পাগলা মসজিদের দান বাক্সের টাকা বন্যার্তদের জন্য দান করার তথ্যটি সঠিক নয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪ ৪৭ বার পড়া হয়েছে

পাগলা মসজিদের দান বাক্সের টাকা

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্সের টাকা বন্যার্তদের জন্য দান করা হয়েছে এ রকম একটি খবর ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গত ১৭ই আগস্ট ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায় কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে। যেটি পাগলা মসজিদের ইতিহাসে এযাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

আমরা জানি বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন ফেসবুক পেইজে এবং আইডি থেকে দাবি করা হচ্ছে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দান বাক্সের টাকা বন্যার্তদের জন্য দান করা হয়েছে। তবে তবে তথ্যটি সঠিক নয়।

দাবিটি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান চালানো হয়, এতে করে দেখা যায় বৈষম্য বিরোধের ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তবর্তী কালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম ব্যবহার করে একটি পেজ থেকে এই পোস্টটি করা হয়েছে।

কিন্তু উক্ত পেজটি যাচাই করে দেখা যায় সেটি কিছুদিন আগেও ফ্রি মোশন ২৪ নামে ছিল। সরকার পরিবর্তনের পর গত ৯ আগস্ট পেইজটির নাম নাহিদ ইসলাম করা হয়। অর্থাৎ এই পেজটি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নয়।

পাগলা মসজিদের দান বাক্সের টাকা বন্যার্তদের জন্য দান করার তথ্যটি সঠিক নয়

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দান বক্সের টাকা বন্যার্তদের দান করার খবরটি যাচাই করতে গিয়ে আরো দেখা যায়, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পেজটিতে ফলোয়ার রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৯ হাজার। অথচ সেই পেজটি খোলা হয়েছে গত ৯ আগস্ট। অর্থাৎ এই পেজটি থেকেও যে ভুয়া খবরটি প্রচার করা হয়েছে সেটি বোঝা যায়।

পরে দাবিটা সত্যতা যাচাই করার জন্য কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি এবং কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল কালামের সাথে যোগাযোগ করে সাংবাদিকরা।

তিনি জানান পাগলা মসজিদের দান বাক্সের টাকা বন্যার্তদের দানের ব্যাপারে কেউ এখন পর্যন্ত আবেদন করেনি। এই ব্যাপারে আমাদের কোন সভা হয়নি। মসজিদের টাকাটি যেহেতু ওয়াকফকৃত সম্পত্তি তাই এটি অন্য খাতে দান করতে গেলে সুনির্দিষ্ট নিয়মের ভিত্তিতে করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া খবরটির কোন সত্যতা নেই।

সংশ্লিষ্টরা জানান পাগলা মসজিদে দানবাক্সে যেই টাকা পাওয়া যায় সেটি একটি ব্যাংকে জমা রাখা হয়। তারপর সেই টাকা দিয়ে পাগলা মসজিদের বহুতল ভবন এবং কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে বিষয়টি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হলেও মূলত পাগলা মসজিদের দান বক্সের টাকা থেকে বর্ণনা তাদের জন্য কোন টাকা দেওয়া হয়নি। কবরটি নিতান্তই গুজব ছাড়া কিছু নয়।

ভারত পালানোর সময় আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পাগলা মসজিদের দান বাক্সের টাকা বন্যার্তদের জন্য দান করার তথ্যটি সঠিক নয়

আপডেট সময় : ১০:০২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্সের টাকা বন্যার্তদের জন্য দান করা হয়েছে এ রকম একটি খবর ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গত ১৭ই আগস্ট ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায় কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে। যেটি পাগলা মসজিদের ইতিহাসে এযাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

আমরা জানি বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন ফেসবুক পেইজে এবং আইডি থেকে দাবি করা হচ্ছে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দান বাক্সের টাকা বন্যার্তদের জন্য দান করা হয়েছে। তবে তবে তথ্যটি সঠিক নয়।

দাবিটি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান চালানো হয়, এতে করে দেখা যায় বৈষম্য বিরোধের ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তবর্তী কালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম ব্যবহার করে একটি পেজ থেকে এই পোস্টটি করা হয়েছে।

কিন্তু উক্ত পেজটি যাচাই করে দেখা যায় সেটি কিছুদিন আগেও ফ্রি মোশন ২৪ নামে ছিল। সরকার পরিবর্তনের পর গত ৯ আগস্ট পেইজটির নাম নাহিদ ইসলাম করা হয়। অর্থাৎ এই পেজটি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নয়।

পাগলা মসজিদের দান বাক্সের টাকা বন্যার্তদের জন্য দান করার তথ্যটি সঠিক নয়

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দান বক্সের টাকা বন্যার্তদের দান করার খবরটি যাচাই করতে গিয়ে আরো দেখা যায়, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পেজটিতে ফলোয়ার রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৯ হাজার। অথচ সেই পেজটি খোলা হয়েছে গত ৯ আগস্ট। অর্থাৎ এই পেজটি থেকেও যে ভুয়া খবরটি প্রচার করা হয়েছে সেটি বোঝা যায়।

পরে দাবিটা সত্যতা যাচাই করার জন্য কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি এবং কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল কালামের সাথে যোগাযোগ করে সাংবাদিকরা।

তিনি জানান পাগলা মসজিদের দান বাক্সের টাকা বন্যার্তদের দানের ব্যাপারে কেউ এখন পর্যন্ত আবেদন করেনি। এই ব্যাপারে আমাদের কোন সভা হয়নি। মসজিদের টাকাটি যেহেতু ওয়াকফকৃত সম্পত্তি তাই এটি অন্য খাতে দান করতে গেলে সুনির্দিষ্ট নিয়মের ভিত্তিতে করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া খবরটির কোন সত্যতা নেই।

সংশ্লিষ্টরা জানান পাগলা মসজিদে দানবাক্সে যেই টাকা পাওয়া যায় সেটি একটি ব্যাংকে জমা রাখা হয়। তারপর সেই টাকা দিয়ে পাগলা মসজিদের বহুতল ভবন এবং কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে বিষয়টি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হলেও মূলত পাগলা মসজিদের দান বক্সের টাকা থেকে বর্ণনা তাদের জন্য কোন টাকা দেওয়া হয়নি। কবরটি নিতান্তই গুজব ছাড়া কিছু নয়।

ভারত পালানোর সময় আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।