বন্যায় প্লাবিত তিন জেলার নিম্নাঞ্চল

- আপডেট সময় : ১২:২০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে
দেশের তিনটি জেলার নিম্ন অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় কয়েক লাখ মানুষ। এ বিষয়ে তথ্য দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান সাংবাদিকদের কে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে মৌলভীবাজারের কোমরগঞ্জে বিপদসীমার প্রায় ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। হবিগঞ্জের বন্যায় প্লাবিত হয়ে বন্যার খোয়াইয়ের বিপদসীমার প্রায় ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ফেনীর পরশুরামে মুহুরি নদীর পানি বিপদসীমার প্রায় ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার কারণে সিলেটের মৌলভীবাজার হবিগঞ্জ এবং ফেনীর ৩ টি জেলার নিম্ন অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ আরো জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে এই ব্রহ্মপুত্র নদী, যমুনা নদী এবং গঙ্গা নদ নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। অপর দিকে পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে। তবে আগামী ২/৩ দিনে এই নদীর পানি কিছুটা কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী আরও বেশ কিছুদিন দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে এবং তৎসম উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে। যার কারণে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। হবিগঞ্জ জেলার কয়েকটি নদীতে পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
বন্যায় প্লাবিত তিন জেলার নিম্নাঞ্চল
এদিকে শুধুমাত্র ফেনীতেই বন্যায় প্লাবিত হয়ে প্রায় কয়েক শতাধিক গ্রাম পানির নিচে চলে গেছে। হবিগঞ্জ জেলার পরশুরামের কালী কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত অল্প কিছুদিন সময়ের ব্যবধানে ঘরবাড়ি প্রায় তিন বার বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
কিন্তু বীরচন্দ্রনগর এলাকা উঁচু হওয়াতে সাধারণত বন্যার পানি খুব একটা প্রবেশ করে না। কিন্তু এবার এই এলাকাটিতেও বন্যায় প্লাবিত হয়ে চলে গিয়েছে।
ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবারের বন্যায় প্লাবিত হয়ে ধানের বীজতলা পুরোপুরিভাবে তলিয়ে গিয়েছে। নতুন করে বীজতলা তৈরি করে রোপন করলে কয়েকদিন পরে আবারও সেটি তলিয়ে যায়। এছাড়াও গত ২ দিনের ভারী বৃষ্টিতে নতুন করে সব জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়।
এদিকে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশল এর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২ই আগস্ট ফেনীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের প্রায় ১৭ টি অংশ ভেঙে যায়। সে ভাঙ্গনের অংশগুলি মেরামত করার আগেই বিগত ২ দিনের ভারি বৃষ্টি পাতে লোকালয়ে আরো অনেক বেশি পানি প্রবেশ করেছে।
যার কারণে বন্যায় প্লাবিত হয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে লক্ষাদিক মানুষ পানি বন্দী অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। চলমান দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসনের কাছে প্রায় ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৫০ টন চাল মজুদ রয়েছে।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কে জানান, এবারের বন্যায় প্লাবিত হয়ে তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ টি গ্রাম পারবে তো হয়ে গিয়েছে। এই উপজেলায় মনোনীতদের জন্য প্রায় ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ১৮ টন চাল মজুদ রয়েছে।