পাকিস্তানে ইন্টারনেট বন্ধ

- আপডেট সময় : ১০:২৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
পাকিস্তানে ইন্টারনেট বন্ধের মুখে পড়েছেন গ্রাহকরা। দেশটির কোথাও কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ আছে আবার কোথায় কোথায় ইন্টারনেট চালু থাকলেও সেটি খুবই ধীরগতি সম্পন্ন। তবে সেই বিষয়টি নিয়ে ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহকারীরা তেমন কোন তথ্য দিতে পারছে না। সেই সাথে তথ্য দিতে পারছে না পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি বা পিটিএ।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্স যেটি আগে পরিচিত ছিল টুইটার নামে সেটি বন্ধ করে দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। এবার পাকিস্তানের ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ায় বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে প্রবেশ করার জন্য ভিপিএন ব্যবহার করেছে। এতে করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকটাই হুমকির মুখে পড়েছে।
পাকিস্তানের ইন্টারনেট বন্ধ এবং ধীরগতির পরিপ্রেক্ষিতে একজন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী জানান, সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন বার্তা কিংবা ভিডিও অথবা ছবি আপলোড এবং ডাউনলোড করতে অনেক বেশি সময় লাগছে। অতিরিক্ত ধীরগতির কারণে সেটি করাও যাচ্ছে না।
পাকিস্তানে ইন্টারনেট বন্ধ
বিভিন্ন নেটিজেনদেে অভিযোগ, পাকিস্তানের ইন্টারনেট বন্ধ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিঘ্ন ঘটানো টি শুধু যোগাযোগের ক্ষেত্রেই সমস্যা করছে না বরং মৌলিক অধিকারও লঙ্ঘন করছে। সেই সাথে দেশের বাইরে দেশটির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
পাকিস্তানে ইন্টারনেট বন্ধের পরিপ্রেক্ষিতে টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। যেহেতু মোবাইল ডাটা এবং ব্রডব্যান্ড উভয় ব্যবহারকারীরাই এই ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছে যার কারণে ভোগান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উল্লেখ্য সারা দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবা কে আরো বেশি উন্নত এবং নিরাপদ করার জন্য গত জুলাই মাসে ফায়ারওয়াল ইনস্টল করার ঘোষণা দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। সেই সাথে উক্ত ফায়ারওয়াল ইনস্টল করার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১৪ ই আগস্ট কে। এর কারণ হচ্ছে ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট পাকিস্তান ব্রিটেনের উপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছিল।
কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তানে ইন্টারনেট বন্ধ এবং ধীরগতি হওয়ায় বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার এবং আইটি ফার্ম গুলো বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এবং আইটি জগতে পাকিস্তানের অবস্থান বেশ শক্ত। ইন্টারনেট ছাড়া অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করা কিংবা আইটি কোম্পানি গুলো চালানো একেবারে প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। আর ইন্টারনেট যদি ধীরগতি সম্পন্ন হয় তাহলেও একই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করার জন্য মোটামুটি উচ্চ গুণ সম্পন্ন ইন্টারনেটের দরকার হয়। পাকিস্তানের ইন্টারনেট বন্ধ কিংবা ধীরগতি হওয়ার কোন ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।
মিষ্টি খাবারের উপকারিতা এবং অপকারিতা জানতে এখানে প্রবেশ করুন।