ভারতে ৯ বছর আটক থাকার পর বাংলাদেশে ফিরছেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ। ইতিমধ্যে তিনি ভারতের মেঘালয় প্রদেশের শিলংয়ে অবস্থানরত ট্রাভেল পাশ করেছেন বলে সাংবাদিকদেরকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ৪ জুন জারি করা ট্রাভেলে পাশ দেওয়া হলে ৩ মাসের মধ্যে যে দেশে ফিরে আসার জন্য বলা হয়। কিন্তু নানারকম আইনগত জটিলতায় তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। কিন্তু সর্বশেষ গত সোমবার বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে মঙ্গলবার তার ট্রাভেল পাশ ইস্যু করা হয়।

দেশে ফেরার বিষয় নিয়ে এই বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের কে জানান, খুব শীঘ্রই তিনি দেশে ফিরবেন। এর আগে ভারতে গ্রেফতারের পর মেঘালয়ের শিলং জর্জ কোর্ট থেকে ২০২৩ সালের ২৮ শে ফেব্রুয়ারি খালাস পান বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন। তার কাছে পাসপোর্ট না থাকায় বাংলাদেশে ফেরার জন্য ট্রাভেল পারমিটের জন্য বাংলাদেশের সরকারি হাইকমিশনের তিনি এপ্লাই করেন। প্রথম দফায় ট্রাভেল পাশ পান ২০২৩ সালে ৮ জুন।

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন দেশে ফিরছেন

উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ১০ই মার্চ উত্তরা থেকে নিখোজ বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ঠিক ৬৩ দিন পর ভারতের মেঘালয় শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধার করে বলে খবর পাওয়া যায়। সাথে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ঠিক একই বছরে জুলাই মাসে ভারতের নিম্ন আদালতে দেশটিতে অনুপ্রবেশের দায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন সেখানকার পুলিশকে বলেছিলেন গোয়েন্দা পরিচয়ে তাকে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে তুলে নিয়েছিলেন কিছু লোক। তারপর রাত ভোর গাড়িতে করে যাওয়ার পর পর তাকে শিলংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কারা তাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন ১৯৯১ সালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন। তারপর সকলের সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতি এবং বিএনপিতে যোগদান করেন। তারপর ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য মনোনীত হন। গ্রেফতারের ঘটনার সময় তিনি বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব পদে ছিলেন।