পুলিশের ১১ দফা দাবি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে

পুলিশের ১১ দফা দাবি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সারা দেশ ইতিমধ্য ২০০ এর অধিক থানার কার্যক্রম চালু করার কথা হলেও অনেক পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতে আছেন। পুলিশের ১১ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত তারা কর্ম বিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছেন। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের আইজিপি, র‍্যাবের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনার সরাসরি উপস্থিত হয়েও গত ৯ আগস্ট পুলিশ সদস্যদের ক্ষোভ কমাতে পারেননি।

পুলিশের অধনস্ত সদস্যদের দাবি, ঊর্ধ্বতন অফিসারদের ভুলের কারণে তাদের অসংখ্য সদস্য মারা গিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ঠিক কতজন সদস্য মারা গিয়েছেন তার নির্দিষ্ট কোন হিসাব নেই।

পুলিশের ১১ দফা দাবি পরিপ্রেক্ষিতে তারা আরো জানান, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান। তারপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। ঠিক সে সময় যদি পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সবাইকে বার্তা পাঠানো হতো তাহলে এত হতাহতের ঘটনা ঘটত না।

পুলিশের ১১ দফা দাবিতে যা যা আছে:

১. নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবার থেকে একজনকে সরকারি চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে উক্ত পরিবারকে আজীবন রেশন প্রদান করতে হবে। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

২. চলমান সহিংসতাকে কেন্দ্র করে যারা পুলিশ সদস্য এবং থানার উপর হামলা চলেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে অতি দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩. বাংলাদেশ পুলিশের নিয়োগে সাব ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট নিয়োগের বিষয়টি পিএসসি এর অধীনে এবং বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর অধীনে কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. পুলিশের ১১ দফা দাবির ৪ নম্বরে রয়েছে, সাব ইন্সপেক্টর বা এসআই এবং সার্জেন্ট পদ থেকে প্রমোশনের সকল জটিলতা সমাধান করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি সহকারী কমিশনার পদে ৩০ শতাংশ এবং ৭০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করার দাবি জানানো।

এছাড়াও পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট পদ থেকে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পরের বছর পুনঃনিরীক্ষণ পরীক্ষা বাতিল সহ সিনিয়রটির ভিত্তিতে প্রমোশনের সুবিধা প্রদান করা।

৫. পুলিশের ডিউটির সময় আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী ৮ ঘণ্টা করে নির্ধারণ করা। সেই সাথে অতিরিক্ত ওভার টাইমের জন্য অর্থ প্রদান এবং বছরে বেসিকের সমান দুইটি বোনাস প্রদান।

৬. পুলিশের ১১ দাবির মধ্য আরো রয়েছে পুলিশের রিস্ক এলাউন্স বৃদ্ধি করা এবং টিও ডিএর অর্থ প্রতিমাসের ১০ তারিখের ভিতরে প্রদান করা।

৭. অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে পুলিশের বাৎসরিক ২০ দিনের ছুটির সমন্বয় করে ৭ দিন করতে হবে। যদি দেশ ও জনগণের স্বার্থে ছুটি প্রদান করা সম্ভব না হয় তাহলে সেটির বিনিময়ে আর্থিক সুবিধা প্রদান করা।

পুলিশের ১১ দফা দাবি

৮. বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রচলিত আইন এবং পুলিশ রেগুলেশন অফ বেঙ্গল সংস্কার করে সেটিকে আধুনিকায়ন করতে হবে। যাতে করে পুলিশ বাহিনীর অধীনস্থ কর্মকর্তাদের অধিকার নিশ্চিত হয় এবং বাহিনীর মর্যাদা সমুন্নত থাকে।

৯. রাজনৈতিক সুবিধার জন্য পুলিশ বাহিনীকে কেউ যেন ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গ্রহণ করা।

১০. দেশের সকল থানা, ফাঁড়ি এবং পুলিশের ট্রাফিক বক্স উন্নত করা এবং অফিসারদের সুযোগ সুবিধা নিষেধ করা।

১১. নিরাপত্তার সুবিধার্থে পুলিশের জুনিয়র কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে এবং সকল ব্যারাকে আবাসন সংক্রান্ত যে সকল জটিলতা রয়েছে সেগুলো সমাধান করতে হবে।

পুলিশের ১১ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত তারা কর্ম বিরতি চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

ইয়ারবাডস কেনার সময় যে সকল বিষয় খেয়াল রাখবেন জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পুলিশের ১১ দফা দাবি

আপডেট সময় : ০২:০৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

সারা দেশ ইতিমধ্য ২০০ এর অধিক থানার কার্যক্রম চালু করার কথা হলেও অনেক পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতে আছেন। পুলিশের ১১ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত তারা কর্ম বিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছেন। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের আইজিপি, র‍্যাবের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনার সরাসরি উপস্থিত হয়েও গত ৯ আগস্ট পুলিশ সদস্যদের ক্ষোভ কমাতে পারেননি।

পুলিশের অধনস্ত সদস্যদের দাবি, ঊর্ধ্বতন অফিসারদের ভুলের কারণে তাদের অসংখ্য সদস্য মারা গিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ঠিক কতজন সদস্য মারা গিয়েছেন তার নির্দিষ্ট কোন হিসাব নেই।

পুলিশের ১১ দফা দাবি পরিপ্রেক্ষিতে তারা আরো জানান, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান। তারপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। ঠিক সে সময় যদি পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সবাইকে বার্তা পাঠানো হতো তাহলে এত হতাহতের ঘটনা ঘটত না।

পুলিশের ১১ দফা দাবিতে যা যা আছে:

১. নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবার থেকে একজনকে সরকারি চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে উক্ত পরিবারকে আজীবন রেশন প্রদান করতে হবে। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

২. চলমান সহিংসতাকে কেন্দ্র করে যারা পুলিশ সদস্য এবং থানার উপর হামলা চলেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে অতি দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩. বাংলাদেশ পুলিশের নিয়োগে সাব ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট নিয়োগের বিষয়টি পিএসসি এর অধীনে এবং বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর অধীনে কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. পুলিশের ১১ দফা দাবির ৪ নম্বরে রয়েছে, সাব ইন্সপেক্টর বা এসআই এবং সার্জেন্ট পদ থেকে প্রমোশনের সকল জটিলতা সমাধান করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি সহকারী কমিশনার পদে ৩০ শতাংশ এবং ৭০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করার দাবি জানানো।

এছাড়াও পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট পদ থেকে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পরের বছর পুনঃনিরীক্ষণ পরীক্ষা বাতিল সহ সিনিয়রটির ভিত্তিতে প্রমোশনের সুবিধা প্রদান করা।

৫. পুলিশের ডিউটির সময় আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী ৮ ঘণ্টা করে নির্ধারণ করা। সেই সাথে অতিরিক্ত ওভার টাইমের জন্য অর্থ প্রদান এবং বছরে বেসিকের সমান দুইটি বোনাস প্রদান।

৬. পুলিশের ১১ দাবির মধ্য আরো রয়েছে পুলিশের রিস্ক এলাউন্স বৃদ্ধি করা এবং টিও ডিএর অর্থ প্রতিমাসের ১০ তারিখের ভিতরে প্রদান করা।

৭. অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে পুলিশের বাৎসরিক ২০ দিনের ছুটির সমন্বয় করে ৭ দিন করতে হবে। যদি দেশ ও জনগণের স্বার্থে ছুটি প্রদান করা সম্ভব না হয় তাহলে সেটির বিনিময়ে আর্থিক সুবিধা প্রদান করা।

পুলিশের ১১ দফা দাবি

৮. বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রচলিত আইন এবং পুলিশ রেগুলেশন অফ বেঙ্গল সংস্কার করে সেটিকে আধুনিকায়ন করতে হবে। যাতে করে পুলিশ বাহিনীর অধীনস্থ কর্মকর্তাদের অধিকার নিশ্চিত হয় এবং বাহিনীর মর্যাদা সমুন্নত থাকে।

৯. রাজনৈতিক সুবিধার জন্য পুলিশ বাহিনীকে কেউ যেন ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গ্রহণ করা।

১০. দেশের সকল থানা, ফাঁড়ি এবং পুলিশের ট্রাফিক বক্স উন্নত করা এবং অফিসারদের সুযোগ সুবিধা নিষেধ করা।

১১. নিরাপত্তার সুবিধার্থে পুলিশের জুনিয়র কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে এবং সকল ব্যারাকে আবাসন সংক্রান্ত যে সকল জটিলতা রয়েছে সেগুলো সমাধান করতে হবে।

পুলিশের ১১ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত তারা কর্ম বিরতি চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

ইয়ারবাডস কেনার সময় যে সকল বিষয় খেয়াল রাখবেন জানতে এখানে প্রবেশ করুন।