বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি
- আপডেট সময় : ০৮:৩৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
দিন যতই যাচ্ছে ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির আরো অনেক বেশি অবনতি হচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্রতা আরো বেশি হচ্ছে। সেই সাথে বন্ধ হয়নি বৃষ্টিপাত। কিন্তু বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের পুরো রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা।
অনেকটাই ফেনীর বন্যা পরিস্থিতিকে ভয়ংকর বলা যায় এখন। পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার পর এখন ফেনীর অন্যান্য এলাকা যেমন সোনাগাছি, ফেনীর সদর, দাগন ভুয়া ইত্যাদি এলাকায়ও অনেক বেশি পানি প্রবেশ করেছে। বলা যাচ্ছে পুরো ফেনীর জেলায় এখন বন্যার পানিতে প্লাবিত।
তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড কিংবা ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবায় অংশ নেওয়ার পর কতজনকে উদ্ধার করা হয়েছে তার নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৃত্যুর কথা শুনলেও সেটিও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে এলাকার বাসিন্দাদের আহাজারি বাড়ছে। তারা ইতিমধ্য বুধবার থেকে হেলিকপ্টারের সহযোগিতা চেয়ে আসছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের অবস্থার পোস্ট দিয়ে সেচ্ছা সেবক এবং প্রশাসনের করুনা চাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তব পরিসংখ্যান কিংবা কতজন এখন পর্যন্ত পানির মধ্যে রয়েছে তাদের তথ্য নিশ্চিত করা যায়নি।
বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি
বাইরে থেকে ফেনীর ফুল কাজে এবং পরশুরাম উপজেলায় প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই সাধারণ মানুষের। ফুলগাজী উপজেলার প্রবেশ মুখ থেকে প্রধান সড়কে প্রায় বুক পর্যন্ত পানি থাকায় সেদিকে যাওয়া যাচ্ছে না। তার পাশে এই ছাগলনাইয়া উপজেলা। দুই উপজেলাটি বন্যার পানিতে পুরোপুরি ভাবে চলে এগিয়েছে।
লক্ষ লক্ষ পানিবন্ধি মানুষের জীবন এখন অনিশ্চিত। এই মোবাইলে নেটওয়ার্ক, নেই বিদ্যুৎ, নেই বিশুদ্ধ পানি কিংবা চিকিৎসা সেবা। তাই কে কোন অবস্থায় রয়েছে তা জানার সুযোগ নেই।
ফেনীর ভাঙ্গা তাকিয়া বাজার এলাকায় ইউসুফ নামে এক লোকের বাড়ি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে দক্ষিণ দিকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে তার বসবাস। আজকে বাড়িঘর বন্যার পানিতে তুলে যাওয়ার খবর শুনে তিনি স্ত্রী এবং সন্তানদের খোঁজে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার হাতে ছিল পানির বোতল এবং কিছু কাপড়।
তিনি জানান তার ৪ টি ছেলে আছে। তার ছেলেরা স্ত্রীকে কোন রকমে উদ্ধার করে মূলসড়কে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে তাদের সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি ধারণা করছেন তার বাড়ি থেকে অল্প কিছু দূরে আত্মীয়র বাড়ি রয়েছে। সেখানে হয়তোবা তাদের অবস্থান তাই ট্রেনের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন।