পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়

- আপডেট সময় : ০৩:০৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
প্রত্যেক মেয়েরই পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। কারণ পিরিয়ড নারীদের জন্য একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আর অনেক নারী এই ধরনের সময়ে কিছুটা ব্যথা অনুভব করে। আবার অনেকের ব্যথা এতটাই তীব্র হয়ে যে এতে করে তারা কাবু হয়ে পড়েন। সেই সাথে ব্যথাটি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
পিরিয়ডের সময় ব্যাথা ছাড়াও নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে নারীরা। তার মধ্যে রয়েছে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, হাত-পা জ্বালাপোড়া করা ও বমি বমি ভাব। আজকে আমরা আপনাদের সামনে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা এই ধরনের সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পেতে পারেন।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়
গরম পানির সেক দিন
গরম পানি বিভিন্ন ধরনের ব্যথা কমানোর জন্য দারুন একটি কার্যকরী পদ্ধতি। অনেক ক্ষেত্রে ওষুধের চেয়ে গরম পানি ব্যথা কমানোয় অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই পিরিয়ডের ব্যথার সময় গরম পানি দিয়ে সেক দেওয়ার জন্য একটি হট ওয়াটার ব্যাগ পেটের উপরে নিয়ে রাখুন। এতে করে কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা কমে যাবে।
আদা
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম আরেকটি কার্যকরী উপায় হচ্ছে আদা খাওয়া। এক্ষেত্রে পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে থেকেই আদা খেতে হবে। আপনি চাইলে আদা কুচি কুচি করে লবণ দিয়ে অথবা চায়ের সাথে মিক্স করে খেতে পারেন। পিরিয়ডের প্রথম তিন চার দিন নিয়মিত আদা খেলে কোনরকম ব্যথা সম্মুখীন হবেন না।
ব্যায়াম করা
ব্যায়াম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে পিরিয়ডের ব্যথা অনেকটাই কমে যেতে পারে। অনেকেই আবার এই সময়ে ব্যায়াম করার প্রতি অনিহা প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। যদি আপনার সাধারণ ব্যায়াম করতে সমস্যা হয় তাহলে হাঁটাচলা করতে পারেন।
পেট ম্যাসাজ করা
পেটে বা তলপেটে যদি অতিরিক্ত ব্যাথা হয় তাহলে আপনি হালকা ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে অনেকটা উপকার এবং আরাম পাবেন।
গরম পানিতে গোসল করা
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে আরেকটি প্রাচীন পদ্ধতি হচ্ছে গরম পানিতে গোসল করা। এর মাধ্যমে শরীরে যেকোনো ব্যাথা দূর হয়ে যায়। তবে পানি অবশ্যই কুসুম কুসুম গরম হতে হবে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়
পিরিয়ডের ব্যথা কতদিন স্থায়ী হয়?
সাধারণত পিরিয়ডের ব্যাথা শুরু হওয়ার পর থেকে দুই দিন অথবা তিন দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মূলত যে সময় গুলোতে সবচাইতে বেশি রক্তক্ষরণ হয় তখনই কিছুটা ব্যথা করতে পারে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর মেডিসিন
অনেকেই পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় হিসেবে ওষুধ সেবন করে থাকেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সাধারণত কোনো একজন উচিত না। কারণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই সকল সমস্যার সমাধান করা যায়।
পিরিয়ডের ব্যথা কোথায় কোথায় হতে পারে?
পিরিয়ডের ব্যথা সাধারণত তলপেট এবং সারা শরীরে হতে পারে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় গুলি অবলম্বন করার পরেও যদি সেটি ভালো না হয় এবং অনেক বেশি অসুস্থ বোধ করেন তাহলে অতি দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়া কোন মেডিসিন কিংবা অন্য কোন চিকিৎসার পদ্ধতি গ্রহণ করা একদমই উচিত নয়।