাপার নিয়ে কথা বলেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। পরবর্তী বাংলাদেশ এবং রাষ্ট্রকে মেরামত করতে কি কি পদক্ষেপ তারা গ্রহণ করবেন বা নেওয়া যেতে পারে সে ব্যাপারে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন তিনি।

উক্ত ফেসবুক স্ট্যাটাসে সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের এই গনঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে রাষ্ট্রকে মেরামত করার জন্য সেই সাথে ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার বিলোপ করার জন্য। এটি নির্দিষ্ট কোন দল কিংবা গোষ্ঠীর আকাঙ্খাকে পূরণ করার জন্য নয়।

তিনি লিখেছেন, আমরা বাংলাদেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করেছি। এখন আবার দায়িত্ব নিয়ে এসে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি গুলো পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং কাজ করে যাচ্ছি। সারা বাংলাদেশে ছাত্রদের ভলান্টারি এক্টিভিটি এবং দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারে তিনি স্যালুট জানিয়েছেন ছাত্র এবং জনতাকে।

সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের ফেসবুকের স্ট্যাটাসের সারাংশ টি হল, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো গনঅভ্যুত্থানের পরবর্তী বাংলাদেশেকে মেরামত করে জনগণের জন্য উপযোগী করে তোলা। সাম্প্রতিক সময়ের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব হবে ছাত্র এবং সাধারণ জনতার যে আশা-আকাঙ্ক্ষা রয়েছে সেগুলোকে বাস্তবায়ন করা। কোনভাবেই এটি নির্দিষ্ট দলের আকাঙ্ক্ষা পূরনের জন্য নয়। সেইসাথে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি এবং সাধারণ জনগণের দাবিগুলো না আদায় হওয়া পর্যন্ত ছাত্র এবং সব স্তরের জনগনকে সজাগ এবং সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নিয়ে সমন্বয়ক আসিফের বক্তব্য

দেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে কোন সাম্প্রদায়িক উস্কানি, জনগণের জান মানের ক্ষতিসাধন এবং বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করার জন্য জনগণের সঙ্গে থেকে তিনি কাজ করে যাবেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূস কে প্রাধান্য দিয়েছেন। এ ব্যাপারে ডক্টর ইউনূস এর সাথে কথা বলার পরে তিনি রাজি হয়েছেন। খুব শীঘ্রই তো নিয়ে দেশে ফিরবেন এবং দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার ব্যাপারে আনন্দ এবং স্বস্তি প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। সেই সাথে ড. ইউনূসকে তিনি প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন।

জিএম কাদের বলেন, ড. ইউনূস আমাদের এবং দেশের অহংকার এবং একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। তিনি দেশের ক্ষুধা নিবারন এবং দারিদ্র বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণের যে ধারণা প্রবর্তন করেছেন তা সারা পৃথিবীতেই একটি রোল মডেল নামে পরিচিত।