রাজধানীর পান্থপথের সিগন্যাল থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত প্রায় পুরো সড়ক বন্ধ রয়েছে। এ সড়কে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের ব্যবসায়ী এবং দোকান কর্মীরা বিক্ষোভে নেমেছেন। বসুন্ধরা শপিং মলের ইনচার্জ এর পদত্যাগের দাবিরসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন তারা।

আজ দুপুরে ১২ টায় গিয়ে দেখা যায় পান্থপথ সিগনালে কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছেন হাতে ব্যানার নিয়ে। ব্যানারে লেখা স্বৈরাচার অত্যাচারী ইনচার্জ করিমের পথ চাই।

আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, অনিচ্ছা এবং আপত্তি থাকা সত্ত্বেও চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে বসুন্ধরা সিটির বেজমেন্টে মোবাইল মার্কেট সরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু বেজমেন্টের এই জায়গাটি অনেকটা দম বন্ধ হওয়ার মতো। গ্রাহকরা এসে হাঁসফাঁস করতে থাকেন।

তার উপরে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের বেজজমেন্ট – ১ এ টয়লেট সুবিধা থাকলেও বেজমেন্ট ২ এ নেই। কারো টয়লেটের প্রয়োজন হলে উপরে যেতে হয়।

ব্যবসায়ীদের দাবি, বেজমেন্টে টয়লেটের ব্যাপারে সরকারি কোনো অনুমোদন নেই। তাই তারা এ ব্যাপারে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে গেলে ঝামেলা পোহাতে হয়। কোন কিছু নিয়ে প্রতিবাদ করতে পারেন না। সেই সাথে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের ইনচার্জ মহসিন করিমের কাছে কোন সমস্যার কথা গুলোর সমাধান পাওয়া যেত না। তিনি দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতেন এবং খারাপ ব্যবহার করতেন।

যার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীরা সকাল ৯ টা থেকে মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ করছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে তাদের সাথে আলোচনার কথা বললে তারা জানায়, ইনচার্জ এর পদত্যাগ ছাড়া আলোচনায় বসবেন না।

বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের মালিক কর্মীদের বিক্ষোভ

ভবনের সামনে ব্যবসায়ীর দোকান কর্মচারীরা ছাড়াও প্রবেশের সিরিজ সামনে সেনাবাহিনী এবং বিজেপি সদস্যরা অবস্থান করছেন।

উল্লেখ্য, বসুন্ধরা সিটি শপিংমল বাংলাদেশে অন্যতম একটি শপিং সেন্টার। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, ইলেকট্রনিক জিনিস, মোবাইল, কম্পিউটার সহ নানারকম জিনিসপত্র পাওয়া যায় এখানে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এখানে কেনাকাটা করতে আসেন এবং বিনোদন নিতে আসেন।

শপিং সেন্টার ছাড়াও এখানে রয়েছে খাবারের রেস্টুরেন্ট এবং সিনেমা হল। এই শপিংমলে প্রায় ২৯০০ টি দোকান রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে নামাজের স্থান, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, টয়লেট ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইত্যাদি।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের দোকান কর্মচারী এবং ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করছে। যার কারণে সাধারণ গ্রাহকরা শপিংমলে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।