বিচ্ছিন্ন হওয়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের প্রায় ৪০ শতাংশ ঠিক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সাথে আজকে রাতের মধ্যেও বেশিরভাগ গ্রাহকরা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পাবেন বলে জানিয়েছে আইএসপিএবির সভাপতি মোঃ ইমদাদুল হক।

তিনি আজ সাংবাদিকদের কে বলেন, দেশের সকল ইন্টারনেট সংযোগ চালু করার জন্য আমরা রাত দিন নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি আজকে রাতের মধ্যেও এই দেশের বেশির ভাগ গ্রাহকরা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পাবেন।

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় গত ১৭ জুলাই বুধবার সন্ধ্যা থেকে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে দেশের সকল ধরনের ইন্টারনেট যোগাযোগ এবং সেবা হতে বঞ্চিত হয় সাধারণ গ্রাহকরা। এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু কিছু এলাকায় ইন্টারনেট সম্পর্কে চালু করা হলেও পুরো দেশের মানুষ ইন্টারনেট সেবা হতে বিচ্ছিন্ন ছিল।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সাংবাদিকদের কে জানান, গতরাতে পরীক্ষামূলকভাবে ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। এরপর এলাকার সেবার চাহিদা ভেদে আমরা দ্রুত সার্বিক ইন্টারনেট সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে। ইন্টারনেট চালু হওয়ার সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলি চালু হবে কিনা এ ব্যাপারে তিনি জানান, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর বিষয়টি আমি এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। কতটুকু অনুমোদন দিতে পারব আর কতটুকু পারবো না সেটা পরের বলা যাবে। এ পর্যায়ে আমরা আগে ইন্টারনেট ব্যবস্থা টাকে পুন:স্থাপন করে নেই।

আজকে রাত থেকে বাসা বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হবে

ইতিমধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা কিছু কিছু জায়গায় জানা হলেও বন্ধ রয়েছে মোবাইল ডাটা ইন্টারনেট। অর্থাৎ যারা যাদের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেভার নেয় তারা এখনো ইন্টারনেট হতে বিচ্ছিন্ন আছে।

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় একদল তরুণ মোবাইল অপারেটর গ্রামীনফোনের অফিসে সামনে মিছিল এবং বিক্ষোভ করেছিলেন। সেই সাথে বেশ কয়েকটি মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার ভাঙচুর করেন। সে সময় অপারেটরদের পক্ষ হতে বক্তব্য দেয়া হয় internet সেবা চালু করার ব্যাপারে সরকারের উপর তাদের নির্ভরযোগ্যতা রয়েছে।

ইন্টারনেট সেবার মূল ডাটা সেন্টার মহাখালীতে আগুন দেওয়ার ঘটনাটিকে ঘিরে বিকল্প বেশ কয়েকদিন সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন ছিল।